পার্লামেন্টে প্রথম ভাষণে সু চি- জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন করতে হবে
জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি। গতকাল বুধবার পার্লামেন্টে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান। গত এপ্রিলে উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর মিয়ানমারের পার্লামেন্টে শান্তিতে নোবেলজয়ী এই নেত্রীর এটিই প্রথম ভাষণ।
সু চি বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বার্মাকে (মিয়ানমার) গড়ে তোলার জন্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইন এবং সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘ সহিংসতার মাস খানেক পর সু চি জাতিগত সংখ্যালঘু মানুষের অধিকার রক্ষায় এই প্রথম আইন প্রণয়নের কথা বললেন।
তবে পার্লামেন্ট ভাষণে সু চি রোহিঙ্গাদের বিষয়টি উল্লেখ করেননি। বরাবরের মতোই রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে তিনি কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত ছিলেন।
গত জুন মাসে মিয়ানমারের বিরোধীদলীয় এই নেত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হবে কি না?’ উত্তরে সু চি বলেন, ‘আমি জানি না।’ তিনি বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের উচিত নাগরিকত্ব আইন ব্যাখ্যা করা।
জাতিগত নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের পক্ষে অবস্থান না নেওয়া এবং তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে না আসার কারণে সু চির প্রতি মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মীরা। মিয়ানমারে অবস্থান করা প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গাকে জাতিসংঘ বিশ্বের সবচেয়ে হয়রানির শিকার সংখ্যালঘু হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এ ছাড়া গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে বলেছে, সহিংসতার পর থেকে রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা মুসলমানদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হচ্ছে এবং ঢালাও গ্রেপ্তারের শিকার হচ্ছেন তাঁরা।
মিয়ানমারের কোচিন প্রদেশের দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন অবসানে সেনাসমর্থিত বর্তমান সরকার যখন শান্তি আলোচনা শুরু করেছে, ঠিক তখন রাখাইন প্রদেশে রাখাইন এবং রোহিঙ্গাদের মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতা দেশটির চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে পার্লামেন্ট ভাষণে সু চি বলেন, ‘জাতিগত সংখ্যালঘুদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আমি পার্লামেন্টের সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, শুধু ভাষা এবং সংস্কৃতিকে সংরক্ষণই নয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় আমাদের আরও বেশি কিছু করা প্রয়োজন।
সু চি বলেন, সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বেশির ভাগ মানুষ দেশের গড় দারিদ্যসীমার নিচে বাস করছে। জাতিগত সংখ্যালঘু বিভিন্ন গোষ্ঠীর চলমান বিরোধের প্রতি ইঙ্গিত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্রোধের যুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে নিভে যায়নি। বিবিসি, এএফপি।
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইন এবং সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘ সহিংসতার মাস খানেক পর সু চি জাতিগত সংখ্যালঘু মানুষের অধিকার রক্ষায় এই প্রথম আইন প্রণয়নের কথা বললেন।
তবে পার্লামেন্ট ভাষণে সু চি রোহিঙ্গাদের বিষয়টি উল্লেখ করেননি। বরাবরের মতোই রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে তিনি কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত ছিলেন।
গত জুন মাসে মিয়ানমারের বিরোধীদলীয় এই নেত্রীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হবে কি না?’ উত্তরে সু চি বলেন, ‘আমি জানি না।’ তিনি বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের উচিত নাগরিকত্ব আইন ব্যাখ্যা করা।
জাতিগত নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের পক্ষে অবস্থান না নেওয়া এবং তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে না আসার কারণে সু চির প্রতি মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মীরা। মিয়ানমারে অবস্থান করা প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গাকে জাতিসংঘ বিশ্বের সবচেয়ে হয়রানির শিকার সংখ্যালঘু হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এ ছাড়া গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে বলেছে, সহিংসতার পর থেকে রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা মুসলমানদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হচ্ছে এবং ঢালাও গ্রেপ্তারের শিকার হচ্ছেন তাঁরা।
মিয়ানমারের কোচিন প্রদেশের দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন অবসানে সেনাসমর্থিত বর্তমান সরকার যখন শান্তি আলোচনা শুরু করেছে, ঠিক তখন রাখাইন প্রদেশে রাখাইন এবং রোহিঙ্গাদের মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সহিংসতা দেশটির চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে পার্লামেন্ট ভাষণে সু চি বলেন, ‘জাতিগত সংখ্যালঘুদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আমি পার্লামেন্টের সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, শুধু ভাষা এবং সংস্কৃতিকে সংরক্ষণই নয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় আমাদের আরও বেশি কিছু করা প্রয়োজন।
সু চি বলেন, সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বেশির ভাগ মানুষ দেশের গড় দারিদ্যসীমার নিচে বাস করছে। জাতিগত সংখ্যালঘু বিভিন্ন গোষ্ঠীর চলমান বিরোধের প্রতি ইঙ্গিত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্রোধের যুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে নিভে যায়নি। বিবিসি, এএফপি।
No comments