সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা বিরোধীদের-বিচারকদের সঙ্গে মুরসির বৈঠক দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক
প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির জারি করা অধ্যাদেশের (ডিক্রি) প্রতিবাদে মিসরে বিক্ষোভ আরো তীব্র হয়েছে। গতকাল সোমবার তৃতীয় দিনের মতো মুরসির সমর্থকদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। আগের দিন সংঘর্ষে মুরসির এক সমর্থক নিহত হয়েছেন।
চলমান পরিস্থিতিতে ফের দেশে সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ এল বারাদি। বিরোধীরা আজ মঙ্গলবার দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ করার ঘোষণা দিয়েছে।
তবে মুরসি ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভূত করার বিষয়টিকে সাময়িক বলে উল্লেখ করেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে গতকাল তিনি বিচারকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
গত বৃহস্পতিবার নিজের একচ্ছত্র ক্ষমতার ঘোষণা দিয়ে ডিক্রি জারি করেন মুরসি। সে অনুযায়ী মিসরের কোনো আদালত, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি তাঁর নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ বা আইন চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন না। ডিক্রির ঘোষণায় কায়রোসহ সারা দেশে মুরসিবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী কায়রোর তাহরির স্কয়ারে অবস্থান নেয়। মুরসি ও তাঁর দল মুসলিম ব্রাদারহুডের পতন দাবি করে তারা। মুরসির সমর্থকরাও পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে। গত শনিবার থেকে মিসরের বিভিন্ন স্থানে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক লোক আহত হয়েছে। রবিবার মিসরের উত্তরাঞ্চলীয় দামানহুর শহরে মুসলিম ব্রাদারহুডের কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের সময় দলের এক সদস্য নিহত হন।
আজ বিরোধী দলগুলো দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। মুরসির সমর্থকরাও একই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিচারক ও আইনজীবীরা নতুন অধ্যাদেশের তীব্র সমালোচনা করেছেন। মুরসির ঘোষণাকে অভ্যুত্থান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তাঁরা। অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছেন আলেকজান্দ্রিয়ার আইনজীবী ও বিচারকরা। কায়রোসহ আরো কয়েকটি শহরেও গত রবিবার আইনজীবী ও বিচারকরা ধর্মঘট পালন করেন। মিসরে বিচারকদের সর্বোচ্চ সংস্থা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল নতুন অধ্যাদেশকে বিচার বিভাগের ওপর 'নজিরবিহীন আঘাত' হিসেবে উল্লেখ করেন। তবে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে রবিবার এক বিবৃতিতে মুরসি বলেন, ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার বিষয়টি সাময়িক। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক আলোচনা জরুরি। গতকাল কায়রোয় বিচারকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তবে আলাচনার ফলাফল জানা যায়নি।
এদিকে মিসরের বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান মোহাম্মদ এল বারাদি বলেছেন, মুরসির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়ার বিষয়টি সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। গত শনিবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'মিসরে ক্ষোভ, নৈরাজ্য ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে এবং সরকার ধীরে ধীরে ক্ষয় পেতে শুরু করেছে। আমরা আশা করব, দেশকে নতুন করে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার আগেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ না করে বসে থাকবে না।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
তবে মুরসি ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভূত করার বিষয়টিকে সাময়িক বলে উল্লেখ করেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে গতকাল তিনি বিচারকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
গত বৃহস্পতিবার নিজের একচ্ছত্র ক্ষমতার ঘোষণা দিয়ে ডিক্রি জারি করেন মুরসি। সে অনুযায়ী মিসরের কোনো আদালত, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি তাঁর নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত, অধ্যাদেশ বা আইন চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন না। ডিক্রির ঘোষণায় কায়রোসহ সারা দেশে মুরসিবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী কায়রোর তাহরির স্কয়ারে অবস্থান নেয়। মুরসি ও তাঁর দল মুসলিম ব্রাদারহুডের পতন দাবি করে তারা। মুরসির সমর্থকরাও পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করে। গত শনিবার থেকে মিসরের বিভিন্ন স্থানে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে শতাধিক লোক আহত হয়েছে। রবিবার মিসরের উত্তরাঞ্চলীয় দামানহুর শহরে মুসলিম ব্রাদারহুডের কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের সময় দলের এক সদস্য নিহত হন।
আজ বিরোধী দলগুলো দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। মুরসির সমর্থকরাও একই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিচারক ও আইনজীবীরা নতুন অধ্যাদেশের তীব্র সমালোচনা করেছেন। মুরসির ঘোষণাকে অভ্যুত্থান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তাঁরা। অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছেন আলেকজান্দ্রিয়ার আইনজীবী ও বিচারকরা। কায়রোসহ আরো কয়েকটি শহরেও গত রবিবার আইনজীবী ও বিচারকরা ধর্মঘট পালন করেন। মিসরে বিচারকদের সর্বোচ্চ সংস্থা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল নতুন অধ্যাদেশকে বিচার বিভাগের ওপর 'নজিরবিহীন আঘাত' হিসেবে উল্লেখ করেন। তবে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে রবিবার এক বিবৃতিতে মুরসি বলেন, ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার বিষয়টি সাময়িক। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক আলোচনা জরুরি। গতকাল কায়রোয় বিচারকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তবে আলাচনার ফলাফল জানা যায়নি।
এদিকে মিসরের বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ ও আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান মোহাম্মদ এল বারাদি বলেছেন, মুরসির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়ার বিষয়টি সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। গত শনিবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'মিসরে ক্ষোভ, নৈরাজ্য ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানেই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে এবং সরকার ধীরে ধীরে ক্ষয় পেতে শুরু করেছে। আমরা আশা করব, দেশকে নতুন করে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার আগেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ না করে বসে থাকবে না।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments