শ্রমিক মৃত্যুর গুজব-ছিনতাইয়ের প্রতিবাদ- দুই মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ৫০
ছিনতাই ‘বৃদ্ধির’ প্রতিবাদে ও ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে একজন পোশাকশ্রমিকের নিহত হওয়ার গুজবে গতকাল রোববার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পোশাকশ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক, পুলিশসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন।
ঘটনার সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন। আগুন দেওয়া হয় পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান ও চারটি মোটরসাইকেলে। শ্রমিকেরা দুপুর ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নারায়ণগঞ্জের সভাপতি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল রোববারের বিক্ষোভ শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। পথে নিরাপত্তা না থাকায় ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ শ্রমিকেরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।’
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার রাতে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে এক শ্রমিকের নিহত হওয়ার গুজব ও ছিনতাই ‘বৃদ্ধির’ প্রতিবাদে গতকাল সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের ইপিক গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা মিছিল বের করেন। এ সময় তাঁদের আহ্বানে আদমজী ইপিজেডের ভেতরের অন্য শিল্পকারখানার শ্রমিকেরাও বের হয়ে আসেন। সকাল ১০টার দিকে তাঁরা নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-ডেমরা সড়ক অবরোধ করেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হাজার হাজার শ্রমিক শিমরাইল মোড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা কাঁচপুরে অবস্থিত ওপেক্স সিনহা গ্রুপের কারখানার ফটক ভেঙে শ্রমিকদের বের করে আনেন। পরে তাঁরা ঢাকা-সিলেট মহাড়ক অবরোধ করেন। এতে দুটি মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় অনেক লোক হেঁটে কাঁচপুর সেতু পার হন।
দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে শ্রমিকেরা শিমরাইল মোড়ের পুলিশ বক্সে ও চারটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে তাঁরা শিমরাইল মুক্তি সরণির সামনের সড়কে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেন। শ্রমিকেরা শিমরাইল মোড়ের ফুটওভারব্রিজের ওপর লাগানো বিলবোর্ড খুলে তাতে অগ্নিসংযোগ করেন।
সূত্র জানায়, পুলিশ শতাধিক রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দুপুর আড়াইটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়। এ ঘটনায় ইটিভির ক্যামেরাম্যান রবিউল ইসলাম, প্রথম আলোর আলোকচিত্রী পাপ্পু ভট্টাচার্য্য ও সোনারগাঁ প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান এবং পুলিশের পাঁচ সদস্যসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৪-এর পরিচালক মাহবুব আলম বলেন, একজন পোশাকশ্রমিকের নিহত হওয়ার গুজবে ইপিক কারখানার শ্রমিকেরা মিছিল বের করেন। পর তাঁরা অন্য কারখানার শ্রমিকদের বের করে আনেন। শ্রমিক নিহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। শনিবার রাতে মিজমিজি এলাকায় শাহীন নামের এক শ্রমিক ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে ছুরিকাহত হন।
পুলিশ সুপার শেখ নাজমুল আলম বলেন, পুলিশ শতাধিক টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।
পোশাকশ্রমিক ও স্থানীয় লোকজন জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পূর্বপাড়া, নতুন মহল্লা, সিআই খোলা, মজিববাগ এলাকায় প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। কয়েক দিন এসব এলাকায় আদমজী ইপিজেডের বিভিন্ন পোশাক কারখানার ৮-১০ জন শ্রমিক ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে আহত হন।
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নারায়ণগঞ্জের সভাপতি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল রোববারের বিক্ষোভ শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। পথে নিরাপত্তা না থাকায় ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ শ্রমিকেরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।’
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার রাতে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে এক শ্রমিকের নিহত হওয়ার গুজব ও ছিনতাই ‘বৃদ্ধির’ প্রতিবাদে গতকাল সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের ইপিক গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা মিছিল বের করেন। এ সময় তাঁদের আহ্বানে আদমজী ইপিজেডের ভেতরের অন্য শিল্পকারখানার শ্রমিকেরাও বের হয়ে আসেন। সকাল ১০টার দিকে তাঁরা নারায়ণগঞ্জ-আদমজী-ডেমরা সড়ক অবরোধ করেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে হাজার হাজার শ্রমিক শিমরাইল মোড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা কাঁচপুরে অবস্থিত ওপেক্স সিনহা গ্রুপের কারখানার ফটক ভেঙে শ্রমিকদের বের করে আনেন। পরে তাঁরা ঢাকা-সিলেট মহাড়ক অবরোধ করেন। এতে দুটি মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় অনেক লোক হেঁটে কাঁচপুর সেতু পার হন।
দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে শ্রমিকেরা শিমরাইল মোড়ের পুলিশ বক্সে ও চারটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে তাঁরা শিমরাইল মুক্তি সরণির সামনের সড়কে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেন। শ্রমিকেরা শিমরাইল মোড়ের ফুটওভারব্রিজের ওপর লাগানো বিলবোর্ড খুলে তাতে অগ্নিসংযোগ করেন।
সূত্র জানায়, পুলিশ শতাধিক রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দুপুর আড়াইটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়। এ ঘটনায় ইটিভির ক্যামেরাম্যান রবিউল ইসলাম, প্রথম আলোর আলোকচিত্রী পাপ্পু ভট্টাচার্য্য ও সোনারগাঁ প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান এবং পুলিশের পাঁচ সদস্যসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৪-এর পরিচালক মাহবুব আলম বলেন, একজন পোশাকশ্রমিকের নিহত হওয়ার গুজবে ইপিক কারখানার শ্রমিকেরা মিছিল বের করেন। পর তাঁরা অন্য কারখানার শ্রমিকদের বের করে আনেন। শ্রমিক নিহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। শনিবার রাতে মিজমিজি এলাকায় শাহীন নামের এক শ্রমিক ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে ছুরিকাহত হন।
পুলিশ সুপার শেখ নাজমুল আলম বলেন, পুলিশ শতাধিক টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।
পোশাকশ্রমিক ও স্থানীয় লোকজন জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পূর্বপাড়া, নতুন মহল্লা, সিআই খোলা, মজিববাগ এলাকায় প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। কয়েক দিন এসব এলাকায় আদমজী ইপিজেডের বিভিন্ন পোশাক কারখানার ৮-১০ জন শ্রমিক ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে আহত হন।
No comments