যা নিয়ে আছি- বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবেই
সামসুল ওয়ারেস, স্থপতি। অন্য পরিচয় শিল্প সমালোচক। এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগে অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত। আউটসাইডার এই মুহূর্তে কিছু পড়ছি না। প্রিয় বই আলবেয়ার কামুর আউটসাইডার। প্রিয় লেখক: বুদ্ধদেব বসু, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমিংওয়ে, ফকনার, কামু, কাফকা প্রমুখ।
পরাবাস্তব লেখকেরা আমার বেশি প্রিয়। ইদানীং জাদু-বাস্তবতার লেখকদের লেখাও ভালো লাগছে। তাঁদের মধ্যে মার্কেস, মো ইয়ান অন্যতম। রাত ১০টার পর পড়ি। কাজের ফাঁকে ফাঁকে শিল্পকলাবিষয়ক লেখালেখি ও পড়ার কাজটা করি। একই বই বারবার পড়ার চেয়ে নতুন একটা বই পড়তে বেশি পছন্দ করি। পেশাগত কারণে স্থাপত্যকলার বই বেশি পড়া হয়।
শ্যামল মিত্র ও মান্না দে
ধ্রুপদ যন্ত্রসংগীত বেশি পছন্দ, বিশেষ করে দক্ষিণ এশীয় ও ইউরোপীয়। রবীন্দ্রসংগীত শোনা হয়। একসঙ্গে তিনটির বেশি গান শুনি না। অনেক গানই পছন্দ। আলাদা করে বিশেষ কোনো গানের প্রতি আমার দুর্বলতা নেই। আধুনিক বাংলা গান, বিশেষ করে পুরোনো দিনের গান শুনতে ভালো লাগে। শ্যামল মিত্র ও মান্না দের গান পছন্দ করি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ও উপকূলীয় অঞ্চল
বিদেশ ঘোরা খুবই পছন্দ, বিশেষ করে দলবদ্ধ হয়ে। পাহাড়, জলাশয় ও বনবেষ্টিত জায়গাগুলো বেশি পছন্দ। ইউরোপের শহরগুলো ও ভারতের কয়েকটি স্থান ঘুরতে বেশি ভালো লাগে। দেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও উপকূলীয় অঞ্চল বিশেষভাবে আকর্ষণ করে।
বাইসাইকেল থিভস
পঞ্চাশের দশক থেকেই চলচ্চিত্র দেখি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বাস্তবতাধর্মী চলচ্চিত্রগুলো আমার বেশি ভালো লাগে। ভিট্টোরিও ডিসিকার বাইসাইকেল থিভস বিশেষভাবে নাড়া দিয়েছিল। বুনুয়েল, ফেলিনি, হারজগ—এঁদের চলচ্চিত্র বেশ ডিস্টার্বিং; তবুও ভালো লাগে। জহির রায়হান, তারেক মাসুদ—এঁরাও বেশ ভালো কাজ করেছেন। সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত প্রমুখের চলচ্চিত্রও আমার ভালো লাগে।
নূরলদীনের সারা জীবন
বাংলাদেশের মঞ্চনাটক ভালো লাগে; দর্শক ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে। প্রিয় নাটক স্যামুয়েল বেকেটের ওয়েটিং ফর গডো। সৈয়দ শামসুল হকের নূরলদীনের সারা জীবন, সেলিম আল দীনের কীর্তনখোলা—বাস্তবধর্মী এসব নাটক আমাকে মুগ্ধ করেছিল।
জয়নুল আবেদিন ও মোহাম্মদ কিবরিয়া
বাংলাদেশের ভাস্কর্য ও চিত্রকলা আমার প্রিয় বিষয়। জয়নুল আবেদিন ও মোহাম্মদ কিবরিয়া আমার প্রিয় শিল্পী। বিদেশের অনেক শিল্পী আমাকে স্পর্শ করে। কাজিমির মালেভিচ, ভ্যান গঘ ও পল সিজান বেশি পছন্দ। বিমূর্ত প্রকাশবাদী শিল্পকর্ম বেশি আকর্ষণ করে।
বাংলাদেশ দাঁড়াবে
