বিজ্ঞাপন বানে ভাসছে ভোটার! by মাহমুদ মেনন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবারের মতো বিজ্ঞাপনের তোড়ে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনা আর কখনোই ঘটেনি। নির্বাচন ৬ নভেম্বর। এরই মধ্যে বিলিয়ন ডলার খরচ হয়ে গেছে বিজ্ঞাপনী প্রচারণায়।
বিজ্ঞাপনের এই আধিক্য এখন ভোটারদের কাছে ‘বিজ্ঞাপনী হামলা’ বলে বিবেচিত হতে শুরু করেছে।
প্রচারণার প্রধান মাধ্যম হিসেবে টেলিভিশনকেই বেছে নিয়েছেন দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বারাক ওবামা ও মিট রমনি। কিছু কিছু স্বাধীন সংগঠনও যে যার পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু সংগঠন রয়েছে যারা স্রেফ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। খরচের বহর দেখে মনে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটিই হতে যাচ্ছে সবচেয়ে দামি নির্বাচন।
বিজ্ঞাপনগুলোতে আবার দেখা গেছে, নেতিবাচক প্রচারই বেশি। ‘আমাকে ভোট দাও’ না বলে বলা হচ্ছে ‘ওকে ভোট দিও না’। ‘আমি জনগণের জন্য কাজ করবো’ না বলে বলা হচ্ছে ‘অপরপক্ষ জনগণের উন্নতি চায় না’।
নিউইয়র্ক থেকে পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গ যাওয়ার পথে এমন অনেকগুলো বিশাল বিলবোর্ড চোখে পড়লো যাতে লেখা রয়েছে- ‘ভোটারস চয়েস- ভোট নো ফর ওবামা’! এমনই নেতিবাচক বিজ্ঞাপন যেনো জলোচ্ছ্বাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। আমেরিকার ইতিহাসে এটাও বিরল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এসব নেতিবাচক বিজ্ঞাপন কি ওবামা কিংবা রমনিকে সহায়তা করবে নাকি হবে হীতে বিপরীত- পিটসবার্গে সামাজিক উন্নয়ন সংগঠন কিংসলি অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী মালিক জি ব্যাংকস্টোনের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনাকালে বিষয়টির কঠোর সমালোচনা করলেন তিনি। বললেন, নেতিবাচক প্রচারণা স্রেফ সস্তা জনপ্রিয়তার জন্যই। এতে হয়তো ভোট টানা যায়, কিন্তু নিজের ক্ষতিটিই বেশি হয়। মন-মানসিকতায় আমেরিকাকে ছোট করে তোলা হয়।
বিষয়টিতে সাধারণ আমেরিকানরাও যে খুব একটা খুশি নন, তা বোঝা যায় বিভিন্ন জরিপে। সেখানে অনেকেই বলছেন, ‘‘বিজ্ঞাপনের এই তোড়ে আমরা বিরক্ত। স্রেফ অসুস্থ হয়ে পড়েছি।’’
তবে প্রার্থীরা ও তাদের পরামর্শদাতা কিংবা সহযোগীরা ভাবছেন এসব বিজ্ঞাপন খুবই কার্যকর। কারণ, এগুলো দিয়েই ভোটারদের মন জয় করা সম্ভব।
২৩ অক্টোবর পর্যন্ত একটি হিসেবে দেখা গেছে, ওবামার বিজ্ঞাপনী ব্যয় ৩০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। সে পর্যন্ত রমনির খরচের বহর ছিলো ৩৬৬ মিলিয়ন ডলার। সরকারি ওয়াচডগ গ্রুপ সানলাইট ফাউন্ডেশন এই হিসেব দিচ্ছিলো।
নিরপেক্ষ কিছু সংগঠন নির্বাচনে ব্যয় করার জন্য ২০০৯ সাল থেকেই তাদের তহবিল গঠন শুরু করেছিলো। এসব সংগঠন ৫৪৩ মিলিয়ন ডলার তুলেছিলো, যার ৪২৩ মিলিয়ন ডলার এরই মধ্যে খরচ হয়ে গেছে। তারা বেশিরভাগই খরচ করেছে টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে।
