বাইশ বছরের গণতন্ত্র দিয়ে আমরা কী করেছি? -গণতন্ত্রের মূল রীতিনীতি আমরা ধরে রেখেছি by মাহ্ফুজ আনাম
বছর খানেকের মধ্যে আমরা আরেকটি সাধারণ
নির্বাচনের মুখোমুখি হব। সদ্য আমরা দেখলাম, আমেরিকার জনগণ প্রেসিডেন্ট
বারাক ওবামাকে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচিত করেছে; একটি নির্বাচন যে
চিন্তাভাবনা, সাংগঠনিক সামর্থ্য, এমনকি তীব্র বাক্যবাণের (সীমার মধ্যে
থেকে) প্রতিযোগিতার কত সুন্দর দৃষ্টান্ত হতে পারে, তাও আমরা দেখলাম।
আমাদের ভোটাররাও শেখ হাসিনাকে আবার নির্বাচিত করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনটি ছিল প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ; প্রতিদ্বন্দ্বিতা কখনো কখনো তিক্ত হয়ে উঠেছিল, কখনো বা বেশ ব্যক্তিগত পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। তবু সব মিলিয়ে ওই নির্বাচনকে মনে হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতার উদ্দাম উৎসব; মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গির বৈচিত্র্যের উৎসব, দেশ পরিচালনায় অংশগ্রহণের জন্য সামষ্টিক আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ ঘটানোর উৎসব।
যেভাবে নির্বাচন পরিচালিত হয়েছে তার চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় ছিল যেভাবে তা শেষ হয়েছে। বিজয়ী ও পরাজিত—উভয় প্রার্থী, বিশেষত পরাজিত জন, সংকীর্ণ দলীয় বিভক্তির ঊর্ধ্বে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন নিজ নিজ সমর্থকদের প্রতি। যে দল ও যে ব্যক্তির প্রতি সমর্থন জানাতে গিয়ে তারা অনেকগুলো মাস ব্যয় করেছে, সেই ব্যক্তি ও দলের ঊর্ধ্বে দেশকে স্থান দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নির্বাচন শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই নেতা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার কথা বলা শুরু করেছেন। কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ যেকোনো নির্বাচনে স্বাভাবিকভাবে যে অনিবার্য দূরত্ব সৃষ্টি হয়, তা দূর করার কথা বলা শুরু করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই দৃশ্যপটের তুলনায় আমাদের দৃশ্যপট অনেক শঙ্কা আর উদ্বেগে পরিপূর্ণ। নির্বাচন কেমন হবে, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে কি না, যে দল হেরে যাবে তারা নির্বাচনের ফল মেনে নেবে কি না, সহিংসতা হবে কি না, আমরা অবাধে ভোট দিতে পারব কি না ইত্যাদি নানা প্রশ্ন কাজ করে অধিকাংশ ভোটারের মনে। অন্য কথায়, নির্বাচন নিয়ে আমাদের মনে আর উৎসবের বোধ কাজ করে না, বরং বিরোধ-সংঘাতের শঙ্কায় ভরে ওঠে মন, যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
প্রশ্ন হলো, কেন? কেন আমাদের নির্বাচনগুলো চিন্তাভাবনার প্রতিযোগিতার উৎসব হবে না? কেন হবে না জাতির সেবার উদ্দেশ্যে গৃহীত সর্বোত্তম কর্মসূচিগুলোর প্রতিযোগিতার উৎসব? আমাদের নির্বাচন কেন হতে পারে না দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনায় জনগণকে, বিশেষত যুবসমাজকে উদ্দীপিত করার উপলক্ষ? এই উপলক্ষে কেন তাঁরা ভাবেন না কী করে আরও ভালোভাবে দেশটি পরিচালনা করা যায়?
