সাক্ষাৎকার-গার্মেন্ট শ্রমিকের জীবন কি এত সস্তা : নাজমা
সম্মিলিত গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার প্রশ্ন রেখে বলেছেন, 'গার্মেন্ট শ্রমিকের জীবন কি এত সস্তা?' তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে লাভজনক গার্মেন্ট শিল্প খাতে কারখানা মালিকরা কোটি কোটি টাকার মুনাফা করছেন। কিন্তু তাঁরা কখনোই এ খাতের শ্রমিকদের মূল্যায়ন করেন না।
আগুন লাগলে বা দুর্ঘটনা হলে প্রধান ফটক বন্ধ রেখে শ্রমিকদের কারখানার ভেতরে আটকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। এ সবই একধরনের হত্যাকাণ্ড। তাজরীন ফ্যাশনেও একই ঘটনা ঘটেছে।
তাজরীন ফ্যাশন লিমিডেটে শনিবারের আগুনে নিহত শ্রমিকদের লাশ শনাক্ত করার জন্য রবিবার রাখা হয় নিশ্চিন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে নাজমা আক্তার উপস্থিত হন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিহত শ্রমিকদের স্বজনদের সান্ত্বনা দিতে। পরে কালের কণ্ঠের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
নাজমা আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'তাজরীন গার্মেন্টে আগুন লাগার পর তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতারা নানা আইন দেখাচ্ছেন। তাঁরা শ্রম আইনের কথা বলে নিহতদের পরিবারকে এক লাখ করে
টাকা দেওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু একজন শ্রমিকের জীবনের দাম কি মাত্র এক লাখ টাকা?'
এক প্রশ্নের জবাবে নাজমা বলেন, 'আমাদের দাবি একজন শ্রমিক বেঁচে থাকলে সারা জীবনে যত টাকা উপার্জন করতেন, তাঁর ছেলেমেয়ে ও পরিবার-পরিজনকে যেভাবে ভরণপোষণ করতেন, তত টাকা বিজিএমইএকে দিতে হবে। নিহত শ্রমিকের পরিবারের ভরণপোষণ করতে হবে। নিহত শ্রমিকদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, চিকিৎসাসহ সব দায়িত্ব নিতে হবে বিজিএমইএকে। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের সব চিকিৎসা খরচ ও ক্ষতিপূরণও দিতে হবে তাদের।'
গার্মেন্ট শ্রমিক নেত্রী বলেন, গার্মেন্ট মালিকরা কখনোই শ্রমিকদের কাজের প্রকৃত মূল্যায়ন করেন না। প্রচলিত আইনে শ্রমিকদের নূ্যনতম মজুরির পাশাপাশি নিয়োগপত্র, নিয়মিত বেতন, ওভারটাইম ডিউটি, উৎসব বোনাস, ছুটিসহ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার- এসব কোনোটিই দেওয়া হয় না। করা হয়নি মানবিক ব্যবহার। দমবন্ধ করা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পশুর মতো খাটতে বাধ্য করা হয় শ্রমিকদের। তিনি আরো বলেন, 'মালিকদের দৃষ্টিতে শ্রমিকরা যেন চোর। যে কারণে তাঁরা (মালিকরা) কারখানার প্রধান ফটক সব সময় তালাবন্ধ করে রাখেন। আগুন লাগলেও তা খুলে দেওয়া হয় না। আর এসব কারখানায় আগুন লাগলে শ্রমিকরা আটকে পড়ে জীবন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা যান। এ সবই একধরনের হত্যাকাণ্ড।'