এদিকে, অ্যাডভার্টাইজিং স্পেশ্যালিটি ইনস্টিটিউট নামের একটি প্রতিষ্ঠান ঘোষণা দিয়েছে চলতি সপ্তাহে নির্বাচনী প্রমোশনাল প্রডাক্ট বিক্রি আরও ৪.৬ শতাংশ বেড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের প্রমোশনাল প্রডাক্ট বিক্রেতাদের মধ্যে অর্ধেকই এখন নির্বাচনী প্রডাক্ট তৈরি ও বিক্রি করছে। যার মধ্যে রয়েছে বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, ফ্লায়ার, পিন, বোতাম, টি-শার্ট।
এএসআই একটি হিসেবে দেখিয়েছে, এবারের নির্বাচনে বিজ্ঞাপন কাজে সব মিলিয়ে ৮৭০ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে।
নির্বাচনী বিজ্ঞাপন ব্যয়ের ভাগ-বাটোয়ারাও যে খুব সমান হচ্ছে, তাও নয়। যেসব স্টেটে জয় অনিবার্য সেখানে ব্যয় যৎসামান্য। আর যেখনে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি সেখানে বস্তায় বস্তায় ডলার ঢালা হচ্ছে। দুই পক্ষই একই কাজ করছে। মূল খরচগুলো হচ্ছে ওহাইয়ো, ফ্লোরিডা, ভার্জিনিয়া, আইওয়া, কোলারাডো, নেভাডা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নিউ মেক্সিকো ও নর্থ ক্যারোলিনা স্টেটে।
আবার সব টেলিভিশনই যে খুব একটা বিজ্ঞাপন পাচ্ছে তা নয়। ওয়েসলিয়ন মিডিয়া প্রজেক্টের কাজ হচ্ছে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের গতি প্রকৃতির ওপর নজর রাখা। তাদের একটি তথ্যে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞাপন যাচ্ছে ডেনভার টিভিতে। নির্বাচনী বিজ্ঞাপনের তোড়ে খবর বা বিনোদনই যেনো হারিয়ে গেছে এই টেলিভিশন চ্যানেলটিতে।
ওয়েসলিয়নের হিসেবে দেখা গেছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টেলিভিশনটিতে ওবামা ও রমনির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৭০০ বার। এর মধ্যে ওবামার পক্ষের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়েছে ১ হাজার ৮১২ বার। কেবল ডেনভারের দর্শকদের জন্যই এই বিজ্ঞাপন।
‘‘বিজ্ঞাপনগুলো ভীষণ বিরক্তিকর। যেনো সারাদিন ধরে পুরোনো গাড়ির বিজ্ঞাপন দেখছি’’- এ কথা বলেছেন কলারডোর একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।
আর পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষক কেন্ট একে অভিহিত করেছেন ‘ধণাঢ্যের ক্রেজি স্পোর্টস’ বলে।
এমন বেহিসেবি বিজ্ঞাপন নিয়ে ২০০৮ সালেও কথা উঠেছিলো। ইউএস কংগ্রেস রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের ওপর নিয়ন্ত্রণ কিংবা নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে কি না তা নিয়ে একটি মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। সিটিজেন ইউনাইটেড বনাম ফেডারেল ইলেকশন কমিশনের সে মামলায় বিচারকরা ৫-৪ ভোটে বিভক্ত হন। পরে রাজনৈতিক দলগুলো কি পরিমাণ অর্থ তুলতে এবং খরচ করতে পারবে তার ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব বাতিল করে দেন আদালত। উপরন্তু যেসব কর্পোরেশন রিপাবলিকানদের এবং যেগুলো ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন করে তারা ইচ্ছেমতো তহবিল তুলে তা খরচ করতে পারবে সেই নির্দেশনাই দেওয়া হয়।
