কথা সামান্যই-বিদেশি পণ্য সংস্কৃতি ও দারিদ্র্য by ফজলুল আলম
বিদেশি জিনিসপত্রের সম্ভার আমাদের জীবনযাপনের প্রায় পুরো স্থানটাই দখল করে নিয়েছে- এটা বলা বোধ হয় সত্যের অপলাপ হবে না। এমনকি যেসব তরিতরকারি আমাদের দেশে উৎপাদিত হয়, সেসবের মধ্যেও অনেক কিছু (যেমন ক্যাপসিকাম বা গ্রিন পেপার) বিদেশ থেকে আমদানি করে ডাবল দামে বিক্রি করা হয়। ব্রিটিশ রাজত্বকালে বিদেশি পণ্য, বিশেষত বিলেতি কাপড় বর্জনের আন্দোলন হয়েছিল।
সে আন্দোলন কতটা সফল হয়েছিল তার জরিপ হয়নি, তবে সাহিত্যে বিষয়টা বেশ রোমান্টিকতার সৃষ্টি করেছিল অবশ্য। এখনো দেশি খদ্দর বা সুতি কাপড় পরিধান করে আমরা ফ্যাশনেবল হই। এই পর্যন্তই। স্বাধীনতার পর থেকে আমরা ধাপে ধাপে 'উন্নতি' করছি, অনেকে ধনী হচ্ছি, আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের আরাম-আয়েস বৃদ্ধি করার জন্য পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম, উপকরণ, দ্রব্যাদি, ভোগপণ্য ইত্যাদি মহাসমারোহে 'আমদানি' করা শুরু হয়েছে- এর অধিকাংশই দ্রব্য সংজ্ঞা অনুযায়ী 'বিলাসদ্রব্য'।
'বিলাসদ্রব্য' এক অর্থে অপ্রয়োজনীয় দ্রব্য হতে পারে। এটার বিপরীতে আছে 'অবিলাসদ্রব্য' বা 'প্রয়োজনীয় দ্রব্য'। দিনে দিনে এই সবের সংজ্ঞা পরিবর্তিত হয়ে যায়। একসময় ফ্রিজ, গাড়ি, এয়ার কন্ডিশনার- এসব ছিল বিলাসদ্রব্য। এখন এগুলো অনেকের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়, ফ্রিজ তো সবারই প্রয়োজন। এসব কিনে কিছুদিন আগেও বৈদেশিক মুদ্রা 'অপচয়' করা যেত না। তাই এগুলো আনতে গেলে বিদেশে গিয়ে বিদেশের রোজগারের টাকা দিয়ে কিনে আনতে হতো। তখন আমরা মুক্তবাজার অর্থনীতির কথা শুনিনি। তারপর দেখা গেল, বৈদেশিক মুদ্রা নেই- এ কথা বলে আর বিদেশের পণ্যদ্রব্যের আগ্রাসন ঠেকানো সম্ভব নয়। আসলে উন্নত-শিল্পোন্নত বিশ্বের উৎপাদিত পণ্যের নতুন বাজারের প্রয়োজন বেশি জোরদার হয়ে উঠছিল। একই সময়ে জানা গেল বা আমাদের জানানো হলো যে আমরা বিশাল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা (ডলার) অর্জন করছি (অভিবাসীদের পাঠানো অর্থে হচ্ছে, গার্মেন্ট শিল্প থেকে)। এখন বিদেশি পণ্য আমদানি করা যাবে। মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রচলিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংরক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণও যেন বেড়ে গেল। নতুন নতুন বিপণনকেন্দ্র খুলতে শুরু করল, সর্বত্রই বিদেশি পণ্য। আমরা রাতারাতি বিদেশি পণ্যের বাজারে পরিণত হলাম।
আমরা এখন মুক্তবাজারের মধ্যে সাঁতার কাটছি, আমাদের জীবনযাত্রার ও সেই সঙ্গে বিলাসের জন্য যত দ্রব্য ও পণ্য প্রয়োজন, সবই এখন আমাদের বাজারে পাওয়া যায়। পকেটে পয়সা থাকলে সে সবই আমাদের আয়ত্তের মধ্যে চলে আসে। তাহলে তো কোনো সমস্যাই থাকে না। তাই না কি? কিন্তু ছোট্ট একটা সমস্যা রয়ে যায়। সেটা হলো পকেটে পয়সা আসার ব্যবস্থা। এত বিপণিকেন্দ্রে যত সংখ্যায় পকেটে পয়সাঅলা ক্রেতার প্রয়োজন, তত ক্রেতা কি এ দেশে আছে? আমাদের ধনী ও উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে সর্বমোট লোকসংখ্যা কত?
