বোরোর বাম্পার ফলন-চালের বাজারে আসুক স্থিতি
হাওরাঞ্চলে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে।
মাঠে মাঠে সোনারঙা পাকা ধান দেখে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। দেশের অন্যান্য
এলাকায় ফসল কাটতে আরও কয়েকটি দিন অপেক্ষা করতে হবে। সর্বত্রই অভিন্ন
বার্তা_ শস্যে ভরে উঠবে কৃষকের গোলা।
এর প্রভাবে খাদ্যশস্যের বাজারে যেন স্থিতি আসে, এটাই কাম্য। গত বছর হাওর
এলাকার ধান তলিয়ে গিয়েছিল উজান থেকে নেমে আসা ঢলে। এবারে তেমনটি ঘটেনি। এক
সময়ে আমনই ছিল ধানের প্রধান মৌসুম। কিন্তু এখন প্রধান মৌসুম হয়ে উঠেছে
বোরো। চলতি বছরে এক কোটি ৯২ লাখ টন চাল কৃষকের ঘরে উঠবে, এমনই প্রত্যাশা।
অথচ মাত্র এক যুগ আগে বোরো মৌসুমে এক কোটি টন চাল উৎপাদন হবে, সরকারের এমন
দাবি মানতে রাজি ছিল না উন্নয়ন সহযোগীদের কেউ কেউ। তাদের কাছে এ বিষয়টি
মনে হয়েছিল অবিশ্বাস্য। কিন্তু বাংলাদেশের কৃষকরা প্রকৃতই অসাধ্য সাধন
করেছে। এর সঙ্গে কৃষকের পাশে সরকারের বাড়িয়ে দেওয়া সহায়তার বিষয়টিও ভূমিকা
রেখেছে। সময়মতো সারের জোগান নিশ্চিত হয়েছে। সেচযন্ত্র চালানোর ব্যয় কমিয়ে
রাখতে গরমকালের দাবদাহের মধ্যেও শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে বাড়ানো হয়েছে
গ্রামের সরবরাহ। এ ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে ধানের বাইরে অন্যান্য
ফসলের উৎপাদনও বাড়ানো সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়। বাংলাদেশ এখন নিজের
খাদ্যের প্রায় সবটাই নিজেরা উৎপাদন করতে পারছে। যে সামান্য ঘাটতি রয়েছে তা
পূরণে নির্ভরতা আমদানির ওপর। খাদ্যশস্যের বিশ্ববাজারে অস্থিরতার কারণে এই
সীমিত পরিমাণ খাদ্যশস্য আমদানির জন্যও প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। অথচ
কৃষকদের অভিমত, এই অর্থের একটি অংশ সহায়তা হিসেবে তাদের প্রদান করা হলে
দেশেই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা সম্ভব।
গত কয়েক বছর ধরে দেশেও খাদ্যশস্যের বাজার চড়া। এর ফলে দরিদ্র পরিবারগুলো কষ্টে রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিয়ে শহর ও গ্রামের সর্বত্র খোলাবাজারে চাল বিক্রি করছে। বোরো ধানের বাম্পার ফলনের কারণে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা যায়। আমন মৌসুমে সরকার নিজের মজুদ বাড়ানো ধান-চাল সংগ্রহ করেনি। এর পরিবর্তে বিশ্ববাজার থেকে কিছু চাল ও গম কিনেছে। এ জন্য ব্যয় পড়ে প্রচুর এবং তাতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সমস্যা হয়। বোরো ধানের ফলন ভালো হওয়ায় সরকার কি দেশীয় বাজার থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ করবে? এ ধরনের পদক্ষেপে বাজারে যেন নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে তার প্রতি নজর রাখতে হবে। একই সঙ্গে খাদ্য ব্যবসায়ীদের ওপরও চাই কঠোর নজরদারি। বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকার পরও তারা নানা কারসাজি করে দাম বাড়িয়ে জনজীবনে দুর্ভোগ ডেকে এনেছে। বোরো মৌসুমে কৃষক-মজুরের শ্রমে-ঘামে ফলানো ধান নিয়ে তারা কি ফের ফাটকা খেলায় মেতে উঠবে? বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে, কিছুসংখ্যক ব্যবসায়ী ফসল ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলক কম দামে কৃষকদের কাছ থেকে তা কিনে নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় এবং পরে প্রচুর মুনাফা ঘরে তোলে। এ ধরনের অসাধুতা কেবল সরকারই বন্ধ করতে পারে। অন্যথায় ধানের আলোয় উদ্ভাসিত কৃষক-কৃষাণীর মুখ দ্রুতই ঢেকে যাবে অন্ধকারে এবং খাদ্যের বাজারও হয়ে উঠবে অস্থির।
গত কয়েক বছর ধরে দেশেও খাদ্যশস্যের বাজার চড়া। এর ফলে দরিদ্র পরিবারগুলো কষ্টে রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিয়ে শহর ও গ্রামের সর্বত্র খোলাবাজারে চাল বিক্রি করছে। বোরো ধানের বাম্পার ফলনের কারণে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা যায়। আমন মৌসুমে সরকার নিজের মজুদ বাড়ানো ধান-চাল সংগ্রহ করেনি। এর পরিবর্তে বিশ্ববাজার থেকে কিছু চাল ও গম কিনেছে। এ জন্য ব্যয় পড়ে প্রচুর এবং তাতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সমস্যা হয়। বোরো ধানের ফলন ভালো হওয়ায় সরকার কি দেশীয় বাজার থেকে ধান ও চাল সংগ্রহ করবে? এ ধরনের পদক্ষেপে বাজারে যেন নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে তার প্রতি নজর রাখতে হবে। একই সঙ্গে খাদ্য ব্যবসায়ীদের ওপরও চাই কঠোর নজরদারি। বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকার পরও তারা নানা কারসাজি করে দাম বাড়িয়ে জনজীবনে দুর্ভোগ ডেকে এনেছে। বোরো মৌসুমে কৃষক-মজুরের শ্রমে-ঘামে ফলানো ধান নিয়ে তারা কি ফের ফাটকা খেলায় মেতে উঠবে? বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে, কিছুসংখ্যক ব্যবসায়ী ফসল ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলক কম দামে কৃষকদের কাছ থেকে তা কিনে নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় এবং পরে প্রচুর মুনাফা ঘরে তোলে। এ ধরনের অসাধুতা কেবল সরকারই বন্ধ করতে পারে। অন্যথায় ধানের আলোয় উদ্ভাসিত কৃষক-কৃষাণীর মুখ দ্রুতই ঢেকে যাবে অন্ধকারে এবং খাদ্যের বাজারও হয়ে উঠবে অস্থির।
No comments