পদ্মাসেতুতে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছেঃ দুদক চেয়ারম্যান
আগামী ৩ ডিসেম্বর পদ্মাসেতু দুর্নীতির অনুসন্ধান কাজ শেষ হওয়ার পরই জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, ‘‘এখানে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়েছে। এ দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে দুদক।’’
‘পদ্মাসেতুর বিশাল এ প্রকল্পে কিছু লোক লাভবান হতে চেষ্টা করেছিলেন’ উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ``ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।``
তিনি বলেন, ``৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করবো। এরপরই অনুসন্ধান টিম একটি প্রতিবেদন জমা দেবে। তার ভিত্তিতেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।``
মামলা হচ্ছে কি-না এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ``আগাম কিছু বলতে চাই না, তবে আইনগত ব্যবস্থা হবে। আমরা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছি।``
আগামী ২ বা ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের প্যানেল আসবে বলেও এ সময় সাংবাদিকদের জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, পদ্মাসেতুতে দুর্নীতির প্রসঙ্গটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হলেও এ ব্যাপারে এখনও দুর্নীতির তথ্য পাননি বলে ইতিপূর্বে জানিয়েছিলেন দুদক চেয়ারম্যান।
তবে মঙ্গলবার ‘তথ্য পাওয়া গেছে’ বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে জুলাই মাসে পদ্মাসেতু প্রকল্পে কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনকে ‘কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ পাবেন’ এরকম কিছু ব্যক্তির নামের তালিকা পেয়েছিলো দুদক।
বিশ্বব্যাংকের তরফ থেকে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো একটি চিঠির সঙ্গে ওই তালিকাটি পাঠানো হয়। তালিকায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের ব্যক্তিদের নাম রয়েছে।
তালিকার কয়েকটি নাম সংক্ষেপে ও কয়েকটি নাম পূর্ণাঙ্গভাবে লেখা ছিলো বলে জানা গেছে। তবে সংক্ষেপে যাদের নাম লেখা রয়েছে, তারা সবাই পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
দুদক সূত্র জানায়, ওই তালিকায় প্রথমে লেখা ছিলো, ‘দাবি অনুযায়ী তাদের কিছু দিতে হবে।’ পরে সিরিয়াল অনুযায়ী নামগুলো ওই তালিকায় উল্লেখ করা হয়।
কানাডীয় নাগরিক রমেশের ডায়েরিতে দুর্নীতির তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথমে সংক্ষিপ্তভাবে লেখা হয় তিন ব্যক্তির নাম। তারা হচ্ছেন তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও পদ্মাসেতু প্রকল্পের সাবেক পরিচালক রফিকুল ইসলাম। এরপর সম্পূর্ণভাবে লেখা হয় সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী ও নিক্সন চৌধুরীর নাম।
অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তালিকায় উল্লেখ থাকা ব্যক্তিদের একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
তিনি বলেন, ``৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করবো। এরপরই অনুসন্ধান টিম একটি প্রতিবেদন জমা দেবে। তার ভিত্তিতেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।``
মামলা হচ্ছে কি-না এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ``আগাম কিছু বলতে চাই না, তবে আইনগত ব্যবস্থা হবে। আমরা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছি।``
আগামী ২ বা ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের প্যানেল আসবে বলেও এ সময় সাংবাদিকদের জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, পদ্মাসেতুতে দুর্নীতির প্রসঙ্গটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হলেও এ ব্যাপারে এখনও দুর্নীতির তথ্য পাননি বলে ইতিপূর্বে জানিয়েছিলেন দুদক চেয়ারম্যান।
তবে মঙ্গলবার ‘তথ্য পাওয়া গেছে’ বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে জুলাই মাসে পদ্মাসেতু প্রকল্পে কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনকে ‘কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ পাবেন’ এরকম কিছু ব্যক্তির নামের তালিকা পেয়েছিলো দুদক।
বিশ্বব্যাংকের তরফ থেকে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো একটি চিঠির সঙ্গে ওই তালিকাটি পাঠানো হয়। তালিকায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের ব্যক্তিদের নাম রয়েছে।
তালিকার কয়েকটি নাম সংক্ষেপে ও কয়েকটি নাম পূর্ণাঙ্গভাবে লেখা ছিলো বলে জানা গেছে। তবে সংক্ষেপে যাদের নাম লেখা রয়েছে, তারা সবাই পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
দুদক সূত্র জানায়, ওই তালিকায় প্রথমে লেখা ছিলো, ‘দাবি অনুযায়ী তাদের কিছু দিতে হবে।’ পরে সিরিয়াল অনুযায়ী নামগুলো ওই তালিকায় উল্লেখ করা হয়।
কানাডীয় নাগরিক রমেশের ডায়েরিতে দুর্নীতির তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথমে সংক্ষিপ্তভাবে লেখা হয় তিন ব্যক্তির নাম। তারা হচ্ছেন তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও পদ্মাসেতু প্রকল্পের সাবেক পরিচালক রফিকুল ইসলাম। এরপর সম্পূর্ণভাবে লেখা হয় সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী ও নিক্সন চৌধুরীর নাম।
অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তালিকায় উল্লেখ থাকা ব্যক্তিদের একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
No comments