'গার্মেন্টপল্লী' হয়নি ১৫ বছরেও-পরিকল্পিত শিল্প হলে ঝুঁকি কমত : বিজিএমইএ by রাজীব আহমেদ
দাবি-দাওয়া নিয়ে পোশাক শিল্পমালিকরা যখন সংবাদ সম্মেলন করেন তখন প্রথম দাবি থাকে উৎসে কর কমানোর। এ নিয়ে তাঁরা অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী ও শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন এবং সফলও হন।
কিন্তু অপরিকল্পিত পোশাক কারখানা একটি শিল্প এলাকায় নিয়ে যাওয়ার দাবিটি তেমন জোরালোভাবে তোলা হয় না। মালিকদের জোরালো মনোভাব না থাকা এবং সরকারের অবহেলার কারণে ১৫ বছরেও আলাদা শিল্প এলাকা হয়নি পোশাক কারখানার জন্য। তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর দাবি, পোশাক শিল্প পরিকল্পিতভাবে গড়া হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমত।
গার্মেন্টপল্লী স্থাপনের জন্য মুন্সীগঞ্জের বাউশিয়ায় ৩০০ একর জমি চূড়ান্ত করে রেখেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। যদিও ওই জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি এখনো। এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রকল্পটি এখন পরিকল্পনা কমিশনে আছে। এটি চূড়ান্ত হলে সরকার অর্থ বরাদ্দ করবে। তারপর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। বর্তমান সরকারের আমলে এ প্রকল্প শেষ হবে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, 'আশা করি জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হবে।'
এর আগে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ঢাকার অদূরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এবং নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গার্মেন্টপল্লী স্থাপনের জন্য প্রাথমিকভাবে জমি নির্বাচন করা হয়েছিল। এ লক্ষ্যে বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিজিএমইএর একটি সমঝোতা স্মারকও সই হয়েছিল ২০০৩ সালে। তারপর এ উদ্যোগ আর এগোয়নি।
পাঁচ হাজারেরও বেশি তৈরি পোশাক কারখানার প্রায় ৯০ শতাংশই রাজধানী ঢাকা, বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায়। নগরীর আবাসিক এলাকায় ভাড়া করা ভবনে অথবা আশপাশের জমিতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে এসব পোশাক শিল্প। ১৯৮৩-৮৪ সালে ১৩৪টি কারখানায় ৪০ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। গত বছর পর্যন্ত কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ১০০। প্রায় ৩৬ লাখ শ্রমিক কাজ করেন এসব কারখানায়, যাঁদের ২৮ লাখই নারী।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। বেশির ভাগ কারখানাই ছিল ঢাকার ভেতর। এরপর সেগুলো আস্তে আস্তে ঢাকার বাইরে যেতে শুরু করে। কিন্তু জমির দাম অনেক বেশি হওয়ায় দেখা যায় মালিকরা একটু ভেতরে জমি কিনে কারখানা করেন। তিনি আরো বলেন, 'গত ১৫ বছরে সরকার আমাদের জমি দিতে পারেনি। একটি শিল্প এলাকায় কারখানাগুলো গড়ে উঠলে এত মৃত্যুর ঘটনা ঘটত না। শুধু মালিকদের দায়ী করা ঠিক নয়। মালিক শিল্প প্রতিষ্ঠা করে কোনো অন্যায় করেননি।'
সারা দেশে সরকারি সংস্থা বিসিকের ৭৪টি শিল্প নগরীতে ১০ হাজার ৩৩০টি প্লট আছে। এগুলোর মধ্যে ৯ হাজার ৩০০ প্লট বরাদ্দ দেওয়া হলেও কোনো শিল্প স্থাপিত হয়নি। পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, ঠাকুরগাঁও, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সাতক্ষীরা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালীসহ অনেক জেলার বিসিক শিল্পনগরী প্রায় শিল্পশূন্য। এ ছাড়া মংলা ও ঈশ্বরদী ইপিজেডেও অনেক প্লট খালি পড়ে আছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এসব জায়গা পোশাক মালিকদের বরাদ্দ দিয়ে কারখানা সেখানে সরানো সম্ভব। দেশের উন্নয়নে ভারসাম্য আনার জন্য এসব এলাকায় শিল্প স্থাপনের জন্য সরকারেরও তাগিদ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চাৎপদ এলাকায় শিল্প স্থাপনে বিশেষ কর অব্যাহতি এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। কিন্তু কারখানাগুলো ঢাকা থেকে সরছে না। এ ক্ষেত্রে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোগত অসুবিধার কথা বলছেন পোশাক কারখানার মালিকরা।
