খালেদা জিয়ার ভারত সফর-ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা বিএনপির by মোশাররফ বাবলু
ভারত সরকারের আমন্ত্রণে আগামী রবিবার এক সপ্তাহের সফরে নয়াদিল্লি যাচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দলের নেতারা মনে করছেন, চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে চীন সফরের পর তাঁর আসন্ন ভারত সফর বিএনপিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন দেওয়ার দাবির প্রতি সমর্থন আদায়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চান বিএনপির চেয়ারপারসন। দুই দেশের মধ্যকার অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর গ্রহণযোগ্য সমাধানে দলের ইচ্ছার কথাও দেশটির নেতাদের কাছে তুলে ধরা হবে বলে বিএনপি সূত্রে জানা যায়।
খালেদা জিয়ার ভারত সফরকে সামনে রেখে আজ মঙ্গলবার রাতে গুলশানের কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ। বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান এ তথ্য জানান।
দলের একজন নীতিনির্ধারক জানান, সব দেশের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক রাখতে চায় বিএনপি। সেই লক্ষ্য নিয়েই খালেদা জিয়া এক সপ্তাহ চীন সফর করেছেন। একই চিন্তা মাথায় রেখে তিনি ভারতে যাচ্ছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। এ অবস্থায় ভারতের মতো দেশের সরকার বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেতাকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে- এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চীন সফর সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে দুই দেশের (চীন ও ভারত) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, খালেদা জিয়ার সফরের মধ্য দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। দুই দেশের মধ্যকার সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট, মর্যাদাভিত্তিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এতে। তিনি বলেন, বিএনপি সব সময় ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। বিশেষ করে দেশের মানুষ যা চায় সেসব বিষয় নিয়েই ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা হবে।
খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেলসহ থাকবে ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল। ৩ নভেম্বর তাঁদের ঢাকায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে বলে এক নেতা জানান।
বিএনপির চেয়ারপারসন ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দল বিজেপির প্রধানসহ অন্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সরকারের পররাষ্ট্রনীতি কী হবে, ভারত ও পাকিস্তানকে কতটুকু গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং দিল্লির সরকারের সঙ্গে বিএনপির কেমন সম্পর্ক হবে- এর একটি রূপরেখাও তুলে ধরা হবে বলে বিএনপির কেউ কেউ মনে করছেন।
বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ভারত সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্কের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। বিএনপি শুধু দেশের সুধী সমাজ ও সাধারণ মানুষের সমর্থনই নয়, বাইরের দেশের সমর্থনও চায়; বিশেষ করে চীনের পর ভারতের। সেই ভারতের গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষা করছেন দলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা আশা করছেন, চীন সফরের মতো ভারত সফরও সফল এবং তাৎপর্যপূর্ণ হবে। নেতারা মনে করেন, ভবিষ্যতে যে দলই সরকার গঠন করতে যাক না কেন, প্রতিবেশী ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে। তাই বিএনপি বন্ধু প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়।
সূত্র মতে, ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় থাকাকালে তাদের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের উন্নতি ঘটেছিল; কিন্তু দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পর্ক ততটা ভালো নয়। জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান ধরা পড়ার পর ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের অবনতি ঘটে। পরে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বহু আলোচনা হলেও তেমন একটা অগ্রগতি দেখা যায়নি। বরাবরই ভারতের সঙ্গে বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক ভালো। বিশেষ করে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর বাংলাদেশে ভারতবিরোধী তৎপরতা কমে আসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে ভারত সফরকালে বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকলাপ হতে দেওয়া হবে না। এর পর থেকে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে ভারত সরকার। বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের সক্রিয় হয়ে ওঠা নিয়ে নয়াদিল্লির উদ্বেগ রয়েছে। এই উদ্বেগ প্রশমিত করতে বিএনপি চেয়ারপারসন ভারতে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, সীমান্ত সমস্যা, আঞ্চলিক সহযোগিতা, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, টিপাইমুখ বাঁধ প্রসঙ্গে ভারতের ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আদায়ে চেষ্টা চালাবেন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতা, ট্রানজিট-ট্রানশিপমেন্ট, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে দেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হলে এসব বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করতে পারেন তিনি। ক্ষমতায় গেলে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের ভিত্তিতে বিএনপির নেতৃত্বে বাংলাদেশ কিভাবে পথ চলবে, তা বিশেষভাবে উঠে আসবে আলোচনায়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরকালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ ও অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি (বর্তমানে রাষ্ট্রপতি) বাংলাদেশ সফরে এসে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সফরের আমন্ত্রণ জানান। খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হচ্ছেন বিএনপির শীর্ষপর্যায়ের কয়েকজন নেতা। এ সময় তিনি আজমির শরিফও জিয়ারত করবেন বলে দলের একটি সূত্রে জানা গেছে।
