ডাক্তারদের মিটিং-মিছিল-অবহেলিত হচ্ছে চিকিৎসা ও রোগীসেবা
আগামী ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। চিকিৎসাসেবার এ কেন্দ্রগুলো যেন পৌরসভা নির্বাচনকেন্দ্রের রূপ নিয়েছে। বিভিন্ন পদের প্রার্থীদের ব্যানার, ফেস্টুনে কলেজ-হাসপাতাল ছেয়ে গেছে।
দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে অভিযোগ করা হয়েছে, দুই পক্ষে বিভক্ত চিকিৎসকদের বেশির ভাগই কর্তব্যকাজ ফেলে রেখে নির্বাচনী মিছিল-মিটিং ও প্রচারণায় মত্ত হয়ে আছেন। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যারা প্রাণ বাঁচাতে হাসপাতালে চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হয়েছে, সেসব চিকিৎসাপ্রত্যাশী রোগী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে মুখ্যত দুটি সংগঠন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে থাকে। এর একটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থক স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ বা স্বাচিপ, অন্যটি প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সমর্থনপুষ্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ড্যাব।
নিশ্চয়ই চিকিৎসকরা তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় দেখভালের জন্য সংগঠন করতে পারেন। এটি তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সে অধিকারের মাত্রা এমন এক স্তরে পৌঁছানো উচিত নয়, যাতে অন্যের অধিকার ব্যাহত বা খর্ব হয়। চিকিৎসকদের আচরণ রাজনৈতিক নেতাদের মতো হওয়াও বাঞ্ছনীয় নয়। চিকিৎসার মতো মহান পেশায় যাঁরা থাকেন, তাঁদের কাছে সেবা এক অপরিহার্য কর্তব্য। কোনোক্রমেই রোগীর প্রতি সামান্যতম অবহেলা বা দায়িত্ব পালনে অসচেতনতা গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি, নিজেদের স্বার্থরক্ষাবিষয়ক সংগঠন বিএমএর নির্বাচনই চিকিৎসকদের কাছে মূল্যবান হয়ে পড়েছে। তাঁদের এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে একজন ডাক্তার যখন মিটিং বা মিছিলে যোগ দিচ্ছেন, ঠিক সেই সময় তাঁর জন্য হয়তো কোনো না কোনো মুমূর্ষু রোগী অপেক্ষা করছে। অভিযোগ উঠেছে, বিএমএ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টাকার ছড়াছড়ি চলছে। এমন খবর দেশবাসীকে বিস্মিত করে। চিকিৎসকদের নির্বাচনে এ ধরনের প্র্যাকটিস থাকার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। অন্যদিকে বিএমএ চিকিৎসকদের একটি পেশাগত সংগঠন হলেও এ প্রতিষ্ঠানে এমনভাবে রাজনীতি প্রবেশ করেছে, যে পক্ষ নির্বাচিত হয় অথবা সরকারে থাকা দলের সমর্থন পায়, সে দল ছাড়া অন্যদের স্বার্থ কখনোই দেখা হয় না। এ অসুস্থ ও পক্ষপাতদুষ্ট চর্চাও বিএমএ থেকে দূর হওয়া প্রয়োজন। চিকিৎসা পেশা দেশের অন্যতম সম্মানজনক পেশা এবং এ পেশায় নিয়োজিতদের আর্থিক নিরাপত্তাও অন্যান্য পেশার তুলনায় সুনিশ্চিত। তাঁদের কাছেই জাতি সর্বাগ্রে সংকীর্ণতার উর্ধ্বে ওঠার দাবিটি রাখতে পারে।
নিশ্চয়ই চিকিৎসকরা তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় দেখভালের জন্য সংগঠন করতে পারেন। এটি তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু সে অধিকারের মাত্রা এমন এক স্তরে পৌঁছানো উচিত নয়, যাতে অন্যের অধিকার ব্যাহত বা খর্ব হয়। চিকিৎসকদের আচরণ রাজনৈতিক নেতাদের মতো হওয়াও বাঞ্ছনীয় নয়। চিকিৎসার মতো মহান পেশায় যাঁরা থাকেন, তাঁদের কাছে সেবা এক অপরিহার্য কর্তব্য। কোনোক্রমেই রোগীর প্রতি সামান্যতম অবহেলা বা দায়িত্ব পালনে অসচেতনতা গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি, নিজেদের স্বার্থরক্ষাবিষয়ক সংগঠন বিএমএর নির্বাচনই চিকিৎসকদের কাছে মূল্যবান হয়ে পড়েছে। তাঁদের এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে একজন ডাক্তার যখন মিটিং বা মিছিলে যোগ দিচ্ছেন, ঠিক সেই সময় তাঁর জন্য হয়তো কোনো না কোনো মুমূর্ষু রোগী অপেক্ষা করছে। অভিযোগ উঠেছে, বিএমএ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টাকার ছড়াছড়ি চলছে। এমন খবর দেশবাসীকে বিস্মিত করে। চিকিৎসকদের নির্বাচনে এ ধরনের প্র্যাকটিস থাকার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। অন্যদিকে বিএমএ চিকিৎসকদের একটি পেশাগত সংগঠন হলেও এ প্রতিষ্ঠানে এমনভাবে রাজনীতি প্রবেশ করেছে, যে পক্ষ নির্বাচিত হয় অথবা সরকারে থাকা দলের সমর্থন পায়, সে দল ছাড়া অন্যদের স্বার্থ কখনোই দেখা হয় না। এ অসুস্থ ও পক্ষপাতদুষ্ট চর্চাও বিএমএ থেকে দূর হওয়া প্রয়োজন। চিকিৎসা পেশা দেশের অন্যতম সম্মানজনক পেশা এবং এ পেশায় নিয়োজিতদের আর্থিক নিরাপত্তাও অন্যান্য পেশার তুলনায় সুনিশ্চিত। তাঁদের কাছেই জাতি সর্বাগ্রে সংকীর্ণতার উর্ধ্বে ওঠার দাবিটি রাখতে পারে।
No comments