স্মরণ- সত্যিকারের বড় মাপের এক মানুষ by মিনার মনসুর
ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের মৃত্যুসংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে ভারতীয় পার্লামেন্টে একটি শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, তিনি এমন একজন নেতা, যাঁকে নিয়ে যেকোনো জাতি গর্ব করতে পারে।
কথাটি একটুও অতিরঞ্জিত নয়। পরাধীন ভারতবাসীর স্বাধীনতার জন্য ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। লড়েছেন পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধেও। জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো কাটিয়ে দিয়েছেন কারা-অন্তরালে। সাধারণ পরিবারের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও তিনি যে সর্বভারতীয় নেতাদের সারিতে ঠাঁই করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন, সেটা সম্ভব হয়েছিল তাঁর অতুলনীয় ত্যাগ, নিষ্ঠা ও অনাড়ম্বর জীবনাদর্শের কারণে। ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও গণপরিষদের অন্যতম ভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য পাকিস্তান গণপরিষদে তিনি যে অসামান্য যুক্তি তুলে ধরেছিলেন, তা আমাদের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। মূলত তাঁর এই প্রস্তাবকে কেন্দ্র করেই বায়ান্নর সেই মহাবিস্ফোরণের ক্ষণগণনা শুরু হয়ে যায়। তবে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত যদি এ প্রস্তাব উত্থাপন না-ও করতেন, তবু নির্লোভ, নিরহংকার ও অসামান্য মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি আমাদের কাছে প্রাতঃস্মরণীয় হয়ে থাকতেন।
মহত্ত্বের তপস্যায় সমর্পিত সত্যিকারের একজন বড় মাপের মানুষ ছিলেন তিনি। তাঁর বড় হয়ে ওঠার কাহিনিটিও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় এক দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ১৮৮৬ সালের ২ নভেম্বর বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতি সাধারণ পরিবারে তাঁর জন্ম। মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত এখানেই লেখাপড়া করেছেন। প্রবেশিকা পাস করার পর কলকাতার রিপন কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। একাধিক কারণে এটা তাঁর জীবনের মোড় পরিবর্তনে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রথমত, অবিভক্ত ভারতের রাজধানী হিসেবে তখন কলকাতাই ছিল সর্বভারতীয় রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র। দ্বিতীয়ত, রিপন কলেজে তিনি সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ এমন কিছু ত্যাগী, নিবেদিতপ্রাণ এবং অসাধারণ মেধাবী শিক্ষকের সান্নিধ্য পেয়েছিলেন, যাঁরা তাঁকে শুধু রাজনীতির সেই প্রাণকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগই করে দেননি, একই সঙ্গে নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন তাঁর জীবনের গতিপথও।
কলকাতায় অবস্থানকালে তিনি শুধু ভারতবর্ষের স্বাধীনতার মন্ত্রেই উদ্বুদ্ধ হননি, সেই স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন সক্রিয়ভাবে। নিয়মতান্ত্রিক পথে যে দেশকে স্বাধীন করা যাবে না, তা নিয়ে তাঁর মধ্যে দ্বিধা ছিল না। কিন্তু প্রবল প্ররোচনা সত্ত্বেও অনিয়মতান্ত্রিক পথে পা বাড়াননি। যোগ দেননি উগ্রপন্থীদের দলে। তিনি বেছে নিয়েছিলেন ‘নরমপন্থী’ সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অহিংসার নীতিতে বিশ্বাসী মহাত্মা গান্ধীর পথ।
শিক্ষাজীবন শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঙ্গলা উচ্চ ইংরাজি বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদে যোগ দেন। তবে তাঁর শিক্ষকতা জীবন এক বছরও স্থায়ী হয়নি। যোগ দেন ‘ওকালতি ব্যবসায়’। দীর্ঘ প্রায় ৬০ বছর তিনি আইন পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। বস্তুত এ পেশাটিকেও তিনি গ্রহণ করেছিলেন তাঁর জনসেবার ব্রত পালনের মাধ্যম হিসেবে। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সূচনাও জাঁকজমকপূর্ণ নয়। জওহরলাল নেহরুর মতো পারিবারিক ঐতিহ্য কিংবা মহাত্মা গান্ধীর মতো পেশাগত খ্যাতি—কোনোটাই তাঁর ছিল না। বলা যায়, একেবারে শূন্য থেকে শুরু করতে হয়েছিল তাঁকে। কুমিল্লা পৌরসভা থেকে শুরু করে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আইনসভা পর্যন্ত যত নির্বাচনে তিনি অংশ নিয়েছেন, নানা ধরনের প্রতিকূলতা সত্ত্বেও একটি ছাড়া সব নির্বাচনেই জয়ী হয়েছেন। অবিভক্ত ভারতে ও পাকিস্তানে একাধিকবার আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মন্ত্রী ছিলেন। পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য হিসেবে শাসনতন্ত্র প্রণয়নসহ পালন করেছেন বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। অভিজ্ঞ ও দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে দলমত-নির্বিশেষে সবার শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন।
