সরু গলিতে অপরিকল্পিত কারখানা by এস এম আজাদ
আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর বাজারের পর আবাসিক এলাকার সরু রাস্তার পাশেই নয় তলা কারখানা ভবনের সামনে ছোট একটি সাইনবোর্ড। তাতে লেখা, তাজরীন ফ্যাশনস লিমিটেড, তুবা গ্রুপ (TUBA), মনোসন্তোষ মৌজা, নিশ্চিন্তপুর, আশুলিয়া।
সরু গলিপথের শেষ দিকে অপরিকল্পিতভাবে ভবনটি নির্মাণ করায় শনিবার ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢোকাতে বেগ পেতে হয়। এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বলেন, কারখানাটির প্রবেশপথ প্রশস্ত হলে আগুন আগেই নিয়ন্ত্রণে নেওয়া যেত। আর অগ্নি শর্ত মোতাবেক পানি সরবরাহের ব্যবস্থা থাকলে অনেক সহজ হতো নির্বাপণ। মূলত কারখানাটির অবস্থানের কারণেই প্রাণহানি বেড়েছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সরু রাস্তার কারণে ঘটনাস্থলে আমাদের যেতে অনেক সময় লেগেছে। আশপাশে আবাসিক ভবন থাকার কারণে সব দিক থেকে আগুন নেভানোর কাজ করা যায়নি। উদ্ধারকাজও বিঘি্নত হয়েছে। সরু রাস্তার মধ্যে হাজার হাজার লোক জমায়েত হওয়ায় গাড়িসহ যন্ত্রপাতি মুভ করানো যায়নি। পানির সরবরাহও ছিল অপ্রতুল।'
প্রধান সড়ক থেকে দেড় কিলোমিটার সরু গলি পেরিয়ে পৌঁছাতে হয় তাজরীন ফ্যাশনসে। দুই ধারে বসতবাড়ি ও দোকানপাট। দুটি কাঁচাবাজারের অবস্থানও এ রাস্তার ধারে। কোনো যানবাহন এ গলিপথে ঢুকলে হাঁটা দুষ্কর হয়ে পড়ে। আঁকাবাঁকা পথেরধারে স্কুলের অস্তিত্বও দেখা গেছে। সব মিলিয়ে গার্মেন্ট কারখানা নির্মাণের সহায়ক কোনো পরিবেশ দেখা যায়নি তাজরীন ফ্যাশনসের আশপাশে।
রবিবার আগুন নেভার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আলোচিত তাজরীন ফ্যাশনসের পুরোটাতেই পোড়া কাপড় ও আর যন্ত্রপাতির স্তূপ। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় মেশিন, ফ্যান, চেয়ার-টেবিল সবই জ্বলে গেছে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত ওই সব স্থানে মানবদেহের পুড়ে যাওয়া অংশ দেখা গেছে। দুপুরের পর ডাম্পিংকাজ শেষ করে ওই সব আলামত সরিয়ে ফেলে উদ্ধারকারীরা। পঞ্চম তলার বেশির ভাগ স্থানই পোড়েনি। টেবিল, চেয়ার মেশিন অক্ষত আছে অনেক। আছে সুতা-কাপড়ও। ষষ্ঠ তলায় দেখা গেছে, খাবারের স্থানসহ অনেকটা ফাঁকা জায়গা। সপ্তম ও অষ্টম তলায় আগুনের ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কম। ভবনের দেয়ালে কালো দাগ ও কিছু মাল সামান্য পুড়েছে মাত্র। আট তলার ওপরই ভবনের নবম তলার ছাদ। ছাদে তালা লাগানোর ব্যবস্থা নেই। বড় ওই ছাদটির একাংশজুড়ে আরেকটি তলা নির্মাণের কাজ চলছে। এর পরও ওই ছাদে অন্তত এক হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারত বলে ধারণা উদ্ধারকারীদের। তবে বেঁচে যাওয়া শ্রমিকরা জানিয়েছেন, ধোঁয়ার কারণে তাঁরা উপড়ে উঠতে পারছিলেন না। তবে কিছু কর্মী উপরে উঠেছিলেন। তাঁদের মই দিয়ে উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ভবনটি ঘুরে দেখা গেছে, দক্ষিণ পাশে একটি ও উত্তর পাশে দুটি সিঁড়ি আছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের বা ভূমিকম্পের সময় জরুরি নামার জন্য জরুরি নির্গমন সিঁড়ি নেই। শনিবারের অগ্নিকাণ্ডের সময় উত্তর পাশের সিঁড়ি ব্যবহার করতে পারেননি কর্মীরা। একটি সিঁড়ি অনেক সরু। অন্যটি প্রথম দিকে তালাবদ্ধ ছিল। সিঁড়িতে ফেলে দেওয়া কাপড়সহ বিভিন্ন মাল ছিল। সেগুলো আগুনে পুড়ে যাওয়ার আলামতও দেখা গেছে। কারখানাটির সর্বত্রই পরিকল্পনাহীনতার ছাপ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কারখানাটি প্রথমে অনেক ছোট আকারে ছিল। আবাসিক এলকায় নির্মিত কারখানাটি সময়ে ব্যবধানে প্রায় দুই বিঘা জমির ওপর বিস্তৃত হয়। উপড়ে হয় আট তলা পর্যন্ত। এখনো ভবনটির নির্মাণের কাজ চলছি। ছাদে ও পেছনের দেয়ালে দিনে শ্রমিকরা কাজ করছিলেন।