আর এই সুযোগে বিজ্ঞাপন চলছে, চলবে। যার মধ্যে নেতিবাচক বিজ্ঞাপনই বেশি। প্রতিপক্ষের ওপর রং চড়ানো নেতিবাচক বক্তব্য দিয়ে নিজেকে উপস্থাপনের এই ধারায় ভোটাররা হতাশা ব্যক্ত করতে পারেন, চটে যেতে পারেন, অভিযোগ করতে পারেন, সমালোচনায় মুখর হতে পারেন কিন্তু এই বিজ্ঞাপনি হামলা থেকে তাদের মুক্তি নেই। অন্তত ৬ নভেম্বরের নির্বাচনী দিন পর্যন্ত তাদের এগুলো সহ্য করে যেতে হবে। তবে একটি কাজ তারা অবশ্যই করতে পারবেন তা হচ্ছে- টেলিভিশন বন্ধ করে চুপচাপ বসে থাকা।
বিজ্ঞাপনগুলোতে আবার দেখা গেছে, নেতিবাচক প্রচারই বেশি। ‘আমাকে ভোট দাও’ না বলে বলা হচ্ছে ‘ওকে ভোট দিও না’। ‘আমি জনগণের জন্য কাজ করবো’ না বলে বলা হচ্ছে ‘অপরপক্ষ জনগণের উন্নতি চায় না’।
নিউইয়র্ক থেকে পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গ যাওয়ার পথে এমন অনেকগুলো বিশাল বিলবোর্ড চোখে পড়লো যাতে লেখা রয়েছে- ‘ভোটারস চয়েস- ভোট নো ফর ওবামা’! এমনই নেতিবাচক বিজ্ঞাপন যেনো জলোচ্ছ্বাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। আমেরিকার ইতিহাসে এটাও বিরল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এসব নেতিবাচক বিজ্ঞাপন কি ওবামা কিংবা রমনিকে সহায়তা করবে নাকি হবে হীতে বিপরীত- পিটসবার্গে সামাজিক উন্নয়ন সংগঠন কিংসলি অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী মালিক জি ব্যাংকস্টোনের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনাকালে বিষয়টির কঠোর সমালোচনা করলেন তিনি। বললেন, নেতিবাচক প্রচারণা স্রেফ সস্তা জনপ্রিয়তার জন্যই। এতে হয়তো ভোট টানা যায়, কিন্তু নিজের ক্ষতিটিই বেশি হয়। মন-মানসিকতায় আমেরিকাকে ছোট করে তোলা হয়।
বিষয়টিতে সাধারণ আমেরিকানরাও যে খুব একটা খুশি নন, তা বোঝা যায় বিভিন্ন জরিপে। সেখানে অনেকেই বলছেন, ‘‘বিজ্ঞাপনের এই তোড়ে আমরা বিরক্ত। স্রেফ অসুস্থ হয়ে পড়েছি।’’
তবে প্রার্থীরা ও তাদের পরামর্শদাতা কিংবা সহযোগীরা ভাবছেন এসব বিজ্ঞাপন খুবই কার্যকর। কারণ, এগুলো দিয়েই ভোটারদের মন জয় করা সম্ভব।
২৩ অক্টোবর পর্যন্ত একটি হিসেবে দেখা গেছে, ওবামার বিজ্ঞাপনী ব্যয় ৩০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। সে পর্যন্ত রমনির খরচের বহর ছিলো ৩৬৬ মিলিয়ন ডলার। সরকারি ওয়াচডগ গ্রুপ সানলাইট ফাউন্ডেশন এই হিসেব দিচ্ছিলো।
নিরপেক্ষ কিছু সংগঠন নির্বাচনে ব্যয় করার জন্য ২০০৯ সাল থেকেই তাদের তহবিল গঠন শুরু করেছিলো। এসব সংগঠন ৫৪৩ মিলিয়ন ডলার তুলেছিলো, যার ৪২৩ মিলিয়ন ডলার এরই মধ্যে খরচ হয়ে গেছে। তারা বেশিরভাগই খরচ করেছে টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে।
এদিকে, অ্যাডভার্টাইজিং স্পেশ্যালিটি ইনস্টিটিউট নামের একটি প্রতিষ্ঠান ঘোষণা দিয়েছে চলতি সপ্তাহে নির্বাচনী প্রমোশনাল প্রডাক্ট বিক্রি আরও ৪.৬ শতাংশ বেড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের প্রমোশনাল প্রডাক্ট বিক্রেতাদের মধ্যে অর্ধেকই এখন নির্বাচনী প্রডাক্ট তৈরি ও বিক্রি করছে। যার মধ্যে রয়েছে বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, ফ্লায়ার, পিন, বোতাম, টি-শার্ট।
