স্মরণ-উল্টোপথের যাত্রী by সারওয়ার আলী
সামরিক শাসনামলে তথাকথিত সর্বগুণসম্পন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দাপটে এ আন্দোলন বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এ সময় এ আন্দোলনে যারা দৃঢ়ভাবে ঝুঁকেছিলেন, প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন তাদের অন্যতম।
পরবর্তী সময়ে পেশাজীবীদের জাতীয় সংগঠনগুলোতে দলীয় রাজনীতি বিশেষত শাসক দলের প্রভাব গভীরতর হয়, পেশাজীবীদের দাবির
আন্দোলনে ভাটা পড়ে
যারা সমাজের নানা ক্ষেত্রে নীরব কর্মীর ভূমিকা পালন করেন, আমরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সহজে ভুলে যাই; তারা কেবল পরিবারের স্মৃতি হয়ে থাকেন। তবে শুনে খুশি হলাম, মহিউদ্দিনের পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীদের পক্ষ থেকে এ বছর 'অধ্যাপক গোলাম মহিউদ্দিন স্মৃতি ফাউন্ডেশন' গঠন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে মহিউদ্দিনের চিন্তাধারার কিছু কাজ করা হবে এবং কিছু বৃত্তিও মাসিক ভিত্তিতে দেওয়া হবে। তাছাড়া উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীও প্রতি বছর মৃত্যু দিবস ১৮ এপ্রিল স্মরণসভা ও স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করে আসছে।
মহিউদ্দিনের অকালমৃত্যু হয়েছে। শেষ কয়েকটি বছর তিনি তেল-গ্যাস ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষার জন্য যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। তখনকার সময়ে তাদের সে উদ্যোগ যে কত সময়োপযোগী ছিল তা অনেকে অনুধাবন না করলেও বর্তমানে তেল-গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট সবাইকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। মহিউদ্দিন মৃত্যুর কিছু দিন আগে অসুস্থ অবস্থায় প্রকৌশলীদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের (আইইবি) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। আরও কয়েকটি বছর বেঁচে থাকলে, আমার বিশ্বাস দেশ এ দুটি ক্ষেত্রে তার নেতৃত্বের সুফল পেত। কিন্তু দেহে ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ল কিছুটা দেরিতে এবং সারাদেহে দ্রুত বিস্তার লাভ করল; স্বল্প বিত্তের সংসার সত্ত্বেও দেশ-বিদেশে সর্বোত্তম চিকিৎসার চেষ্টা করেও মহিউদ্দিনের মৃত্যু ঠেকানো যায়নি। তার স্ত্রী অধ্যাপিকা এএন রাশেদার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, শেষবারের মতো চিকিৎসা শেষ করে দেশে ফেরার পর শারীরিক দুর্বলতা উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বিভাগ ও আইইবির কাজে নিজেকে নিয়োজিত করার প্রাণান্ত চেষ্টা সে শেষ অবধি করেছেন। এভাবেই তার কর্মময় জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
মহিউদ্দিনের কর্মময় জীবনের নানা দিক নিয়ে অনেকে লিখেছেন। তবে দুটি বিষয় অনুলি্লখিত থেকে যেতে পারে মনে করে আমি লিখছি। মহিউদ্দিনের সঙ্গে পরিচয় স্বাধীনতার পর। শান্তি, মৈত্রী ও সংহতি আন্দোলনের সূত্রে। সত্তর ও আশির দশকে পরাশক্তি বিভক্ত বিশ্বে বিশ্ব শান্তি পরিষদ, আফ্রো-এশীয় গণসংহতি সংস্থা ও বাংলাদেশ-সোভিয়েত মৈত্রী সমিতির কাজে যথেষ্ট অগ্রগতি ঘটে। এসব সংগঠনের জাতীয় সংস্থাগুলো প্রধানত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনমত সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে; সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে এবং এশিয়া-আফ্রিকার কয়েকটি দেশে উপনিবেশবাদবিরোধী আন্দোলনেও অবদান রাখে। জাতীয় সংগঠনগুলোতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক উদারনৈতিক চেতনার সুশীল সমাজকে যুক্ত করার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফলে তখন বৃহদাকার কমিটি করা হতো, অনেকেই কমিটিতে থাকতে আগ্রহী হতেন, বিদেশে প্রতিনিধি হিসেবে যাওয়ার আগ্রহী আরও বেশি পাওয়া যেত। কিন্তু দৈনন্দিন কাজে, এমনকি নিয়মিত সভা-সমিতিতে তাদের সবাইকে উপস্থিত করা খুবই কষ্টকর ছিল। ওই সময় যারা বহু বছর ধরে সংগঠনগুলোকে কার্যকর রেখেছেন তাদের অন্যতম ছিলেন মহিউদ্দিন। এ সংগঠনগুলোর কর্মসূচি সফল করার ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে মহিউদ্দিন পর্দার অন্তরালে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। সমাজতান্ত্রিক বিশ্বে বিপর্যয়ের পরও শান্তি, সংহতি সংগঠনগুলোকে পুনর্জীবিত করার কাজেও মহিউদ্দিনকে পাওয়া গেছে। সব বিপত্তি-বিতর্ক সত্ত্বেও সমাজতন্ত্র সম্পর্কে তার অগাধ আস্থা তাকে এ কাজে প্রেরণা জুগিয়েছে।
দ্বিতীয় বিষয়টি হলো_ পেশাজীবী আন্দোলনে তার ভূমিকা। সত্তর দশকের শেষ পর্ব থেকে বাংলাদেশে চিকিৎসক-প্রকৌশলী-কৃষিবিদদের দেশ পরিচালনার কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে জঙ্গি আন্দোলন গড়ে ওঠে। নিজ নিজ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সে ক্ষেত্রে বিশেষ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পেশাজীবীরা রাজনৈতিক নেতৃত্বে প্রধান ভূমিকা পালন করবেন_ এটি ছিল তিন পেশার প্রধান দাবি। কিন্তু বিশেষ করে সামরিক শাসনামলে তথাকথিত সর্বগুণসম্পন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দাপটে এ আন্দোলন বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এ সময় এ আন্দোলনে যারা দৃঢ়ভাবে ঝুঁকেছিলেন, প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন তাদের অন্যতম। পরবর্তী সময়ে পেশাজীবীদের জাতীয় সংগঠনগুলোতে দলীয় রাজনীতি বিশেষত শাসক দলের প্রভাব গভীরতর হয়, পেশাজীবীদের দাবির আন্দোলনে ভাটা পড়ে এবং অনেকেই পেশাজীবী সংগঠনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু প্রকৌশলী মহিউদ্দিন শেষ অবধি এ কাজে যুক্ত ছিলেন এবং প্রকৌশলীরা তার শেষ জীবনে তাকে প্রধান নির্বাহী অর্থাৎ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে তার নিরবচ্ছিন্ন কর্মতৎপরতার স্বীকৃতি প্রদান করেছেন।
ড. গোলাম মহিউদ্দিন উল্টোপথের যাত্রী ছিলেন। তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে পরিণত বয়সে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং প্রায় নতুন এক বিভাগকে সামনের দিকে নিয়ে যান। অথচ সে সময়ে বেসরকারি ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের অধিক উপার্জনের সুযোগ ছিল। প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বিভিন্ন সংস্থায় যোগ দিচ্ছেন_ বিষয়টি তাকে শেষ জীবনেও পীড়া দিয়েছে। তার বিভাগে বেশি মেধাসম্পন্ন প্রকৌশলীরা যাতে যোগ দেন সে জন্য তিনি স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন; মৃত্যুর একদিন আগেও সে বিভাগ থেকে বাসায় ফাইল আনিয়ে স্বাক্ষর করে গেছেন। প্রকৌশলী ড. গোলাম মহিউদ্দিনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশ একজন সৎ দেশপ্রেমিক পেশাজীবীকে হারিয়েছে।
