ভারতের জেল থেকে মুক্তিলাভঃ ৮ বছর পর দেশের মাটিতে ভাস্কর রশিদ
প্রায় ৮ বছর ভারতের জেলে আটক থাকার পর শনিবার দুপুরে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশি ভাস্কর রশিদ আহম্মেদ ও পুত্রবধূ নূর নাহার লাভলি। ২০০৪ সালে অবৈধ মুদ্রা বহনের দায়ে সে দেশের আদালত তাদের সাত বছর ১১ মাস কারাদণ্ড দিয়ে নয়াদিল্লির তিহার জেলে পাঠান।
সেখান থেকেই সাজা শেষের ১৮ মাস আগে জরিমানা দিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মুক্ত হয়েছেন রশিদ ও লাভলি।
রশিদ আহমেদ কুষ্টিয়ার মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধসহ বিভিন্ন ভাস্কর্যের স্থপতি।
বাংলাদেশি ভাস্কর রশিদ আহম্মেদ(৭৮) ও তার পুত্রবধূ নূর নাহার লাভলিকে ভারতের নয়াদিল্লির পাহাড়গঞ্জের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় ২০০৪ সালে। সে বছরের ডিসেম্বরে আজমির শরিফ যাওয়ার জন্য তারা ভারতে আসেন। দিল্লিতে তারা পাহাড়গঞ্জের একটি হোটেলে ওঠেন। ওই হোটেলের ব্যবস্থাপকের সঙ্গে তাদের বচসা হয়। পরে ব্যবস্থাপকের নির্দেশে কিছু লোক এসে জাল নোট পাচারকারী চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে হোটেল থেকে তাদের তুলে নিয়ে যায়। পরে জানা যায়, ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই তাদের গ্রেফতার করেছে।
পরে সিবিআই জাল টাকা পাচারকারী চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলাটি চলছিল দিল্লির তিস হাজারি আদালতে।
সূত্র জানায়, গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার রুপি উদ্ধার করা হয়েছিলো। ঘটনার সঙ্গে দুই ভারতীয় নাগরিকও ছিলেন বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মুদ্রা পাচারের অভিযোগ আনা হলেও আদালত অভিযোগের কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি। তবে কাস্টমস আইন লঙ্ঘন করে অবৈধ মুদ্রা বহনের দায়ে তাদেরকে সাত বছর ১১ মাস কারাদণ্ড দিয়ে জেলে প্রেরণ করে।
তবে সাজা শেষ হওয়ার ১৮ মাস আগেই প্রত্যেকে ১ লাখ ৫০ হাজার করে রুপি জরিমানা দিয়ে তারা মুক্তি পান। যুগেশ কোচার, আশিষ বেগ এবং চেতন শেঠ নামে তিন শুভাকাঙ্খী রশিদের পক্ষ থেকে এই অর্থ পরিশোধ করেন।
তবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রথম থেকেই রশিদ ও লাভলির মুক্তির ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে অনুরোধ জানিয়ে আসছে। সর্বশেষ গত ২৯ জুন ভারতের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, রশিদ আহমেদ একজন নামী শিল্পী। এভাবে তিনি জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না। তাছাড়া বিনা বিচারে রশিদ আহমেদ আট বছর ধরে কারাবন্দী। এ পরিপ্রেক্ষিতে তাদের মুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বাংলাদেশি ওই দুই নাগরিকের মুক্তির বিষয়ে ভারতে নিয়োজিত বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাজিবুর রহমান ভারতীয় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশি ভাস্কর রশিদ আহম্মেদ(৭৮) ও তার পুত্রবধূ নূর নাহার লাভলিকে ভারতের নয়াদিল্লির পাহাড়গঞ্জের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় ২০০৪ সালে। সে বছরের ডিসেম্বরে আজমির শরিফ যাওয়ার জন্য তারা ভারতে আসেন। দিল্লিতে তারা পাহাড়গঞ্জের একটি হোটেলে ওঠেন। ওই হোটেলের ব্যবস্থাপকের সঙ্গে তাদের বচসা হয়। পরে ব্যবস্থাপকের নির্দেশে কিছু লোক এসে জাল নোট পাচারকারী চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে হোটেল থেকে তাদের তুলে নিয়ে যায়। পরে জানা যায়, ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই তাদের গ্রেফতার করেছে।
পরে সিবিআই জাল টাকা পাচারকারী চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলাটি চলছিল দিল্লির তিস হাজারি আদালতে।
সূত্র জানায়, গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার রুপি উদ্ধার করা হয়েছিলো। ঘটনার সঙ্গে দুই ভারতীয় নাগরিকও ছিলেন বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মুদ্রা পাচারের অভিযোগ আনা হলেও আদালত অভিযোগের কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি। তবে কাস্টমস আইন লঙ্ঘন করে অবৈধ মুদ্রা বহনের দায়ে তাদেরকে সাত বছর ১১ মাস কারাদণ্ড দিয়ে জেলে প্রেরণ করে।
তবে সাজা শেষ হওয়ার ১৮ মাস আগেই প্রত্যেকে ১ লাখ ৫০ হাজার করে রুপি জরিমানা দিয়ে তারা মুক্তি পান। যুগেশ কোচার, আশিষ বেগ এবং চেতন শেঠ নামে তিন শুভাকাঙ্খী রশিদের পক্ষ থেকে এই অর্থ পরিশোধ করেন।
তবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রথম থেকেই রশিদ ও লাভলির মুক্তির ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে অনুরোধ জানিয়ে আসছে। সর্বশেষ গত ২৯ জুন ভারতের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, রশিদ আহমেদ একজন নামী শিল্পী। এভাবে তিনি জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না। তাছাড়া বিনা বিচারে রশিদ আহমেদ আট বছর ধরে কারাবন্দী। এ পরিপ্রেক্ষিতে তাদের মুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বাংলাদেশি ওই দুই নাগরিকের মুক্তির বিষয়ে ভারতে নিয়োজিত বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাজিবুর রহমান ভারতীয় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
No comments