গর্ডন ব্রাউনের আহ্বান-১০ নভেম্বর হোক 'মালালাদের'
মালালা ইউসুফজাইয়ের শারীরিক অবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভালো। চিকিৎসকরা বলেছেন, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে সে। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে আরো অনেক সময় লাগবে।
সবচেয়ে আশার কথা, চিকিৎসায় সে সাড়া দিয়েছে। মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই পরপর দুটি সফল অস্ত্রোপচারের পর সে হাঁটতেও পারছে। তার শারীরিক অবস্থার দিকে লক্ষ রাখছে সারা বিশ্বের মানুষ। বিশেষ করে নারীশিক্ষা ও ব্যক্তিস্বাধীনতার দাবিতে তালেবানের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদী ভূমিকা সাড়া ফেলেছে পৃথিবীর প্রতিটি কোণে। শিহরিত হয়েছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনও। বর্তমানে তিনি জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে বিশ্বব্যাপী শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে কাজ করছেন। মালালার ঘটনাকে তিনি দেখছেন সারা বিশ্বের শিক্ষাবঞ্চিত তিন কোটি ২০ লাখ কন্যাশিশুর পক্ষে প্রতিবাদ হিসেবে। এ কারণেই আগামী ১০ নভেম্বরকে কন্যাশিশুদের অধিকার রক্ষায় বিশেষ দিবস হিসেবে পালনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ওই দিনে মালালার ওপর তালেবান হামলার এক মাস পূর্ণ হবে।
লন্ডনের হাফিংটন পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে গর্ডন ব্রাউনের এই আহ্বানসংবলিত লেখাটি। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, মালালার ওপর হামলার এক মাস পরের ওই তারিখে পাকিস্তান সফরে যাবেন তিনি। সেখানে গিয়ে রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারির হাতে পাকিস্তানি ছেলেমেয়েদের শিক্ষার অধিকার দেওয়ার দাবিতে সারা পৃথিবী থেকে পাঠানো ১০ লাখেরও বেশি আবেদন তুলে দেবেন। মালালাসহ পাকিস্তানের শিশুদের জন্য শিক্ষার গুরুত্ব কতটা বেশি এ আবেদনগুলো সেই বাস্তবতাকেই তুলে ধরবে। তিনি বলেন, 'এর মাধ্যমে বিশ্বকে জানাতে চাই, মেয়েদের স্কুলের বাইরে রাখাকে আমরা মোটেও সমর্থন করি না।'
তিনি আরো বলেন, 'যখন আমি তাঁর হাতে আবেদনগুলো তুলে দেব তখন রাষ্ট্রপতি জারদারির কাছে জানতে চাইব পাকিস্তানে মেয়েদের শিক্ষা প্রসারে সরকারি নীতিতে কার্যকর কোনো পরিবর্তন সত্যিই নেওয়া হবে কি না। আমি এরপর এসব আবেদনের কপি জাতিসংঘের কাছেও পৌঁছে দেব, যাতে প্রতিটি শিশুর স্কুলে যাওয়া নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহায়তা পাওয়া যায়।'
এ ছাড়া মালালার সম্মানে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠারও ঘোষণা দেন তিনি। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে মালালা ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল, বিশ্বজুড়ে স্কুলে যাওয়ার অনুমতি না পাওয়া তিন কোটি ২০ লাখ কন্যাশিশুর অধিকার রক্ষায় মালালা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করবে সে। মালালার সেই ইচ্ছাকে সম্মান জানাতেই এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন ব্রাউন।
ওই লেখায় ব্রাউন বলেন, 'মালালার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কারণ তালেবান মেয়েদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণকে জিইয়ে রাখতে চেয়েছিল। তাদের ধারণা ছিল নারীদের শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া মানেই বেপর্দা হওয়া, যা তাদের দৃষ্টিতে বেহায়াপনার শামিল। কিন্তু মালালা বুঝতে পেরেছিল এই বৈষম্য নানাভাবে চেপে আসবে তাদের ওপর। সে জন্য সে প্রতিবাদ করেছিল।' ওই লেখায় উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশি মেয়েদের চিত্রও তুলে ধরেন তিনি। জানান, ১০ বছর বয়স হলেই বাংলাদেশে মেয়েদের লেখাপড়া থেকে ছাড়িয়ে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি তাদের শৈশবকেও অগ্রাহ্য করা হচ্ছে, খেলা ছাড়িয়ে তাদের তৈরি করা হচ্ছে বিয়ের কনে হিসেবে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, বিশ্বে এক লাখ কন্যাশিশু শিশুসৈনিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। লাখ লাখ শিশুকে জোর করে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুশ্রমিক হিসেবে।
তিনি বলেন, পরিবর্তন শুধু সম্ভব বললে হবে না, 'এটিই হচ্ছে একমাত্র বিকল্প। জাতিসংঘ মহাসচিবের ঘোষণা অনুসারে আমরা দেখাতে চাই শিক্ষা এখন আমাদের কাছে কেবল অগ্রাধিকার নয়, বরং এটি হচ্ছে সবার অধিকার। আর বিশ্বের প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকার সমুন্নত রাখার বিষয়ে আমাদের হতে হবে আপসহীন।' এ কারণে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে সাহসী মালালার প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে সবাইকে আগামী ১০ নভেম্বরের দিবসটি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন গর্ডন ব্রাউন।
