জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের আবেদন-'আত্মবিশ্বাসী' আব্বাস, পাশে আছেন নিক ক্লেগ-* হামাস-ফাতাহ একজোট, বহু দেশের সমর্থন আছে : আব্বা-* ইসরায়েলের সমালোচনা
য়াফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের 'সাবভৌম রাষ্ট্রের' মর্যাদা দাবির বিষয়ে তিনি 'সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী'। ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘের 'স্থায়ী পর্যবেকক্ষক'-এর মর্যাদা ভোগ করছে।
'নন মেম্বার অবজারভার স্টেট' বা স্বার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদার দাবিতে আগামী বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে আবেদন পেশ করার কথা আব্বাসের। গত রবিবার রামাল্লায় সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি বলেন, 'আমরা সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জাতিসংঘে যাচ্ছি।'
এদিকে ফিলিস্তিনের আবেদনের পক্ষে 'হ্যাঁ' ভোট দিতে ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন জোট সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ। নীতিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সরকার ভোটাভুটিতে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকার অবস্থান নিয়েছে। তবে জোটসঙ্গী লিবারাল ডেমোক্র্যাট নেতা ক্লেগ এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগকে তাঁদের অবস্থান পরিবর্তনের কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। সরকারি এক সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকা রবিবার জানায়, ফিলিস্তিন প্রশ্নে ব্রিটিশ সরকারের মধ্যে নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট আব্বাস বলেন, 'যে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি তার ব্যাপারে আমরা সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী। আমরা অধিকার অর্জনে সমর্থ হব। কারণ আপনারা (জনতা) আমাদের সঙ্গে আছেন।' ফিলিস্তিনের এ আবেদনের পক্ষে জাতিসংঘের বহু সদস্যরাষ্ট্রের সমর্থন আছে বলেও জানান তিনি। ফিলিস্তিনের সব রাজনৈতিক শক্তিগুলোও এ ব্যাপারে একজোট আছ উল্লেখ করে আব্বাস বলেন, 'আমরা শুধু শান্তি চাইছি। পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও একমত।' তিনি জানান, হামাস ও ফাতাহর মধ্যকার তিক্ত রাজনৈতিক বিভাজনের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে এ উদ্যোগ। 'ফলে আজ আমরা জাতিসংঘে যেতে পারছি। এরপর জাতীয় মতৈক্য প্রতিষ্ঠা এবং এরপর নিজেদের রাষ্ট্র।'
তবে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের এ উদ্যোগের সমালোচনা করেছে ইসরায়েল। গত শুক্রবার ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় বলা হয়, আব্বাস ফিলিস্তিনের অর্ধেক ভূখণ্ডের (পশ্চিম তীর) প্রতিনিধিত্ব করেন। সে ক্ষেত্রে পুরো ফিলিস্তিনের হয়ে কিভাবে জাতিসংঘের দারস্থ হন তিনি? পাশাপাশি সাম্প্রতিক ইসরায়েল-গাজা সংঘাতে হামাসকে সমর্থন জানানোয় আব্বাসের কঠোর সমালোচনা করা হয়।
গত বুধবার অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ায় টানা আট দিনের সংঘাতের অবসান হয়। পরদিন হামাসের প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়াকে ফোন করে অভিনন্দন জানান আব্বাস। এতে ক্ষিপ্ত ইসরায়েলের বক্তব্য, গাজার হামলায় তাদের পাঁচজন 'নিষ্পাপ নাগরিক হত্যার' নিন্দা জানাননি আব্বাস। এটা ঠিক হয়নি। সূত্র : এএফপি, গার্ডিয়ান, আল-জাজিরা।
এদিকে ফিলিস্তিনের আবেদনের পক্ষে 'হ্যাঁ' ভোট দিতে ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন জোট সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ। নীতিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সরকার ভোটাভুটিতে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকার অবস্থান নিয়েছে। তবে জোটসঙ্গী লিবারাল ডেমোক্র্যাট নেতা ক্লেগ এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগকে তাঁদের অবস্থান পরিবর্তনের কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। সরকারি এক সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটেনের গার্ডিয়ান পত্রিকা রবিবার জানায়, ফিলিস্তিন প্রশ্নে ব্রিটিশ সরকারের মধ্যে নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট আব্বাস বলেন, 'যে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি তার ব্যাপারে আমরা সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী। আমরা অধিকার অর্জনে সমর্থ হব। কারণ আপনারা (জনতা) আমাদের সঙ্গে আছেন।' ফিলিস্তিনের এ আবেদনের পক্ষে জাতিসংঘের বহু সদস্যরাষ্ট্রের সমর্থন আছে বলেও জানান তিনি। ফিলিস্তিনের সব রাজনৈতিক শক্তিগুলোও এ ব্যাপারে একজোট আছ উল্লেখ করে আব্বাস বলেন, 'আমরা শুধু শান্তি চাইছি। পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও একমত।' তিনি জানান, হামাস ও ফাতাহর মধ্যকার তিক্ত রাজনৈতিক বিভাজনের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে এ উদ্যোগ। 'ফলে আজ আমরা জাতিসংঘে যেতে পারছি। এরপর জাতীয় মতৈক্য প্রতিষ্ঠা এবং এরপর নিজেদের রাষ্ট্র।'
তবে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের এ উদ্যোগের সমালোচনা করেছে ইসরায়েল। গত শুক্রবার ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় বলা হয়, আব্বাস ফিলিস্তিনের অর্ধেক ভূখণ্ডের (পশ্চিম তীর) প্রতিনিধিত্ব করেন। সে ক্ষেত্রে পুরো ফিলিস্তিনের হয়ে কিভাবে জাতিসংঘের দারস্থ হন তিনি? পাশাপাশি সাম্প্রতিক ইসরায়েল-গাজা সংঘাতে হামাসকে সমর্থন জানানোয় আব্বাসের কঠোর সমালোচনা করা হয়।
গত বুধবার অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ায় টানা আট দিনের সংঘাতের অবসান হয়। পরদিন হামাসের প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়াকে ফোন করে অভিনন্দন জানান আব্বাস। এতে ক্ষিপ্ত ইসরায়েলের বক্তব্য, গাজার হামলায় তাদের পাঁচজন 'নিষ্পাপ নাগরিক হত্যার' নিন্দা জানাননি আব্বাস। এটা ঠিক হয়নি। সূত্র : এএফপি, গার্ডিয়ান, আল-জাজিরা।
No comments