বিজিএমইএর সহ-সভাপতি ফারুক হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সরকার এ পর্যন্ত আমাদের অনেক স্থানে জমি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। একবার আদমজী পাটকলের জমি দেওয়ার কথা বলা হলো। একবার তিনটি বন্ধ পাটকলের জমি দেওয়ার কথা বলা হলো। একবার মুন্সীগঞ্জে জমি দেওয়ার কথা বলা হয়। আসলে আমরা কোথাও জমি পেলাম না।' তিনি বলেন, 'আমরা জমি বিনা মূল্যে চাইনি। আমরা কিনে নেব, উন্নয়নের কাজ করব। সরকার শুধু রাস্তাঘাট ও গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ দেবে। কিন্তু দীর্ঘদিন বিষয়টি ঝুলে আছে। এমনকি যাঁরা ঢাকা থেকে কারখানা সরিয়ে বিভিন্ন জেলায় নিয়েছেন তাঁদের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না।'
গার্মেন্টপল্লী স্থাপনের জন্য মুন্সীগঞ্জের বাউশিয়ায় ৩০০ একর জমি চূড়ান্ত করে রেখেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। যদিও ওই জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি এখনো। এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রকল্পটি এখন পরিকল্পনা কমিশনে আছে। এটি চূড়ান্ত হলে সরকার অর্থ বরাদ্দ করবে। তারপর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। বর্তমান সরকারের আমলে এ প্রকল্প শেষ হবে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, 'আশা করি জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হবে।'
এর আগে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ঢাকার অদূরে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এবং নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গার্মেন্টপল্লী স্থাপনের জন্য প্রাথমিকভাবে জমি নির্বাচন করা হয়েছিল। এ লক্ষ্যে বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিজিএমইএর একটি সমঝোতা স্মারকও সই হয়েছিল ২০০৩ সালে। তারপর এ উদ্যোগ আর এগোয়নি।
পাঁচ হাজারেরও বেশি তৈরি পোশাক কারখানার প্রায় ৯০ শতাংশই রাজধানী ঢাকা, বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায়। নগরীর আবাসিক এলাকায় ভাড়া করা ভবনে অথবা আশপাশের জমিতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে এসব পোশাক শিল্প। ১৯৮৩-৮৪ সালে ১৩৪টি কারখানায় ৪০ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। গত বছর পর্যন্ত কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ১০০। প্রায় ৩৬ লাখ শ্রমিক কাজ করেন এসব কারখানায়, যাঁদের ২৮ লাখই নারী।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। বেশির ভাগ কারখানাই ছিল ঢাকার ভেতর। এরপর সেগুলো আস্তে আস্তে ঢাকার বাইরে যেতে শুরু করে। কিন্তু জমির দাম অনেক বেশি হওয়ায় দেখা যায় মালিকরা একটু ভেতরে জমি কিনে কারখানা করেন। তিনি আরো বলেন, 'গত ১৫ বছরে সরকার আমাদের জমি দিতে পারেনি। একটি শিল্প এলাকায় কারখানাগুলো গড়ে উঠলে এত মৃত্যুর ঘটনা ঘটত না। শুধু মালিকদের দায়ী করা ঠিক নয়। মালিক শিল্প প্রতিষ্ঠা করে কোনো অন্যায় করেননি।'
সারা দেশে সরকারি সংস্থা বিসিকের ৭৪টি শিল্প নগরীতে ১০ হাজার ৩৩০টি প্লট আছে। এগুলোর মধ্যে ৯ হাজার ৩০০ প্লট বরাদ্দ দেওয়া হলেও কোনো শিল্প স্থাপিত হয়নি। পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, ঠাকুরগাঁও, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সাতক্ষীরা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালীসহ অনেক জেলার বিসিক শিল্পনগরী প্রায় শিল্পশূন্য। এ ছাড়া মংলা ও ঈশ্বরদী ইপিজেডেও অনেক প্লট খালি পড়ে আছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এসব জায়গা পোশাক মালিকদের বরাদ্দ দিয়ে কারখানা সেখানে সরানো সম্ভব। দেশের উন্নয়নে ভারসাম্য আনার জন্য এসব এলাকায় শিল্প স্থাপনের জন্য সরকারেরও তাগিদ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চাৎপদ এলাকায় শিল্প স্থাপনে বিশেষ কর অব্যাহতি এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। কিন্তু কারখানাগুলো ঢাকা থেকে সরছে না। এ ক্ষেত্রে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোগত অসুবিধার কথা বলছেন পোশাক কারখানার মালিকরা।
বিজিএমইএর সহ-সভাপতি ফারুক হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সরকার এ পর্যন্ত আমাদের অনেক স্থানে জমি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। একবার আদমজী পাটকলের জমি দেওয়ার কথা বলা হলো। একবার তিনটি বন্ধ পাটকলের জমি দেওয়ার কথা বলা হলো। একবার মুন্সীগঞ্জে জমি দেওয়ার কথা বলা হয়। আসলে আমরা কোথাও জমি পেলাম না।' তিনি বলেন, 'আমরা জমি বিনা মূল্যে চাইনি। আমরা কিনে নেব, উন্নয়নের কাজ করব। সরকার শুধু রাস্তাঘাট ও গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ দেবে। কিন্তু দীর্ঘদিন বিষয়টি ঝুলে আছে। এমনকি যাঁরা ঢাকা থেকে কারখানা সরিয়ে বিভিন্ন জেলায় নিয়েছেন তাঁদের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না।'
No comments