এত ক্রেতা কোথা থেকে আসবে? এ দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানো যায় কিভাবে? সামন্ত ব্যবস্থায় যাদের রোজগার বাঁধা, তারা ছাড়া আর বাকি জনগণের অর্থ উপার্জন হয় প্রধানত ব্যবসা বা চাকরির মধ্য দিয়ে। ব্যবসা একটি মূলধন সম্পর্কীয় বিষয়, অতি অল্প মূলধনে যেমন, নিজের শ্রমকেই পাথেয় করে (পথের পাশে চা, বা বাদাম ইত্যাদি বিক্রি) যারা ব্যবসা করে, তাদের ক্রয়ক্ষমতা বলতে গেলে শূন্য। বড় ব্যবসায়ে অন্যের কর্মসংস্থান হলেও সেসব ব্যবসা যেহেতু ব্যক্তিকেন্দ্রিক সে সবে সাধারণ কর্মীদের অতি উচ্চ উপার্জনের সম্ভাবনা বেশি নয়, তবে ব্যক্তি-মালিকানার ব্যবসা যদি আন্তর্জাতিক মানের হয়, তবে অন্য চিত্র পাওয়া সম্ভব। সরকারি চাকরিরত কর্মকর্তারা ভাতা, বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা ও পদমর্যাদায় অনেক সুবিধায় ভালো আছে; বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত (ডাক্তারি, ওকালতি, উচ্চ শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষক) ব্যক্তিরা। বিদেশি পণ্য-আমদানিকারকরা তাদেরই টার্গেট করে এবং নানাভাবে তাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যবস্থার জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে (আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নামে অধিকতর বেতন ও ভাতা বৃদ্ধি)। এই কয়েকটি দল থেকে প্রধানত বিপণনকেন্দ্রের ও বড় পণ্যের (যেমন গাড়ি-বাড়ি) ক্রেতা আসে। অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকা এই ব্যক্তিরা দিব্যি বিশ্বের পণ্য হাতের মুঠোয় পাচ্ছে। সমস্যা তাহলে নেই-ই বলা চলে।
আমরা সবাই জানি যে আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে অর্থনৈতিক দারিদ্র্য। আমার ধারণা ও হিসাবে মাত্র সাড়ে তিন কোটি নর-নারীর ভালো উপার্জন নিশ্চিত করতে পারলে দেশে দারিদ্র্য প্রায় বিলীয়মান হতে বাধ্য, অথবা বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিপুল পরিমাণে হ্রাস পাবে। আমার পরিসংখ্যান এ ধরনের : আট কোটি ভোটারের মধ্যে মাত্র দুই কোটি মোটামুটি ভালোভাবে জীবন নির্বাহ করছে। বাকি ছয় কোটির এই বিশাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে কমপক্ষে এক কোটি বয়স ও অসুস্থতার কারণে কর্মক্ষম নয়। কমপক্ষে এক কোটি নারী 'ফরমাল' ও 'ইনফরমাল' সেক্টরে রোজগার করে। তাহলে সাকল্যে বেকার কিন্তু কর্মক্ষম নর-নারীর সংখ্যা সাড়ে তিন কোটি- এই সাড়ে তিন কোটি নর-নারীর যথেষ্ট উপার্জন না থাকার দরুন তাদের পরিবার দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।
