চিকিৎসক হতে চান সুমি ও জেরিন, কিন্তু... by এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান
স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে কড়া নাড়ছে দরজায়। নিজেদের ও বাবার ইচ্ছা পূরণে বড় ব্যাকুল দুই বোন। অথচ আর্থিক সংকট খুলতে দিচ্ছে না সুমি ও জেরিনের স্বপ্ন বাস্তব হওয়ার দরজা।
গৌরীপুর উপজেলার পৌর শহরের কালীপুর কলাবাগানের সবজি বিক্রেতা মো. হাসিম উদ্দিনের (৪৮) দুই মেয়ে সায়মুন নাহার সুমি এ বছর ঢাকা মেডিকেল কলেজ আর ইউকাবেতুন্নাহার জেরিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বাবারও ইচ্ছা, চিকিৎসক হবেন দুই মেয়ে। মানব সেবায় বিলিয়ে দেবেন নিজেদের। মেয়েদের নিয়ে এমন স্বপ্ন দেখেন বাবা মো. হাসিম উদ্দিন। কিন্তু স্বপ্ন যখন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে ঠিক সেই মুহুর্তে দুশ্চিন্তার ছাপ তারও চোখে-মুখে। যেখানে সংসারের খরচ চালাতেই তাকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়, সেখানে মেডিকেলে উত্তীর্ণ দুই মেয়ের শিক্ষা খরচ কিভাবে চালাবেন, এ নিয়ে রাজ্যের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তার কাছে। হাসি নেই রত্নাগর্ভা মা শিরিন আক্তারের মুখেও।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সবজি বিক্রেতার এ পরিবারের বাকি সদস্যরাও শিক্ষা জীবনে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তার ৪ সন্তান। বড় মেয়েকে ইতোমধ্যে এসএসসি পাস করিয়ে বিয়ে দিয়েছেন।
দ্বিতীয় মেয়ে সাবিকুন্নাহার আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ইংরেজি বিষয়ে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তৃতীয় মেয়ে সায়মুন নাহার সুমি ২০০৯ সালে গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০১১ সালে গৌরীপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উর্ত্তীণ হন।
এছাড়া তিনি ৫ম শ্রেণীতে সাধারণ আর জুনিয়রে মেধাবৃত্তি লাভ করেন। চতুর্থ মেয়ে ইউকাবেতুন্নাহার জেরিন ২০১০ সালে গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ ও ২০১২ সালে গৌরীপুর সরকারি কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
৫ম ও ৮ম শ্রেণীতেও তিনি পেয়েছিলেন মেধাবৃত্তি। শত অভাব ও দুঃখ তাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি। গরিব অভাবী এ সবজি বিক্রেতার অদম্য মেধাবী দুই মেয়ে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে অনন্য কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন।
এদিকে, এ সবজি বিক্রেতার একমাত্র ছেলে স্যামুয়েল হক রিবাতও ৫ম শ্রেণীতে মেধাবৃত্তি পেয়েছে। এবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা দিয়েছে সে।
মো. হাসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, “মাত্র দুই শতাংশের ভিটে-মাটি ছাড়া তার কিছুই নেই। কেউ যদি আমার মেয়ে দুটিকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসতেন, তবে আমার স্বপ্ন পূরণ হতো।”
এ বিষয়ে মেধাবী জেরিন ও সুমি এক বাক্যে অভিন্ন উত্তর দিয়ে বলেন, “স্বপ্ন হয়েছে সত্যি। কণ্টকাকীর্ণ পথ পেরুতে চাই সবার সহযোগিতায়।”
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সবজি বিক্রেতার এ পরিবারের বাকি সদস্যরাও শিক্ষা জীবনে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তার ৪ সন্তান। বড় মেয়েকে ইতোমধ্যে এসএসসি পাস করিয়ে বিয়ে দিয়েছেন।
দ্বিতীয় মেয়ে সাবিকুন্নাহার আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ইংরেজি বিষয়ে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তৃতীয় মেয়ে সায়মুন নাহার সুমি ২০০৯ সালে গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০১১ সালে গৌরীপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উর্ত্তীণ হন।
এছাড়া তিনি ৫ম শ্রেণীতে সাধারণ আর জুনিয়রে মেধাবৃত্তি লাভ করেন। চতুর্থ মেয়ে ইউকাবেতুন্নাহার জেরিন ২০১০ সালে গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ ও ২০১২ সালে গৌরীপুর সরকারি কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
৫ম ও ৮ম শ্রেণীতেও তিনি পেয়েছিলেন মেধাবৃত্তি। শত অভাব ও দুঃখ তাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি। গরিব অভাবী এ সবজি বিক্রেতার অদম্য মেধাবী দুই মেয়ে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে অনন্য কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন।
এদিকে, এ সবজি বিক্রেতার একমাত্র ছেলে স্যামুয়েল হক রিবাতও ৫ম শ্রেণীতে মেধাবৃত্তি পেয়েছে। এবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা দিয়েছে সে।
মো. হাসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, “মাত্র দুই শতাংশের ভিটে-মাটি ছাড়া তার কিছুই নেই। কেউ যদি আমার মেয়ে দুটিকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসতেন, তবে আমার স্বপ্ন পূরণ হতো।”
এ বিষয়ে মেধাবী জেরিন ও সুমি এক বাক্যে অভিন্ন উত্তর দিয়ে বলেন, “স্বপ্ন হয়েছে সত্যি। কণ্টকাকীর্ণ পথ পেরুতে চাই সবার সহযোগিতায়।”
No comments