রাজনীতি- তেঁতুলিয়া আ.লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ২০

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস দখলকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দুপুর থেকে শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।


আহত ব্যক্তিদের মধ্যে উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আবদুল হাফেজ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন, ছাত্রলীগের সমর্থক আতাউর রহমান, মিন্টু ও সোহেলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অনেকক্ষণ চেষ্টার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস দখল করে সেখানে অবস্থান নেন। দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নায়বুল ইসলামের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা অফিসে যান। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি, হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায় এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।
তেঁতুলিয়া আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নায়বুল ইসলাম বলেন, কাজী মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের নিয়ে অফিসে বসে ছিলাম। এ সময় ছেলেদের সঙ্গে হালকা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।’
পুলিশ সুপার শাহারিয়ার রহমান বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উভয় পক্ষকে আলোচনার জন্য থানায় ডাকা হয়েছে।’
গত ২৮ আগস্ট বিকেলে তেঁতুলিয়া চৌরাস্তায় উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের সমাবেশ আহ্বান করা হয়। সমাবেশে নায়বুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ৭১ সদস্যের উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই দিনই আহ্বায়ক কমিটি অফিসের দখল নিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। সমাবেশে পঞ্চগড়-১ আসনের সাংসদ মজাহারুল হক প্রধান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়াছিন আলী মণ্ডল এবং সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

No comments

Powered by Blogger.