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সরু রাস্তার কারণে ঘটনাস্থলে আমাদের যেতে অনেক সময় লেগেছে। আশপাশে আবাসিক ভবন থাকার কারণে সব দিক থেকে আগুন নেভানোর কাজ করা যায়নি। উদ্ধারকাজও বিঘি্নত হয়েছে। সরু রাস্তার মধ্যে হাজার হাজার লোক জমায়েত হওয়ায় গাড়িসহ যন্ত্রপাতি মুভ করানো যায়নি। পানির সরবরাহও ছিল অপ্রতুল।'
প্রধান সড়ক থেকে দেড় কিলোমিটার সরু গলি পেরিয়ে পৌঁছাতে হয় তাজরীন ফ্যাশনসে। দুই ধারে বসতবাড়ি ও দোকানপাট। দুটি কাঁচাবাজারের অবস্থানও এ রাস্তার ধারে। কোনো যানবাহন এ গলিপথে ঢুকলে হাঁটা দুষ্কর হয়ে পড়ে। আঁকাবাঁকা পথেরধারে স্কুলের অস্তিত্বও দেখা গেছে। সব মিলিয়ে গার্মেন্ট কারখানা নির্মাণের সহায়ক কোনো পরিবেশ দেখা যায়নি তাজরীন ফ্যাশনসের আশপাশে।
রবিবার আগুন নেভার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আলোচিত তাজরীন ফ্যাশনসের পুরোটাতেই পোড়া কাপড় ও আর যন্ত্রপাতির স্তূপ। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় মেশিন, ফ্যান, চেয়ার-টেবিল সবই জ্বলে গেছে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত ওই সব স্থানে মানবদেহের পুড়ে যাওয়া অংশ দেখা গেছে। দুপুরের পর ডাম্পিংকাজ শেষ করে ওই সব আলামত সরিয়ে ফেলে উদ্ধারকারীরা। পঞ্চম তলার বেশির ভাগ স্থানই পোড়েনি। টেবিল, চেয়ার মেশিন অক্ষত আছে অনেক। আছে সুতা-কাপড়ও। ষষ্ঠ তলায় দেখা গেছে, খাবারের স্থানসহ অনেকটা ফাঁকা জায়গা। সপ্তম ও অষ্টম তলায় আগুনের ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কম। ভবনের দেয়ালে কালো দাগ ও কিছু মাল সামান্য পুড়েছে মাত্র। আট তলার ওপরই ভবনের নবম তলার ছাদ। ছাদে তালা লাগানোর ব্যবস্থা নেই। বড় ওই ছাদটির একাংশজুড়ে আরেকটি তলা নির্মাণের কাজ চলছে। এর পরও ওই ছাদে অন্তত এক হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারত বলে ধারণা উদ্ধারকারীদের। তবে বেঁচে যাওয়া শ্রমিকরা জানিয়েছেন, ধোঁয়ার কারণে তাঁরা উপড়ে উঠতে পারছিলেন না। তবে কিছু কর্মী উপরে উঠেছিলেন। তাঁদের মই দিয়ে উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ভবনটি ঘুরে দেখা গেছে, দক্ষিণ পাশে একটি ও উত্তর পাশে দুটি সিঁড়ি আছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের বা ভূমিকম্পের সময় জরুরি নামার জন্য জরুরি নির্গমন সিঁড়ি নেই। শনিবারের অগ্নিকাণ্ডের সময় উত্তর পাশের সিঁড়ি ব্যবহার করতে পারেননি কর্মীরা। একটি সিঁড়ি অনেক সরু। অন্যটি প্রথম দিকে তালাবদ্ধ ছিল। সিঁড়িতে ফেলে দেওয়া কাপড়সহ বিভিন্ন মাল ছিল। সেগুলো আগুনে পুড়ে যাওয়ার আলামতও দেখা গেছে। কারখানাটির সর্বত্রই পরিকল্পনাহীনতার ছাপ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কারখানাটি প্রথমে অনেক ছোট আকারে ছিল। আবাসিক এলকায় নির্মিত কারখানাটি সময়ে ব্যবধানে প্রায় দুই বিঘা জমির ওপর বিস্তৃত হয়। উপড়ে হয় আট তলা পর্যন্ত। এখনো ভবনটির নির্মাণের কাজ চলছি। ছাদে ও পেছনের দেয়ালে দিনে শ্রমিকরা কাজ করছিলেন।
No comments