সাম্যবাদী, শোষণমুক্ত ও নান্দনিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। যানজটমুক্ত রাস্তা ও ফরমালিনমুক্ত খাদ্য বর্তমানে বেশি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থার করুণ অবস্থা বর্তমানে কষ্ট দিচ্ছে। তবে স্বপ্ন দেখি, সব বাধা পেরিয়ে বাংলাদেশ দাঁড়াবে, সন্দেহ নেই।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: এ আহমেদ
শ্যামল মিত্র ও মান্না দে
ধ্রুপদ যন্ত্রসংগীত বেশি পছন্দ, বিশেষ করে দক্ষিণ এশীয় ও ইউরোপীয়। রবীন্দ্রসংগীত শোনা হয়। একসঙ্গে তিনটির বেশি গান শুনি না। অনেক গানই পছন্দ। আলাদা করে বিশেষ কোনো গানের প্রতি আমার দুর্বলতা নেই। আধুনিক বাংলা গান, বিশেষ করে পুরোনো দিনের গান শুনতে ভালো লাগে। শ্যামল মিত্র ও মান্না দের গান পছন্দ করি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ও উপকূলীয় অঞ্চল
বিদেশ ঘোরা খুবই পছন্দ, বিশেষ করে দলবদ্ধ হয়ে। পাহাড়, জলাশয় ও বনবেষ্টিত জায়গাগুলো বেশি পছন্দ। ইউরোপের শহরগুলো ও ভারতের কয়েকটি স্থান ঘুরতে বেশি ভালো লাগে। দেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও উপকূলীয় অঞ্চল বিশেষভাবে আকর্ষণ করে।
বাইসাইকেল থিভস
পঞ্চাশের দশক থেকেই চলচ্চিত্র দেখি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বাস্তবতাধর্মী চলচ্চিত্রগুলো আমার বেশি ভালো লাগে। ভিট্টোরিও ডিসিকার বাইসাইকেল থিভস বিশেষভাবে নাড়া দিয়েছিল। বুনুয়েল, ফেলিনি, হারজগ—এঁদের চলচ্চিত্র বেশ ডিস্টার্বিং; তবুও ভালো লাগে। জহির রায়হান, তারেক মাসুদ—এঁরাও বেশ ভালো কাজ করেছেন। সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত প্রমুখের চলচ্চিত্রও আমার ভালো লাগে।
নূরলদীনের সারা জীবন
বাংলাদেশের মঞ্চনাটক ভালো লাগে; দর্শক ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে। প্রিয় নাটক স্যামুয়েল বেকেটের ওয়েটিং ফর গডো। সৈয়দ শামসুল হকের নূরলদীনের সারা জীবন, সেলিম আল দীনের কীর্তনখোলা—বাস্তবধর্মী এসব নাটক আমাকে মুগ্ধ করেছিল।
জয়নুল আবেদিন ও মোহাম্মদ কিবরিয়া
বাংলাদেশের ভাস্কর্য ও চিত্রকলা আমার প্রিয় বিষয়। জয়নুল আবেদিন ও মোহাম্মদ কিবরিয়া আমার প্রিয় শিল্পী। বিদেশের অনেক শিল্পী আমাকে স্পর্শ করে। কাজিমির মালেভিচ, ভ্যান গঘ ও পল সিজান বেশি পছন্দ। বিমূর্ত প্রকাশবাদী শিল্পকর্ম বেশি আকর্ষণ করে।
বাংলাদেশ দাঁড়াবে
সাম্যবাদী, শোষণমুক্ত ও নান্দনিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। যানজটমুক্ত রাস্তা ও ফরমালিনমুক্ত খাদ্য বর্তমানে বেশি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থার করুণ অবস্থা বর্তমানে কষ্ট দিচ্ছে। তবে স্বপ্ন দেখি, সব বাধা পেরিয়ে বাংলাদেশ দাঁড়াবে, সন্দেহ নেই।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: এ আহমেদ
No comments