আমাদের দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে; পুরো বিশ্বের পণ্য (উচ্ছিষ্ট পণ্যসহ) এসে গেছে আমাদের ঘরে ঘরে- এসব হচ্ছে মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে। এসবকে কিছু ব্যক্তি বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসন, অবক্ষয় ইত্যাদি বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে- তারা জানে না বা জেনেও বলে না যে এই আগ্রাসন সরাসরি আমাদের অর্থনীতির ওপর আগ্রাসন। এতে আমাদের সংস্কৃতি বিপন্ন হচ্ছে বলার উদ্দেশ্য মূল কথাটি পাশ কাটিয়ে যাওয়া। বিদেশি পণ্য আমাদের সংস্কৃতিকে বিপন্ন করে না, বিধ্বস্ত করে আমাদের অর্থনীতিকে। এই বিদেশি পণ্যের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের উৎপাদনশীলতা ও শিল্পোন্নয়ন আরো কমতে থাকবে ও দারিদ্র্য কখনোই দূর হবে না। যে মুক্তবাজার অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় যোগ দেওয়ার জন্য আমাদের এই দুর্দশা, সেটা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
দারিদ্র্য বিমোচনের সেটাই হবে প্রথম ও সর্বাপেক্ষা দৃঢ় পদক্ষেপ।
লেখক : কথাশিল্পী ও সংস্কৃতিবিষয়ক গবেষক
'বিলাসদ্রব্য' এক অর্থে অপ্রয়োজনীয় দ্রব্য হতে পারে। এটার বিপরীতে আছে 'অবিলাসদ্রব্য' বা 'প্রয়োজনীয় দ্রব্য'। দিনে দিনে এই সবের সংজ্ঞা পরিবর্তিত হয়ে যায়। একসময় ফ্রিজ, গাড়ি, এয়ার কন্ডিশনার- এসব ছিল বিলাসদ্রব্য। এখন এগুলো অনেকের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়, ফ্রিজ তো সবারই প্রয়োজন। এসব কিনে কিছুদিন আগেও বৈদেশিক মুদ্রা 'অপচয়' করা যেত না। তাই এগুলো আনতে গেলে বিদেশে গিয়ে বিদেশের রোজগারের টাকা দিয়ে কিনে আনতে হতো। তখন আমরা মুক্তবাজার অর্থনীতির কথা শুনিনি। তারপর দেখা গেল, বৈদেশিক মুদ্রা নেই- এ কথা বলে আর বিদেশের পণ্যদ্রব্যের আগ্রাসন ঠেকানো সম্ভব নয়। আসলে উন্নত-শিল্পোন্নত বিশ্বের উৎপাদিত পণ্যের নতুন বাজারের প্রয়োজন বেশি জোরদার হয়ে উঠছিল। একই সময়ে জানা গেল বা আমাদের জানানো হলো যে আমরা বিশাল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা (ডলার) অর্জন করছি (অভিবাসীদের পাঠানো অর্থে হচ্ছে, গার্মেন্ট শিল্প থেকে)। এখন বিদেশি পণ্য আমদানি করা যাবে। মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রচলিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংরক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণও যেন বেড়ে গেল। নতুন নতুন বিপণনকেন্দ্র খুলতে শুরু করল, সর্বত্রই বিদেশি পণ্য। আমরা রাতারাতি বিদেশি পণ্যের বাজারে পরিণত হলাম।
আমরা এখন মুক্তবাজারের মধ্যে সাঁতার কাটছি, আমাদের জীবনযাত্রার ও সেই সঙ্গে বিলাসের জন্য যত দ্রব্য ও পণ্য প্রয়োজন, সবই এখন আমাদের বাজারে পাওয়া যায়। পকেটে পয়সা থাকলে সে সবই আমাদের আয়ত্তের মধ্যে চলে আসে। তাহলে তো কোনো সমস্যাই থাকে না। তাই না কি? কিন্তু ছোট্ট একটা সমস্যা রয়ে যায়। সেটা হলো পকেটে পয়সা আসার ব্যবস্থা। এত বিপণিকেন্দ্রে যত সংখ্যায় পকেটে পয়সাঅলা ক্রেতার প্রয়োজন, তত ক্রেতা কি এ দেশে আছে? আমাদের ধনী ও উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে সর্বমোট লোকসংখ্যা কত?
