এই তবে বাঁশখালীর প্রধান সড়ক! by সনেট দেব
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা চট্টগ্রাম শহরের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত। বিভিন্ন কারণে এই উপজেলা দেশের জনগণের কাছে পরিচিত। প্রাকৃতিক রূপের রয়েছে অপরূপ এক সৌন্দর্য। উত্তরে শঙ্খ নদী, দক্ষিণে চকরিয়া, পূর্বে পাহাড় আর পশ্চিমে দরিয়া।
বিধাতার অপূর্ব সৃষ্টি ও প্রকৃতির নান্দনিকতায় ভরপুর চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতু (বাঁশখালী ইকোপার্ক), বিশাল বিশাল লবণের মাঠ (গণ্ডামারা), চা বাগান (চাঁদপুর), সমুদ্রসৈকত (খানখানাবাদ) ইত্যাদি। পর্যটন শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনাময় এই উপজেলা বরাবরের মতো অবহেলিত হয়ে পড়েছে শুধু উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে।
প্রকৃতির আদরিণী কন্যা হলেও উন্নয়ন ও যোগাযোগের দিক দিয়ে বাঁশখালী বরাবরের মতো বহুগুণ পেছনে পড়ে আছে দেশের অন্য জেলাগুলোর তুলনায়। বিশেষ করে এখানের যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটা নাজুক যে কেউ একবার এসে দ্বিতীয়বার আসার সাহস করে না। রাস্তার এত বেহাল দশা সচক্ষে না দেখলে বিশ্বাস করার মতো নয়। গাড়িতে চড়লেও মনে হয় নৌকায় চড়ছি। অথচ এই বাঁশখালীর রাস্তাই একমাত্র পথ যা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যাতায়াতের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সৃষ্টি করতে পারে। এখানের যাতায়াত ব্যবস্থা যদি উন্নত করা যায়, তাহলে যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক ক্ষেত্রে বাঁশখালী বিরাট অবদান রাখবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাঁশখালী প্রায় তিন-চতুর্থাংশ রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। যেখানে গাড়ি চলাচলের কোনো অবস্থাই নেই, তবুও প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তায় চলাচল করে। কোনো সরকারের আমলেই দীর্ঘমেয়াদিভাবে রাস্তা মেরামত করতে দেখা যায়নি। মাঝে মধ্যে ঠিক করার জন্য একটু-আধটু পদক্ষেপ নিলেও তা এত সামান্য যে, একপাশ ঠিক শেষ না করতেই অন্য পাশে গর্তের সৃষ্টি হয়। আর এত বড় বড় গর্ত হয় যা বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষ করা যাবে। প্রায় ৬.৫ লাখ মানুষের বসবাস এই উপজেলায়। আমাদের মনে রাখতে হবে, একটি দেশ একটি উপজেলা তখনই উন্নত হয়, যদি এই দেশ বা উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা সুন্দর ও নিরাপদ হয়। বাঁশখালী উপজেলার মানুষের দুঃখের কথা চিন্তা করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে বাঁশখালী প্রধান সড়কের উন্নয়নের জন্য মনোনিবেশ করার অনুরোধ থাকবে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও এলাকার প্রশাসনের প্রতি।
য় চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম
প্রকৃতির আদরিণী কন্যা হলেও উন্নয়ন ও যোগাযোগের দিক দিয়ে বাঁশখালী বরাবরের মতো বহুগুণ পেছনে পড়ে আছে দেশের অন্য জেলাগুলোর তুলনায়। বিশেষ করে এখানের যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটা নাজুক যে কেউ একবার এসে দ্বিতীয়বার আসার সাহস করে না। রাস্তার এত বেহাল দশা সচক্ষে না দেখলে বিশ্বাস করার মতো নয়। গাড়িতে চড়লেও মনে হয় নৌকায় চড়ছি। অথচ এই বাঁশখালীর রাস্তাই একমাত্র পথ যা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যাতায়াতের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সৃষ্টি করতে পারে। এখানের যাতায়াত ব্যবস্থা যদি উন্নত করা যায়, তাহলে যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক ক্ষেত্রে বাঁশখালী বিরাট অবদান রাখবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাঁশখালী প্রায় তিন-চতুর্থাংশ রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। যেখানে গাড়ি চলাচলের কোনো অবস্থাই নেই, তবুও প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তায় চলাচল করে। কোনো সরকারের আমলেই দীর্ঘমেয়াদিভাবে রাস্তা মেরামত করতে দেখা যায়নি। মাঝে মধ্যে ঠিক করার জন্য একটু-আধটু পদক্ষেপ নিলেও তা এত সামান্য যে, একপাশ ঠিক শেষ না করতেই অন্য পাশে গর্তের সৃষ্টি হয়। আর এত বড় বড় গর্ত হয় যা বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষ করা যাবে। প্রায় ৬.৫ লাখ মানুষের বসবাস এই উপজেলায়। আমাদের মনে রাখতে হবে, একটি দেশ একটি উপজেলা তখনই উন্নত হয়, যদি এই দেশ বা উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা সুন্দর ও নিরাপদ হয়। বাঁশখালী উপজেলার মানুষের দুঃখের কথা চিন্তা করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে বাঁশখালী প্রধান সড়কের উন্নয়নের জন্য মনোনিবেশ করার অনুরোধ থাকবে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও এলাকার প্রশাসনের প্রতি।
য় চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম
No comments