শুধু ব্রিটিশ শাসনামলেই তাঁকে পাঁচবার কারাবরণ করতে হয়েছে। পরিতাপের বিষয় হলো, যে স্বাধীনতার জন্য তিনি এত ত্যাগ স্বীকার করেছেন, সেই স্বাধীন পাকিস্তানেও বিনা বিচারে জেল খাটতে হয়েছে তাঁকে। শুধু ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে আমৃত্যু তাঁকে বহন করতে হয়েছে পদে পদে লাঞ্ছনা আর অপমানের দুর্বহ যন্ত্রণা। বাকি ছিল শুধু নিজের জীবন। সেটাও তিনি উৎসর্গ করে গেছেন স্বদেশের স্বাধীনতার বেদিমূলে। একা নন, সঙ্গে ছিলেন কনিষ্ঠ পুত্র দিলীপ দত্তও।
মাতৃভাষা, মাতৃভূমি ও মাতৃভূমির মানুষের প্রতি প্রবল ভালোবাসা ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের চরিত্রের একটি উজ্জ্বলতম দিক। এর জন্য চরম মূল্যও দিতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু এ নিয়ে তাঁর কোনো আক্ষেপ বা অনুশোচনা ছিল না। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় তিনি ছিলেন অবিভক্ত বাংলার ব্যবস্থাপক পরিষদের ডেপুটি লিডার। ছিলেন কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাদের একজন। তখন দেশত্যাগ করে ভারতে চলে গেলে উচ্চপদে আসীন হতে পারতেন, পেতেন উপযুক্ত সম্মান ও স্বীকৃতি। অন্যদিকে, ধর্মীয় দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান যে তাঁর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে, তা তিনি জানতেন। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পরও তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও রাজনৈতিক সহকর্মীদের অনেকেই দেশ ছেড়ে গেছেন প্রাণভয়ে। তখনো তিনি দেশত্যাগের কথা একবারও ভাবেননি, বরং বরাবরের মতোই ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের প্রশ্নকে ছাপিয়ে উঠেছে তাঁর দেশপ্রেম ও কর্তব্যবোধ। একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যাযজ্ঞের পর যখন দলে দলে লোক দেশ ছেড়ে যাচ্ছে, তখনো তিনি দেশত্যাগে সম্মত হননি একই কারণে। বরং সপুত্র জীবন দিয়েই মাতৃভূমি ও মাতৃভূমির মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও কর্তব্যবোধের অনবদ্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তিনি।
বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে নিবেদিতপ্রাণ এ মানুষটির ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
মিনার মনসুর
মহত্ত্বের তপস্যায় সমর্পিত সত্যিকারের একজন বড় মাপের মানুষ ছিলেন তিনি। তাঁর বড় হয়ে ওঠার কাহিনিটিও পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় এক দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ১৮৮৬ সালের ২ নভেম্বর বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতি সাধারণ পরিবারে তাঁর জন্ম। মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত এখানেই লেখাপড়া করেছেন। প্রবেশিকা পাস করার পর কলকাতার রিপন কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। একাধিক কারণে এটা তাঁর জীবনের মোড় পরিবর্তনে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রথমত, অবিভক্ত ভারতের রাজধানী হিসেবে তখন কলকাতাই ছিল সর্বভারতীয় রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র। দ্বিতীয়ত, রিপন কলেজে তিনি সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ এমন কিছু ত্যাগী, নিবেদিতপ্রাণ এবং অসাধারণ মেধাবী শিক্ষকের সান্নিধ্য পেয়েছিলেন, যাঁরা তাঁকে শুধু রাজনীতির সেই প্রাণকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগই করে দেননি, একই সঙ্গে নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন তাঁর জীবনের গতিপথও।