এত ক্রেতা কোথা থেকে আসবে? এ দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানো যায় কিভাবে? সামন্ত ব্যবস্থায় যাদের রোজগার বাঁধা, তারা ছাড়া আর বাকি জনগণের অর্থ উপার্জন হয় প্রধানত ব্যবসা বা চাকরির মধ্য দিয়ে। ব্যবসা একটি মূলধন সম্পর্কীয় বিষয়, অতি অল্প মূলধনে যেমন, নিজের শ্রমকেই পাথেয় করে (পথের পাশে চা, বা বাদাম ইত্যাদি বিক্রি) যারা ব্যবসা করে, তাদের ক্রয়ক্ষমতা বলতে গেলে শূন্য। বড় ব্যবসায়ে অন্যের কর্মসংস্থান হলেও সেসব ব্যবসা যেহেতু ব্যক্তিকেন্দ্রিক সে সবে সাধারণ কর্মীদের অতি উচ্চ উপার্জনের সম্ভাবনা বেশি নয়, তবে ব্যক্তি-মালিকানার ব্যবসা যদি আন্তর্জাতিক মানের হয়, তবে অন্য চিত্র পাওয়া সম্ভব। সরকারি চাকরিরত কর্মকর্তারা ভাতা, বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা ও পদমর্যাদায় অনেক সুবিধায় ভালো আছে; বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত (ডাক্তারি, ওকালতি, উচ্চ শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষক) ব্যক্তিরা। বিদেশি পণ্য-আমদানিকারকরা তাদেরই টার্গেট করে এবং নানাভাবে তাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যবস্থার জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে (আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নামে অধিকতর বেতন ও ভাতা বৃদ্ধি)। এই কয়েকটি দল থেকে প্রধানত বিপণনকেন্দ্রের ও বড় পণ্যের (যেমন গাড়ি-বাড়ি) ক্রেতা আসে। অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকা এই ব্যক্তিরা দিব্যি বিশ্বের পণ্য হাতের মুঠোয় পাচ্ছে। সমস্যা তাহলে নেই-ই বলা চলে।
আমরা সবাই জানি যে আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে অর্থনৈতিক দারিদ্র্য। আমার ধারণা ও হিসাবে মাত্র সাড়ে তিন কোটি নর-নারীর ভালো উপার্জন নিশ্চিত করতে পারলে দেশে দারিদ্র্য প্রায় বিলীয়মান হতে বাধ্য, অথবা বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিপুল পরিমাণে হ্রাস পাবে। আমার পরিসংখ্যান এ ধরনের : আট কোটি ভোটারের মধ্যে মাত্র দুই কোটি মোটামুটি ভালোভাবে জীবন নির্বাহ করছে। বাকি ছয় কোটির এই বিশাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে কমপক্ষে এক কোটি বয়স ও অসুস্থতার কারণে কর্মক্ষম নয়। কমপক্ষে এক কোটি নারী 'ফরমাল' ও 'ইনফরমাল' সেক্টরে রোজগার করে। তাহলে সাকল্যে বেকার কিন্তু কর্মক্ষম নর-নারীর সংখ্যা সাড়ে তিন কোটি- এই সাড়ে তিন কোটি নর-নারীর যথেষ্ট উপার্জন না থাকার দরুন তাদের পরিবার দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।
আমাদের দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে; পুরো বিশ্বের পণ্য (উচ্ছিষ্ট পণ্যসহ) এসে গেছে আমাদের ঘরে ঘরে- এসব হচ্ছে মুক্তবাজার অর্থনীতির নামে। এসবকে কিছু ব্যক্তি বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসন, অবক্ষয় ইত্যাদি বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে- তারা জানে না বা জেনেও বলে না যে এই আগ্রাসন সরাসরি আমাদের অর্থনীতির ওপর আগ্রাসন। এতে আমাদের সংস্কৃতি বিপন্ন হচ্ছে বলার উদ্দেশ্য মূল কথাটি পাশ কাটিয়ে যাওয়া। বিদেশি পণ্য আমাদের সংস্কৃতিকে বিপন্ন করে না, বিধ্বস্ত করে আমাদের অর্থনীতিকে। এই বিদেশি পণ্যের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের উৎপাদনশীলতা ও শিল্পোন্নয়ন আরো কমতে থাকবে ও দারিদ্র্য কখনোই দূর হবে না। যে মুক্তবাজার অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় যোগ দেওয়ার জন্য আমাদের এই দুর্দশা, সেটা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
দারিদ্র্য বিমোচনের সেটাই হবে প্রথম ও সর্বাপেক্ষা দৃঢ় পদক্ষেপ।
লেখক : কথাশিল্পী ও সংস্কৃতিবিষয়ক গবেষক
No comments