নাজমা বলেন, 'শিল্প মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, বিজিএমইএসহ সব সংস্থা এ জন্য দায়ী। এসব সংস্থা শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষা করছে না বলেই একের পর এক গার্মেন্টে ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটছে, তাজরীন ফ্যাশনের মতো জীবনহানির ঘটনা ঘটেই চলেছে। একটি দুর্ঘটনার পর কিছুদিন এ নিয়ে খুব হৈচৈ হয়। এরপর শ্রমিক শোষণের জন্য সব কিছু আবার আগের মতোই চলে। আমরা আর কত লাশ হব? আমরা আর লাশ হয়ে ঘরে ফিরতে চাই না। আমরা আর গার্মেন্ট শ্রমিকের লাশ চাই না।'
তাজরীন ফ্যাশন লিমিডেটে শনিবারের আগুনে নিহত শ্রমিকদের লাশ শনাক্ত করার জন্য রবিবার রাখা হয় নিশ্চিন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে নাজমা আক্তার উপস্থিত হন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিহত শ্রমিকদের স্বজনদের সান্ত্বনা দিতে। পরে কালের কণ্ঠের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
নাজমা আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'তাজরীন গার্মেন্টে আগুন লাগার পর তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতারা নানা আইন দেখাচ্ছেন। তাঁরা শ্রম আইনের কথা বলে নিহতদের পরিবারকে এক লাখ করে
টাকা দেওয়ার কথা বলছেন। কিন্তু একজন শ্রমিকের জীবনের দাম কি মাত্র এক লাখ টাকা?'
এক প্রশ্নের জবাবে নাজমা বলেন, 'আমাদের দাবি একজন শ্রমিক বেঁচে থাকলে সারা জীবনে যত টাকা উপার্জন করতেন, তাঁর ছেলেমেয়ে ও পরিবার-পরিজনকে যেভাবে ভরণপোষণ করতেন, তত টাকা বিজিএমইএকে দিতে হবে। নিহত শ্রমিকের পরিবারের ভরণপোষণ করতে হবে। নিহত শ্রমিকদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, চিকিৎসাসহ সব দায়িত্ব নিতে হবে বিজিএমইএকে। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের সব চিকিৎসা খরচ ও ক্ষতিপূরণও দিতে হবে তাদের।'
গার্মেন্ট শ্রমিক নেত্রী বলেন, গার্মেন্ট মালিকরা কখনোই শ্রমিকদের কাজের প্রকৃত মূল্যায়ন করেন না। প্রচলিত আইনে শ্রমিকদের নূ্যনতম মজুরির পাশাপাশি নিয়োগপত্র, নিয়মিত বেতন, ওভারটাইম ডিউটি, উৎসব বোনাস, ছুটিসহ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার- এসব কোনোটিই দেওয়া হয় না। করা হয়নি মানবিক ব্যবহার। দমবন্ধ করা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পশুর মতো খাটতে বাধ্য করা হয় শ্রমিকদের। তিনি আরো বলেন, 'মালিকদের দৃষ্টিতে শ্রমিকরা যেন চোর। যে কারণে তাঁরা (মালিকরা) কারখানার প্রধান ফটক সব সময় তালাবন্ধ করে রাখেন। আগুন লাগলেও তা খুলে দেওয়া হয় না। আর এসব কারখানায় আগুন লাগলে শ্রমিকরা আটকে পড়ে জীবন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা যান। এ সবই একধরনের হত্যাকাণ্ড।'
নাজমা বলেন, 'শিল্প মন্ত্রণালয়, শ্রম মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, বিজিএমইএসহ সব সংস্থা এ জন্য দায়ী। এসব সংস্থা শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষা করছে না বলেই একের পর এক গার্মেন্টে ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটছে, তাজরীন ফ্যাশনের মতো জীবনহানির ঘটনা ঘটেই চলেছে। একটি দুর্ঘটনার পর কিছুদিন এ নিয়ে খুব হৈচৈ হয়। এরপর শ্রমিক শোষণের জন্য সব কিছু আবার আগের মতোই চলে। আমরা আর কত লাশ হব? আমরা আর লাশ হয়ে ঘরে ফিরতে চাই না। আমরা আর গার্মেন্ট শ্রমিকের লাশ চাই না।'
No comments