স্বৈরশাসক জেনারেল এইচ এম এরশাদকে পরাস্ত করে আমাদের স্বাধীন ইচ্ছায় বেছে নেওয়া রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবে গণতন্ত্র এবং শাসনব্যবস্থা হিসেবে সংসদীয় ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর বাইশ বছর পেরিয়ে যাচ্ছে। এই কালপর্বের দিকে তাকিয়ে আমরা বলতে পারি, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট ভালো করেছি। দেড় দশক ধরে গড়ে প্রায় ছয় শতাংশ, প্রায়ই তারও বেশি হারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে; বিশেষত বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, চাল ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং আমাদের সবচেয়ে বড় দুটি রপ্তানিবাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মন্দা ও গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের এই কালে আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেশ সন্তোষজনক। তৈরি পোশাকশিল্প, জনশক্তি রপ্তানি, কৃষি ও খাদ্য উৎপাদনে সাফল্য আমাদের অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রেখেছে। কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের সাফল্য ও অর্জন প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম।
এই সময়ের মধ্যে আমাদের দেশে চারবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সার্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থা ও দেশসহ সারা পৃথিবী থেকে আসা শত শত নির্বাচন পর্যবেক্ষক চারটি নির্বাচনই অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। শুধু পরাজিত দল ছাড়া সবার কাছেই নির্বাচনগুলো অবাধ ও নিরপেক্ষ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমাদের জনসাধারণের কাছে নির্বাচনগুলো গ্রহণযোগ্য হয়েছে এ কারণে যে তাতে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।
এরশাদ-পরবর্তী যুগের সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয়গুলোর একটি হলো এই যে দেশ পরিচালনা করেছে কেবলই প্রধান দুটি দল। অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বাদ দিলে দেশ শাসন করেছে হয় আওয়ামী লীগ, নয় বিএনপি এবং এখনো পর্যন্ত সেভাবেই দেশ পরিচালিত হচ্ছে। উভয় দলই দুবার সরকার পরিচালনা করেছে এবং দুবার বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করেছে। অন্য কথায়, আমরা তাদের উভয় পাশেই দেখেছি। মজার বিষয় হচ্ছে, কোনো দলই পর পর দুই মেয়াদে শাসনক্ষমতা পায়নি। পর্যবেক্ষকেরা তাই বলেন, আমাদের ভোটাররা ভোট দেয় ক্ষমতাসীন দলের ‘বিরুদ্ধে’, বিরোধী দলের অনুকূলে নয়।
আমাদের গত ২২ বছরের গণতান্ত্রিক যাত্রার মূল্যায়ন কীভাবে করা যায়? আমার মনে হয়, আমরা যথার্থই গর্ব বোধ করতে পারি এ জন্য যে গণতন্ত্রের মূল রীতিনীতি আমরা ধরে রেখেছি। মাঝে মাঝে ব্যত্যয় ঘটলেও আমাদের একটি কার্যকর সংবিধান রয়েছে, যা মৌলিক অধিকারগুলোর রক্ষাকবচ, আমাদের আছে শক্তিশালী একটি সংবাদমাধ্যম এবং অত্যন্ত সমালোচনাপ্রবণ জনগোষ্ঠী, যারা কোনো ইস্যুতে প্রবলভাবে নাড়া খেলে দ্রুতই রাজপথে নেমে পড়ে। পাঁচ বছর পর পর জনগণ সরকারকে বিদায় জানাতে পারে—এ কারণেই বাংলাদেশ অনেক দেশের থেকে অনেক ওপরে আছে, যেসব দেশে সরকার বলপূর্বক ক্ষমতা আঁকড়ে থাকে।
কিন্তু এসব অর্জন সত্ত্বেও আমাদের রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। প্রধান দুটি দলের মধ্যকার অসহিষ্ণুতা এমন মাত্রায় বেড়ে গিয়েছে যে প্রধান দুই নেত্রী দেশের প্রধান কোনো সমস্যা নিয়ে কখনো একত্রে বসে আলোচনা করেন না। তাঁরা যখন ক্ষমতায় থাকেন প্রতিপক্ষকে দমন করার কাজে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেন। এর সবচেয়ে ভয়ংকর একটি দৃষ্টান্ত বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা, যে ঘটনায় বর্তমান রাষ্ট্রপতির পত্নীসহ ২৩ ব্যক্তির প্রাণহানি ঘটে। মত ও দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতাই গণতন্ত্রের আত্মা, আর ভিন্নমত প্রকাশের একটি পূর্বশর্ত সহিষ্ণুতা। আমাদের নিজেদের বা অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা থেকে এই শিক্ষা গ্রহণ করতে আমাদের নেতানেত্রীরা অনড়ভাবে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন।
আমাদের ২২ বছরের গণতান্ত্রিক যাত্রার সবচেয়ে দুঃখজনক একটি দিক হলো, যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, সে দল ওয়াচডগ ও সমালোচকের ভূমিকায় বিরোধী দলকে কখনো গ্রহণ করতে পারে না। আর বিরোধী দল কখনো মেনে নিতে পারে না যে ‘বিজয়ী’ দল নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য দেশ পরিচালনার বৈধ অধিকার অর্জন করেছে। উভয় দলই মনে করে, সে নিজে জয়ী হলেই কেবল নির্বাচন ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ’ হয়; হেরে গেলে মনে করে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে।