এএসআই একটি হিসেবে দেখিয়েছে, এবারের নির্বাচনে বিজ্ঞাপন কাজে সব মিলিয়ে ৮৭০ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে।
নির্বাচনী বিজ্ঞাপন ব্যয়ের ভাগ-বাটোয়ারাও যে খুব সমান হচ্ছে, তাও নয়। যেসব স্টেটে জয় অনিবার্য সেখানে ব্যয় যৎসামান্য। আর যেখনে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি সেখানে বস্তায় বস্তায় ডলার ঢালা হচ্ছে। দুই পক্ষই একই কাজ করছে। মূল খরচগুলো হচ্ছে ওহাইয়ো, ফ্লোরিডা, ভার্জিনিয়া, আইওয়া, কোলারাডো, নেভাডা, নিউ হ্যাম্পশায়ার, নিউ মেক্সিকো ও নর্থ ক্যারোলিনা স্টেটে।
আবার সব টেলিভিশনই যে খুব একটা বিজ্ঞাপন পাচ্ছে তা নয়। ওয়েসলিয়ন মিডিয়া প্রজেক্টের কাজ হচ্ছে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের গতি প্রকৃতির ওপর নজর রাখা। তাদের একটি তথ্যে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞাপন যাচ্ছে ডেনভার টিভিতে। নির্বাচনী বিজ্ঞাপনের তোড়ে খবর বা বিনোদনই যেনো হারিয়ে গেছে এই টেলিভিশন চ্যানেলটিতে।
ওয়েসলিয়নের হিসেবে দেখা গেছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টেলিভিশনটিতে ওবামা ও রমনির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৭০০ বার। এর মধ্যে ওবামার পক্ষের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়েছে ১ হাজার ৮১২ বার। কেবল ডেনভারের দর্শকদের জন্যই এই বিজ্ঞাপন।
‘‘বিজ্ঞাপনগুলো ভীষণ বিরক্তিকর। যেনো সারাদিন ধরে পুরোনো গাড়ির বিজ্ঞাপন দেখছি’’- এ কথা বলেছেন কলারডোর একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।
আর পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষক কেন্ট একে অভিহিত করেছেন ‘ধণাঢ্যের ক্রেজি স্পোর্টস’ বলে।
এমন বেহিসেবি বিজ্ঞাপন নিয়ে ২০০৮ সালেও কথা উঠেছিলো। ইউএস কংগ্রেস রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের ওপর নিয়ন্ত্রণ কিংবা নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে কি না তা নিয়ে একটি মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। সিটিজেন ইউনাইটেড বনাম ফেডারেল ইলেকশন কমিশনের সে মামলায় বিচারকরা ৫-৪ ভোটে বিভক্ত হন। পরে রাজনৈতিক দলগুলো কি পরিমাণ অর্থ তুলতে এবং খরচ করতে পারবে তার ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব বাতিল করে দেন আদালত। উপরন্তু যেসব কর্পোরেশন রিপাবলিকানদের এবং যেগুলো ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন করে তারা ইচ্ছেমতো তহবিল তুলে তা খরচ করতে পারবে সেই নির্দেশনাই দেওয়া হয়।
আর এই সুযোগে বিজ্ঞাপন চলছে, চলবে। যার মধ্যে নেতিবাচক বিজ্ঞাপনই বেশি। প্রতিপক্ষের ওপর রং চড়ানো নেতিবাচক বক্তব্য দিয়ে নিজেকে উপস্থাপনের এই ধারায় ভোটাররা হতাশা ব্যক্ত করতে পারেন, চটে যেতে পারেন, অভিযোগ করতে পারেন, সমালোচনায় মুখর হতে পারেন কিন্তু এই বিজ্ঞাপনি হামলা থেকে তাদের মুক্তি নেই। অন্তত ৬ নভেম্বরের নির্বাচনী দিন পর্যন্ত তাদের এগুলো সহ্য করে যেতে হবে। তবে একটি কাজ তারা অবশ্যই করতে পারবেন তা হচ্ছে- টেলিভিশন বন্ধ করে চুপচাপ বসে থাকা।
No comments