জানুয়ারি থেকেই কর্মী নিতে পারে মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়া আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কর্মী নেওয়া শুরু করতে পারে। প্রথমে নেওয়া হবে বৃক্ষরোপণ (প্লান্টেশন) খাতে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য খাতে কর্মী নেবে দেশটি। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক কর্মী ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে আগ্রহী বৃক্ষরোপণ খাতের নিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১ ডিসেম্বর আবেদনপত্র নেওয়া শুরু হবে। মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামা ওই বিবৃতি উদ্ধৃত করে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ প্রকাশ করেছে।
প্রায় চার বছর ধরে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ রয়েছে। সরকারিভাবে কর্মী আদান-প্রদানের ব্যাপারে দুই দেশই সম্মত হয়েছে। এ বিষয়ে ৯ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা।
বারনামার সংবাদে বলা হয়, গতকাল মালয়েশিয়ার বিদেশি শ্রমিক ও অবৈধ অভিবাসী-সংক্রান্ত বিশেষ মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কর্মী আনার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়। এই কর্মী আনায় মধ্যস্বত্বভোগীদের কোনো সম্পৃক্ততা থাকবে না। পুত্রজায়ায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে আনা কর্মীদের হয়রানি, নির্যাতন বন্ধে প্রত্যেক নিয়োগদাতাকে কর্মীর যথাযথ আবাসনের ব্যবস্থা করাসহ আইনকানুন মেনে চলতে হবে। নতুন পদ্ধতি নির্ণয়সহ দুই দেশ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরপরই বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ করা শুরু হবে।
বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ায় সরকারিভাবে লোক পাঠানোর বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার সঙ্গে জনশক্তি রপ্তানির যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে, তা গত ২২ অক্টোবর মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে। ওই স্মারক অনুযায়ী, সরকারি পর্যায়ে জনশক্তি রপ্তানি হবে। শ্রমিকেরা মোট পাঁচ বছর কাজ করতে পারবেন। শ্রমিকেরা যাবেন দুই বছর মেয়াদে, পরে আরও দুই বছর এবং এরপর আরও এক বছর নবায়ন করতে পারবেন। তাঁদের কর্মঘণ্টা হবে আট ঘণ্টা এবং সপ্তাহে এক দিন ছুটি পাবেন। নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক কর্মীর আসা-যাওয়ার বিমান ভাড়া দেবেন। ন্যূনতম মজুরি হবে ৯০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫ হাজার টাকা)। প্রতিষ্ঠানের মালিক মালয়েশিয়ায় বিমানবন্দরে শ্রমিকদের অভ্যর্থনা জানাবেন। ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগেই তা নবায়ন করা হবে। পাঁচ বছরে আনুমানিক পাঁচ লাখ কর্মী পাঠানো হবে।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, সরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় যেতে ১৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা খরচ হবে।
প্রায় চার বছর ধরে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ রয়েছে। সরকারিভাবে কর্মী আদান-প্রদানের ব্যাপারে দুই দেশই সম্মত হয়েছে। এ বিষয়ে ৯ নভেম্বর মালয়েশিয়ায় দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা।
বারনামার সংবাদে বলা হয়, গতকাল মালয়েশিয়ার বিদেশি শ্রমিক ও অবৈধ অভিবাসী-সংক্রান্ত বিশেষ মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কর্মী আনার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়। এই কর্মী আনায় মধ্যস্বত্বভোগীদের কোনো সম্পৃক্ততা থাকবে না। পুত্রজায়ায় অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে আনা কর্মীদের হয়রানি, নির্যাতন বন্ধে প্রত্যেক নিয়োগদাতাকে কর্মীর যথাযথ আবাসনের ব্যবস্থা করাসহ আইনকানুন মেনে চলতে হবে। নতুন পদ্ধতি নির্ণয়সহ দুই দেশ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরপরই বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ করা শুরু হবে।
বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ায় সরকারিভাবে লোক পাঠানোর বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার সঙ্গে জনশক্তি রপ্তানির যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে, তা গত ২২ অক্টোবর মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে। ওই স্মারক অনুযায়ী, সরকারি পর্যায়ে জনশক্তি রপ্তানি হবে। শ্রমিকেরা মোট পাঁচ বছর কাজ করতে পারবেন। শ্রমিকেরা যাবেন দুই বছর মেয়াদে, পরে আরও দুই বছর এবং এরপর আরও এক বছর নবায়ন করতে পারবেন। তাঁদের কর্মঘণ্টা হবে আট ঘণ্টা এবং সপ্তাহে এক দিন ছুটি পাবেন। নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক কর্মীর আসা-যাওয়ার বিমান ভাড়া দেবেন। ন্যূনতম মজুরি হবে ৯০০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫ হাজার টাকা)। প্রতিষ্ঠানের মালিক মালয়েশিয়ায় বিমানবন্দরে শ্রমিকদের অভ্যর্থনা জানাবেন। ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগেই তা নবায়ন করা হবে। পাঁচ বছরে আনুমানিক পাঁচ লাখ কর্মী পাঠানো হবে।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, সরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় যেতে ১৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা খরচ হবে।
No comments