উড়ালসেতু নির্মাণ এলাকায় কী চলছে?- মনে হয় দেখার কেউ নেই!
যাত্রাবাড়ী-জয়কালী মন্দির-গুলিস্তান, বিমানবন্দরে যাওয়া-আসা এবং অন্যান্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংযোগে উড়ালসেতু বানাতে হবে, এটা নগরবাসীরই দাবি। না হলে ওই সব এলাকার তীব্র যানজট কমবে না। কিন্তু এসব নির্মাণ এলাকায় দিন-রাত যে ভয়াবহ যানজটে জনভোগান্তি চলছে, সে ব্যাপারে দেখার কি কেউ নেই?
বিশেষভাবে যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান উড়ালসেতু নির্মাণ এলাকার বিষয়টি উল্লেখ করতে হয়। এই এলাকায় অনেক আগেই ওয়াসার পানি, তিতাসের গ্যাস ও ডেসার বিদ্যুতের লাইন সরানোর কথা ছিল। সময়মতো তা না করায় উড়ালসেতু নির্মাণকাজ বিলম্বিত হয়েছে। এরপর সম্প্রতি ভরা বর্ষায় এসব লাইন প্রতিস্থাপনের জন্য নির্মাণ এলাকার পাশ দিয়ে যান চলাচলের যে সরু রাস্তাটুকু ছিল, সেটাও খুঁড়েফুঁড়ে একাকার করে রেখে গেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সেই সব গর্ত ভরাট করার গরজ কারোরই নেই।
উড়ালসেতু নির্মাণের শুরুতে দুই পাশে যান চলাচলের জন্য অপ্রশস্ত রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই রাস্তার পুরোটাই বিশাল গর্তে ভরে গেছে। রিকশা-গাড়ি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ পর্যন্ত এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে অন্তত তিনটি বাস-ট্রাক উল্টে পড়েছে। যাত্রাবাড়ী এলাকায় পাইলিংয়ের সময় অন্তত দুবার গ্যাসলাইন ফেটে ভয়াবহ আগুন ধরেছে। দুর্ঘটনার পর যাত্রাবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এলাকায় গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
বিমানবন্দর সড়কের রেলক্রসিং এলাকায় উড়ালসেতু নির্মাণের বিরাট কর্মযজ্ঞ চলছে, অথচ সেখানে কাউকে তেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয় না, কারণ আগেই বিকল্প পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু যাত্রাবাড়ী উড়ালসেতু এলাকায় সে রকম কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের পূর্বাঞ্চল থেকে রাজধানীতে যাতায়াতের প্রধান প্রবেশদ্বার হলো যাত্রাবাড়ী। সেখানে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের প্রতিবাদে ইতিমধ্যে কয়েকবার জনবিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের বিকার নেই।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সভায় বিষয়টি আলোচিত হওয়ায় মনে হয় অন্ধকারে এক চিলতে আলো পড়েছে। বিকল্প সড়ক-সেতু নির্মাণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অবিলম্বে বিদ্যমান রাস্তার গর্তগুলো ইট-পাথর দিয়ে ভরাটের ব্যবস্থা করলে মানুষ স্বস্তি পাবে।
উড়ালসেতু নির্মাণের শুরুতে দুই পাশে যান চলাচলের জন্য অপ্রশস্ত রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই রাস্তার পুরোটাই বিশাল গর্তে ভরে গেছে। রিকশা-গাড়ি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ পর্যন্ত এই সড়কের বিভিন্ন স্থানে অন্তত তিনটি বাস-ট্রাক উল্টে পড়েছে। যাত্রাবাড়ী এলাকায় পাইলিংয়ের সময় অন্তত দুবার গ্যাসলাইন ফেটে ভয়াবহ আগুন ধরেছে। দুর্ঘটনার পর যাত্রাবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এলাকায় গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
বিমানবন্দর সড়কের রেলক্রসিং এলাকায় উড়ালসেতু নির্মাণের বিরাট কর্মযজ্ঞ চলছে, অথচ সেখানে কাউকে তেমন দুর্ভোগ পোহাতে হয় না, কারণ আগেই বিকল্প পাকা সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু যাত্রাবাড়ী উড়ালসেতু এলাকায় সে রকম কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের পূর্বাঞ্চল থেকে রাজধানীতে যাতায়াতের প্রধান প্রবেশদ্বার হলো যাত্রাবাড়ী। সেখানে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের প্রতিবাদে ইতিমধ্যে কয়েকবার জনবিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের বিকার নেই।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সভায় বিষয়টি আলোচিত হওয়ায় মনে হয় অন্ধকারে এক চিলতে আলো পড়েছে। বিকল্প সড়ক-সেতু নির্মাণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অবিলম্বে বিদ্যমান রাস্তার গর্তগুলো ইট-পাথর দিয়ে ভরাটের ব্যবস্থা করলে মানুষ স্বস্তি পাবে।
No comments