খালেদা জিয়ার ভারত সফরকে সামনে রেখে আজ মঙ্গলবার রাতে গুলশানের কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ। বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান এ তথ্য জানান।
দলের একজন নীতিনির্ধারক জানান, সব দেশের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক রাখতে চায় বিএনপি। সেই লক্ষ্য নিয়েই খালেদা জিয়া এক সপ্তাহ চীন সফর করেছেন। একই চিন্তা মাথায় রেখে তিনি ভারতে যাচ্ছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। এ অবস্থায় ভারতের মতো দেশের সরকার বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেতাকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে- এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চীন সফর সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে দুই দেশের (চীন ও ভারত) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, খালেদা জিয়ার সফরের মধ্য দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। দুই দেশের মধ্যকার সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট, মর্যাদাভিত্তিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এতে। তিনি বলেন, বিএনপি সব সময় ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। বিশেষ করে দেশের মানুষ যা চায় সেসব বিষয় নিয়েই ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা হবে।
খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেলসহ থাকবে ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল। ৩ নভেম্বর তাঁদের ঢাকায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে বলে এক নেতা জানান।
বিএনপির চেয়ারপারসন ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দল বিজেপির প্রধানসহ অন্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সরকারের পররাষ্ট্রনীতি কী হবে, ভারত ও পাকিস্তানকে কতটুকু গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং দিল্লির সরকারের সঙ্গে বিএনপির কেমন সম্পর্ক হবে- এর একটি রূপরেখাও তুলে ধরা হবে বলে বিএনপির কেউ কেউ মনে করছেন।
বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ভারত সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্কের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। বিএনপি শুধু দেশের সুধী সমাজ ও সাধারণ মানুষের সমর্থনই নয়, বাইরের দেশের সমর্থনও চায়; বিশেষ করে চীনের পর ভারতের। সেই ভারতের গ্রিন সিগন্যালের অপেক্ষা করছেন দলের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা আশা করছেন, চীন সফরের মতো ভারত সফরও সফল এবং তাৎপর্যপূর্ণ হবে। নেতারা মনে করেন, ভবিষ্যতে যে দলই সরকার গঠন করতে যাক না কেন, প্রতিবেশী ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে। তাই বিএনপি বন্ধু প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়।
সূত্র মতে, ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় থাকাকালে তাদের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের উন্নতি ঘটেছিল; কিন্তু দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পর্ক ততটা ভালো নয়। জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান ধরা পড়ার পর ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের অবনতি ঘটে। পরে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বহু আলোচনা হলেও তেমন একটা অগ্রগতি দেখা যায়নি। বরাবরই ভারতের সঙ্গে বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক ভালো। বিশেষ করে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর বাংলাদেশে ভারতবিরোধী তৎপরতা কমে আসে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে ভারত সফরকালে বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকলাপ হতে দেওয়া হবে না। এর পর থেকে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে ভারত সরকার। বিএনপি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের সক্রিয় হয়ে ওঠা নিয়ে নয়াদিল্লির উদ্বেগ রয়েছে। এই উদ্বেগ প্রশমিত করতে বিএনপি চেয়ারপারসন ভারতে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, সীমান্ত সমস্যা, আঞ্চলিক সহযোগিতা, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, টিপাইমুখ বাঁধ প্রসঙ্গে ভারতের ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আদায়ে চেষ্টা চালাবেন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতা, ট্রানজিট-ট্রানশিপমেন্ট, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে দেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হলে এসব বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করতে পারেন তিনি। ক্ষমতায় গেলে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের ভিত্তিতে বিএনপির নেতৃত্বে বাংলাদেশ কিভাবে পথ চলবে, তা বিশেষভাবে উঠে আসবে আলোচনায়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরকালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ ও অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি (বর্তমানে রাষ্ট্রপতি) বাংলাদেশ সফরে এসে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সফরের আমন্ত্রণ জানান। খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হচ্ছেন বিএনপির শীর্ষপর্যায়ের কয়েকজন নেতা। এ সময় তিনি আজমির শরিফও জিয়ারত করবেন বলে দলের একটি সূত্রে জানা গেছে।
No comments