ডা. সারওয়ার আলী : ট্রাস্টি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
আন্দোলনে ভাটা পড়ে
যারা সমাজের নানা ক্ষেত্রে নীরব কর্মীর ভূমিকা পালন করেন, আমরা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সহজে ভুলে যাই; তারা কেবল পরিবারের স্মৃতি হয়ে থাকেন। তবে শুনে খুশি হলাম, মহিউদ্দিনের পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীদের পক্ষ থেকে এ বছর 'অধ্যাপক গোলাম মহিউদ্দিন স্মৃতি ফাউন্ডেশন' গঠন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে মহিউদ্দিনের চিন্তাধারার কিছু কাজ করা হবে এবং কিছু বৃত্তিও মাসিক ভিত্তিতে দেওয়া হবে। তাছাড়া উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীও প্রতি বছর মৃত্যু দিবস ১৮ এপ্রিল স্মরণসভা ও স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করে আসছে।
মহিউদ্দিনের অকালমৃত্যু হয়েছে। শেষ কয়েকটি বছর তিনি তেল-গ্যাস ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষার জন্য যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। তখনকার সময়ে তাদের সে উদ্যোগ যে কত সময়োপযোগী ছিল তা অনেকে অনুধাবন না করলেও বর্তমানে তেল-গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট সবাইকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। মহিউদ্দিন মৃত্যুর কিছু দিন আগে অসুস্থ অবস্থায় প্রকৌশলীদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের (আইইবি) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। আরও কয়েকটি বছর বেঁচে থাকলে, আমার বিশ্বাস দেশ এ দুটি ক্ষেত্রে তার নেতৃত্বের সুফল পেত। কিন্তু দেহে ক্যান্সার রোগ ধরা পড়ল কিছুটা দেরিতে এবং সারাদেহে দ্রুত বিস্তার লাভ করল; স্বল্প বিত্তের সংসার সত্ত্বেও দেশ-বিদেশে সর্বোত্তম চিকিৎসার চেষ্টা করেও মহিউদ্দিনের মৃত্যু ঠেকানো যায়নি। তার স্ত্রী অধ্যাপিকা এএন রাশেদার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, শেষবারের মতো চিকিৎসা শেষ করে দেশে ফেরার পর শারীরিক দুর্বলতা উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বিভাগ ও আইইবির কাজে নিজেকে নিয়োজিত করার প্রাণান্ত চেষ্টা সে শেষ অবধি করেছেন। এভাবেই তার কর্মময় জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
মহিউদ্দিনের কর্মময় জীবনের নানা দিক নিয়ে অনেকে লিখেছেন। তবে দুটি বিষয় অনুলি্লখিত থেকে যেতে পারে মনে করে আমি লিখছি। মহিউদ্দিনের সঙ্গে পরিচয় স্বাধীনতার পর। শান্তি, মৈত্রী ও সংহতি আন্দোলনের সূত্রে। সত্তর ও আশির দশকে পরাশক্তি বিভক্ত বিশ্বে বিশ্ব শান্তি পরিষদ, আফ্রো-এশীয় গণসংহতি সংস্থা ও বাংলাদেশ-সোভিয়েত মৈত্রী সমিতির কাজে যথেষ্ট অগ্রগতি ঘটে। এসব সংগঠনের জাতীয় সংস্থাগুলো প্রধানত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনমত সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে; সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে এবং এশিয়া-আফ্রিকার কয়েকটি দেশে উপনিবেশবাদবিরোধী আন্দোলনেও অবদান রাখে। জাতীয় সংগঠনগুলোতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক উদারনৈতিক চেতনার সুশীল সমাজকে যুক্ত করার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফলে তখন বৃহদাকার কমিটি করা হতো, অনেকেই কমিটিতে থাকতে আগ্রহী হতেন, বিদেশে প্রতিনিধি হিসেবে যাওয়ার আগ্রহী আরও বেশি পাওয়া যেত। কিন্তু দৈনন্দিন কাজে, এমনকি নিয়মিত সভা-সমিতিতে তাদের সবাইকে উপস্থিত করা খুবই কষ্টকর ছিল। ওই সময় যারা বহু বছর ধরে সংগঠনগুলোকে কার্যকর রেখেছেন তাদের অন্যতম ছিলেন মহিউদ্দিন। এ সংগঠনগুলোর কর্মসূচি সফল করার ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে মহিউদ্দিন পর্দার অন্তরালে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। সমাজতান্ত্রিক বিশ্বে বিপর্যয়ের পরও শান্তি, সংহতি সংগঠনগুলোকে পুনর্জীবিত করার কাজেও মহিউদ্দিনকে পাওয়া গেছে। সব বিপত্তি-বিতর্ক সত্ত্বেও সমাজতন্ত্র সম্পর্কে তার অগাধ আস্থা তাকে এ কাজে প্রেরণা জুগিয়েছে।
দ্বিতীয় বিষয়টি হলো_ পেশাজীবী আন্দোলনে তার ভূমিকা। সত্তর দশকের শেষ পর্ব থেকে বাংলাদেশে চিকিৎসক-প্রকৌশলী-কৃষিবিদদের দেশ পরিচালনার কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে জঙ্গি আন্দোলন গড়ে ওঠে। নিজ নিজ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সে ক্ষেত্রে বিশেষ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পেশাজীবীরা রাজনৈতিক নেতৃত্বে প্রধান ভূমিকা পালন করবেন_ এটি ছিল তিন পেশার প্রধান দাবি। কিন্তু বিশেষ করে সামরিক শাসনামলে তথাকথিত সর্বগুণসম্পন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দাপটে এ আন্দোলন বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এ সময় এ আন্দোলনে যারা দৃঢ়ভাবে ঝুঁকেছিলেন, প্রকৌশলী গোলাম মহিউদ্দিন তাদের অন্যতম। পরবর্তী সময়ে পেশাজীবীদের জাতীয় সংগঠনগুলোতে দলীয় রাজনীতি বিশেষত শাসক দলের প্রভাব গভীরতর হয়, পেশাজীবীদের দাবির আন্দোলনে ভাটা পড়ে এবং অনেকেই পেশাজীবী সংগঠনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু প্রকৌশলী মহিউদ্দিন শেষ অবধি এ কাজে যুক্ত ছিলেন এবং প্রকৌশলীরা তার শেষ জীবনে তাকে প্রধান নির্বাহী অর্থাৎ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে তার নিরবচ্ছিন্ন কর্মতৎপরতার স্বীকৃতি প্রদান করেছেন।
ড. গোলাম মহিউদ্দিন উল্টোপথের যাত্রী ছিলেন। তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে পরিণত বয়সে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন এবং প্রায় নতুন এক বিভাগকে সামনের দিকে নিয়ে যান। অথচ সে সময়ে বেসরকারি ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের অধিক উপার্জনের সুযোগ ছিল। প্রকৌশল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বিভিন্ন সংস্থায় যোগ দিচ্ছেন_ বিষয়টি তাকে শেষ জীবনেও পীড়া দিয়েছে। তার বিভাগে বেশি মেধাসম্পন্ন প্রকৌশলীরা যাতে যোগ দেন সে জন্য তিনি স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন; মৃত্যুর একদিন আগেও সে বিভাগ থেকে বাসায় ফাইল আনিয়ে স্বাক্ষর করে গেছেন। প্রকৌশলী ড. গোলাম মহিউদ্দিনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশ একজন সৎ দেশপ্রেমিক পেশাজীবীকে হারিয়েছে।
ডা. সারওয়ার আলী : ট্রাস্টি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
No comments