কলকাতায় অবস্থানকালে তিনি শুধু ভারতবর্ষের স্বাধীনতার মন্ত্রেই উদ্বুদ্ধ হননি, সেই স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন সক্রিয়ভাবে। নিয়মতান্ত্রিক পথে যে দেশকে স্বাধীন করা যাবে না, তা নিয়ে তাঁর মধ্যে দ্বিধা ছিল না। কিন্তু প্রবল প্ররোচনা সত্ত্বেও অনিয়মতান্ত্রিক পথে পা বাড়াননি। যোগ দেননি উগ্রপন্থীদের দলে। তিনি বেছে নিয়েছিলেন ‘নরমপন্থী’ সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অহিংসার নীতিতে বিশ্বাসী মহাত্মা গান্ধীর পথ।
শিক্ষাজীবন শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঙ্গলা উচ্চ ইংরাজি বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদে যোগ দেন। তবে তাঁর শিক্ষকতা জীবন এক বছরও স্থায়ী হয়নি। যোগ দেন ‘ওকালতি ব্যবসায়’। দীর্ঘ প্রায় ৬০ বছর তিনি আইন পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। বস্তুত এ পেশাটিকেও তিনি গ্রহণ করেছিলেন তাঁর জনসেবার ব্রত পালনের মাধ্যম হিসেবে। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সূচনাও জাঁকজমকপূর্ণ নয়। জওহরলাল নেহরুর মতো পারিবারিক ঐতিহ্য কিংবা মহাত্মা গান্ধীর মতো পেশাগত খ্যাতি—কোনোটাই তাঁর ছিল না। বলা যায়, একেবারে শূন্য থেকে শুরু করতে হয়েছিল তাঁকে। কুমিল্লা পৌরসভা থেকে শুরু করে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আইনসভা পর্যন্ত যত নির্বাচনে তিনি অংশ নিয়েছেন, নানা ধরনের প্রতিকূলতা সত্ত্বেও একটি ছাড়া সব নির্বাচনেই জয়ী হয়েছেন। অবিভক্ত ভারতে ও পাকিস্তানে একাধিকবার আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মন্ত্রী ছিলেন। পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য হিসেবে শাসনতন্ত্র প্রণয়নসহ পালন করেছেন বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। অভিজ্ঞ ও দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে দলমত-নির্বিশেষে সবার শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন।
শুধু ব্রিটিশ শাসনামলেই তাঁকে পাঁচবার কারাবরণ করতে হয়েছে। পরিতাপের বিষয় হলো, যে স্বাধীনতার জন্য তিনি এত ত্যাগ স্বীকার করেছেন, সেই স্বাধীন পাকিস্তানেও বিনা বিচারে জেল খাটতে হয়েছে তাঁকে। শুধু ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে আমৃত্যু তাঁকে বহন করতে হয়েছে পদে পদে লাঞ্ছনা আর অপমানের দুর্বহ যন্ত্রণা। বাকি ছিল শুধু নিজের জীবন। সেটাও তিনি উৎসর্গ করে গেছেন স্বদেশের স্বাধীনতার বেদিমূলে। একা নন, সঙ্গে ছিলেন কনিষ্ঠ পুত্র দিলীপ দত্তও।
মাতৃভাষা, মাতৃভূমি ও মাতৃভূমির মানুষের প্রতি প্রবল ভালোবাসা ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের চরিত্রের একটি উজ্জ্বলতম দিক। এর জন্য চরম মূল্যও দিতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু এ নিয়ে তাঁর কোনো আক্ষেপ বা অনুশোচনা ছিল না। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় তিনি ছিলেন অবিভক্ত বাংলার ব্যবস্থাপক পরিষদের ডেপুটি লিডার। ছিলেন কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাদের একজন। তখন দেশত্যাগ করে ভারতে চলে গেলে উচ্চপদে আসীন হতে পারতেন, পেতেন উপযুক্ত সম্মান ও স্বীকৃতি। অন্যদিকে, ধর্মীয় দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান যে তাঁর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে, তা তিনি জানতেন। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পরও তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও রাজনৈতিক সহকর্মীদের অনেকেই দেশ ছেড়ে গেছেন প্রাণভয়ে। তখনো তিনি দেশত্যাগের কথা একবারও ভাবেননি, বরং বরাবরের মতোই ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের প্রশ্নকে ছাপিয়ে উঠেছে তাঁর দেশপ্রেম ও কর্তব্যবোধ। একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যাযজ্ঞের পর যখন দলে দলে লোক দেশ ছেড়ে যাচ্ছে, তখনো তিনি দেশত্যাগে সম্মত হননি একই কারণে। বরং সপুত্র জীবন দিয়েই মাতৃভূমি ও মাতৃভূমির মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও কর্তব্যবোধের অনবদ্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তিনি।
বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে নিবেদিতপ্রাণ এ মানুষটির ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
মিনার মনসুর
No comments