উল্লেখ্য, নারীশিক্ষা ও ব্যক্তিস্বাধীনতার দাবিতে তালেবানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় গত ১০ অক্টোবর পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোয়াত উপত্যকার প্রধান শহর মিংগোরায় বাসযোগে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তালেবান বন্দুকধারীর হামলায় গুলিবিদ্ধ হয় ১৪ বছরের কিশোরী মালালা ইউসুফজাই। তালেবান সন্ত্রাসীরা তার মাথা ও শিরদাঁড়ায় গুলি করে। পাকিস্তানের একটি হাসপাতালে প্রাথমিক অস্ত্রোপচারের পর ব্রিটেনে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। বার্মিংহামের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে আরেক দফা অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে।
লন্ডনের হাফিংটন পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে গর্ডন ব্রাউনের এই আহ্বানসংবলিত লেখাটি। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, মালালার ওপর হামলার এক মাস পরের ওই তারিখে পাকিস্তান সফরে যাবেন তিনি। সেখানে গিয়ে রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারির হাতে পাকিস্তানি ছেলেমেয়েদের শিক্ষার অধিকার দেওয়ার দাবিতে সারা পৃথিবী থেকে পাঠানো ১০ লাখেরও বেশি আবেদন তুলে দেবেন। মালালাসহ পাকিস্তানের শিশুদের জন্য শিক্ষার গুরুত্ব কতটা বেশি এ আবেদনগুলো সেই বাস্তবতাকেই তুলে ধরবে। তিনি বলেন, 'এর মাধ্যমে বিশ্বকে জানাতে চাই, মেয়েদের স্কুলের বাইরে রাখাকে আমরা মোটেও সমর্থন করি না।'
তিনি আরো বলেন, 'যখন আমি তাঁর হাতে আবেদনগুলো তুলে দেব তখন রাষ্ট্রপতি জারদারির কাছে জানতে চাইব পাকিস্তানে মেয়েদের শিক্ষা প্রসারে সরকারি নীতিতে কার্যকর কোনো পরিবর্তন সত্যিই নেওয়া হবে কি না। আমি এরপর এসব আবেদনের কপি জাতিসংঘের কাছেও পৌঁছে দেব, যাতে প্রতিটি শিশুর স্কুলে যাওয়া নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহায়তা পাওয়া যায়।'
এ ছাড়া মালালার সম্মানে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠারও ঘোষণা দেন তিনি। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে মালালা ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল, বিশ্বজুড়ে স্কুলে যাওয়ার অনুমতি না পাওয়া তিন কোটি ২০ লাখ কন্যাশিশুর অধিকার রক্ষায় মালালা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করবে সে। মালালার সেই ইচ্ছাকে সম্মান জানাতেই এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন ব্রাউন।
ওই লেখায় ব্রাউন বলেন, 'মালালার স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কারণ তালেবান মেয়েদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণকে জিইয়ে রাখতে চেয়েছিল। তাদের ধারণা ছিল নারীদের শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া মানেই বেপর্দা হওয়া, যা তাদের দৃষ্টিতে বেহায়াপনার শামিল। কিন্তু মালালা বুঝতে পেরেছিল এই বৈষম্য নানাভাবে চেপে আসবে তাদের ওপর। সে জন্য সে প্রতিবাদ করেছিল।' ওই লেখায় উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশি মেয়েদের চিত্রও তুলে ধরেন তিনি। জানান, ১০ বছর বয়স হলেই বাংলাদেশে মেয়েদের লেখাপড়া থেকে ছাড়িয়ে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি তাদের শৈশবকেও অগ্রাহ্য করা হচ্ছে, খেলা ছাড়িয়ে তাদের তৈরি করা হচ্ছে বিয়ের কনে হিসেবে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, বিশ্বে এক লাখ কন্যাশিশু শিশুসৈনিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। লাখ লাখ শিশুকে জোর করে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুশ্রমিক হিসেবে।
তিনি বলেন, পরিবর্তন শুধু সম্ভব বললে হবে না, 'এটিই হচ্ছে একমাত্র বিকল্প। জাতিসংঘ মহাসচিবের ঘোষণা অনুসারে আমরা দেখাতে চাই শিক্ষা এখন আমাদের কাছে কেবল অগ্রাধিকার নয়, বরং এটি হচ্ছে সবার অধিকার। আর বিশ্বের প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকার সমুন্নত রাখার বিষয়ে আমাদের হতে হবে আপসহীন।' এ কারণে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে সাহসী মালালার প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে সবাইকে আগামী ১০ নভেম্বরের দিবসটি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন গর্ডন ব্রাউন।
উল্লেখ্য, নারীশিক্ষা ও ব্যক্তিস্বাধীনতার দাবিতে তালেবানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় গত ১০ অক্টোবর পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোয়াত উপত্যকার প্রধান শহর মিংগোরায় বাসযোগে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তালেবান বন্দুকধারীর হামলায় গুলিবিদ্ধ হয় ১৪ বছরের কিশোরী মালালা ইউসুফজাই। তালেবান সন্ত্রাসীরা তার মাথা ও শিরদাঁড়ায় গুলি করে। পাকিস্তানের একটি হাসপাতালে প্রাথমিক অস্ত্রোপচারের পর ব্রিটেনে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। বার্মিংহামের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে আরেক দফা অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে।
No comments