নির্বাচনে বিজয়ী দল কখনো মনে করে না যে বিজয়ের মধ্য দিয়ে সে সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত বিধিবিধান ও কার্যপ্রণালির সীমার মধ্যে থেকে জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছে; বরং মনে করে যে সে সুযোগ পেয়েছে স্বজনপ্রীতি, আনুকূল্যচর্চা আর দলীয় স্বার্থসিদ্ধিতে লিপ্ত হওয়ার।
দেশ পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রক্ষমতা হাতে পাওয়ার অর্থ দাঁড়িয়েছে নিজেদের তল্পিবাহক ও রাজনৈতিক কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা করে দিতে রাষ্টীয় অর্থ ব্যয় করার ‘অধিকার’ পেয়ে যাওয়া। দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে এ ধরনের মনোবৃত্তি থেকে অবধারিতভাবে গড়ে উঠেছে দুর্নীতির সংস্কৃতি, যা ক্রমেই ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর হচ্ছে। যতই সময় গড়িয়েছে, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় দলই দুর্নীতির ব্যাপারে ততই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সময়ের ব্যবধানে দুর্নীতি হয়ে উঠেছে লাগামহীন, চলে গেছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলই বিরোধী দলে থাকলে অব্যাহতভাবে সংসদ বর্জন করে চলে। সংসদ বর্জনের এই চর্চার ফলে সংসদ এমন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি, যা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে পারে, সুশাসন বৃদ্ধি করতে পারে এবং প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রকে একটা কার্যকর অবয়ব দিতে পারে। ২০ বছর ধরে প্রায় অব্যাহতভাবে সংসদে বিরোধী দলের অনুপস্থিতির ফলে সংসদীয় গণতন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান জাতীয় সংসদের যথাযথ বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। সংসদ সদস্যেদের ভূমিকা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য সরকারি দান-খয়রাত ও অর্থবরাদ্দের তদবির করার মধ্যে সীমিত থাকায় আইনপ্রণেতা হিসেবে তাঁদের ভূমিকার বিকাশ ঘটতে পারেনি। আইন প্রণয়ন তাঁদের জন্য সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সংসদে জাতীয় সমস্যাবলি নিয়ে আলোচনা করার পরিবর্তে তাঁরা যেসব বক্তৃতা করেন সেগুলোতে নিজেদের নেতার গুণকীর্তন আর বিরোধী দলের নেতার প্রতি গালাগাল ছাড়া আর তেমন কিছুই থাকে না। দেশের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নিয়ে সিরিয়াস বিতর্ক হয়েছে কদাচিৎ।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলই বিরোধী দল হিসেবে সংসদ বর্জন করার মধ্য দিয়ে কীভাবে লাভবান হয় তা আমরা ভেবে পাই না। যদি উল্টোটা ভাবা যায়, যদি কোনো দল সংসদ বর্জন না করত, তাহলে এখন আমাদের থাকত ২০ বছরের একটি কার্যকর সংসদ, অনেক অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান এবং সুপ্রতিষ্ঠিত সংসদীয় রীতিনীতি ও অনুশীলন। এই সবকিছু মিলিয়ে গড়ে উঠত একটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, যার অভাব আমরা ভীষণভাবে অনুভব করি।
তাহলে, আমাদের ভুল হয়েছে কোথায়? প্রথমত, যেসব প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়, গত ২২ বছরে আমরা সেগুলোকে শক্তিশালী করতে পারিনি। বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, মানবাধিকার কমিশন, নির্বাচন কমিশন ইত্যাদি সংবিধিবদ্ধ সংস্থাগুলোর নিজস্ব অন্তর্নিহিত ক্ষমতার ক্ষয়সাধন করে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নানা উপায়ে সেগুলোকে নির্বাহী বিভাগের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেও প্রতিষ্ঠানগুলো যেটুকু স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারত, তা করতে পারে না এসব গুরুত্বপূর্ণ পদে দুর্বল ও বশংবদ ধরনের ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়ার কারণে। ব্রিটেনের কাছ থেকে আমরা যে সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা গ্রহণ করেছি, তার অনিবার্য অংশ স্বাধীন আমলাতন্ত্রের ধারণা; কিন্তু বাংলাদেশে স্বাধীন আমলাতন্ত্রের অস্তিত্ব এখন আর নেই বললেই চলে। প্রতিটি সরকার নির্লজ্জভাবে জনপ্রশাসনের রাজনৈতিকীকরণ করেছে, ফলে জনপ্রশাসনের কর্মদক্ষতা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মসম্পাদন মূল্যায়নের ক্ষেত্রে দক্ষতা-যোগ্যতার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক আনুগত্য, যার অবধারিত ফল সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণের সামর্থ্য ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
আমরা যখন আরেকটি নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে, তখন ভেবে দেখা খুবই প্রয়োজন দুই দশক ধরে আমরা আমাদের গণতন্ত্র নিয়ে কী করেছি এবং অতীতে যে পথ গণতন্ত্রকে বিপদের মুখে ফেলেছে তা থেকে আমরা কীভাবে সরে আসতে পারি। এখনো সময় আছে এক বছরের বেশি। সত্যিকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে এই সময়ের মধ্যে অনেক কিছুই করা সম্ভব।
প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের কি রাজনৈতিক সদিচ্ছা আছে?
ইংরেজি থেকে অনূদিত
মাহ্ফুজ আনাম: সম্পাদক ও প্রকাশক, দ্য ডেইলি স্টার।
No comments