কান্না নিয়ে মধ্যরাতে রাজধানী ছাড়লো পশু ব্যবসায়ীরা by মফিজুল সাদিক
লোকসানের বোঝা ও কোরবানির অবিক্রিত পশুর বোঝায় ট্রাক নিয়ে মধ্যরাতে ঢাকা ছাড়লো ব্যাপারিরা। এবার তাদের সঙ্গি হলো শুধু কান্না আর লোকসান। রাজধানীর একমাত্র স্থায়ী পশুরহাট গাবতলীসহ উত্তর-দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০টি অধিকাংশ পশুরহাটে একই চিত্র দেখা গেছে।
অধিকাংশ ব্যাপারি বলছেন, এবার কোরবানিতে ক্ষতির কারণে ঈদটাও কোরবানি হয়ে গেলো।
ব্যাপারিদের অভিযোগ, সরকার এবার কথা দিয়ে কথা রাখেনি। সরকার বলেছিল এবার ভারত থেকে গরু আসবেনা অথচ ভারতের গরুতে সয়লাব হয়ে গেছে রাজধানীর পশুরহাটগুলো।
বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, গত কোরবানিতে গরুর দাম বেশি পাওয়ায় এবার কোরবানির পশুরহাটে বেশি করে গরু আমদানি করা হয়েছে।
ব্যাপারিরা ক্ষোভের সঙ্গে বলছেন, হলমার্ক, ডেসটিনি ও শেয়ারমার্কেটে টাকা লুট হবার কারণে ক্রেতার কাছে গরু কেনার টাকা নেই।
দয়াগঞ্জথেকে আসা সুমন ব্যাপারি বাংলানিউজকে বলেন, “সরকার ভারতের সীমান্ত এমন আওলাই দিছে(খুলে দিওয়া) যে আমাদের দেশি গরু ব্যাচোনের(বিক্রি) সময় পাইনি।
তিনি বলেন, “নয়াবাজারের অধিকাংশ গরু ভারতের।”
তিনি আপসোস করে বলেন, “৫০ টাকা কেজি ভূষি কিনে গরু লালন পালন করেছি। হাটে ৫০ হাজার টাকার গরুর দাম হাকাচ্ছে মাত্র ১৮ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। লোন করে গরুর ফার্ম দিয়েছি এবার আমাগোর মতো গিরোস্তের মরণ ছাড়া কোনো পথ নেই।”
তিনি বলেন, “মানুষের কাছে টাকা নেই টাকা সব হলমার্ক ডেসটিনি ও শেয়ারবাজার নিয়ে গেছে।”
শুধু নয়াবাজার নয় মধ্যরাতে অস্থায়ী পশুরহাট কমলাপুরে দেখা গেছে একই অবস্থা।রাতে পশু ট্রাকে লোড দিচ্ছে ব্যাপারিরা।
কমলাপুরে রাত একটার সময় জামালপুর থেকে আসা আবুল ব্যাপারির সঙ্গে কথা হলো। তিনি জানালেন, আমি ২০ বছর ধরে ব্যাপারি ।আমার জীবনে এমন হাটের অবস্থা খারাপ দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, “এবার ২০টি গরুর মধ্যে ৯টা গরু বিক্রি করেছি ক্ষতিতে । এছাড়া প্রতি গরুর জন্য ট্রাক ভাড়া ও খাওয়া দাওয়াসহ ২ হাজার টাকা করে খরচা হয়েছে।”
ফরিদপুর সদর থেকে আসা জাহাঙ্গীর হোসেন ব্যাপারি বাংলানিউজকে বলেন, “ভাইগো এবার আমরা নি:স্ব ভাই । আমাদের মরা ছাড়া কোনো উপায় নাই।”
তিনি বলেন, “গতবারের কারণে এবার আমরা মফস্বলে বেশি দামে গরু কিনেছি। কিন্তু গাবতলীতে ৯২ হাজার টাকা দামের গরুর দাম বলে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। তাই আমরা আর দরদাম করতে চাই না অনেক করেছি এবার বাড়ি যাবার পালা।”
তিনি জানান, মানুষের কাছে এবার টাকা কম।গরুর দামও বলে কম। ২০ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে আমার ৪ লাখ টাকা এবার ক্ষতি হয়েছে।
তবে এবার ব্যাপারিদের কপাল পুড়লেও কপাল খুলেছে ক্রেতাদের।
রাজধানীর অধিকাংশ পশুরহাটে এবার দেশি গরুর এসেছে কুস্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মেহেরপুর, বগুড়া, রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, ঝিনাইদহ, সিলেটে, মৌলভিবাজার ও ফরিদপুর থেকে।
এবার পশুরহাটে ছোট পশু, উট, দুম্বার ব্যাপারিদের কিছু টাকা লাভ হলেও বড় পশু গরু ও মহিষের অধিকাংশ ব্যাপারিদের পুড়েছে কপাল।
ব্যপারিরা লাভের আশায় রাজধানীতে কোরবানির পশু নিয়ে এসে ঈদের আনন্দ ও টাকা পয়সা সব কিছু কোরবানি করে ঘরে ফিরেলো রিক্ত হস্তে।
বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, গত কোরবানিতে গরুর দাম বেশি পাওয়ায় এবার কোরবানির পশুরহাটে বেশি করে গরু আমদানি করা হয়েছে।
ব্যাপারিরা ক্ষোভের সঙ্গে বলছেন, হলমার্ক, ডেসটিনি ও শেয়ারমার্কেটে টাকা লুট হবার কারণে ক্রেতার কাছে গরু কেনার টাকা নেই।
দয়াগঞ্জথেকে আসা সুমন ব্যাপারি বাংলানিউজকে বলেন, “সরকার ভারতের সীমান্ত এমন আওলাই দিছে(খুলে দিওয়া) যে আমাদের দেশি গরু ব্যাচোনের(বিক্রি) সময় পাইনি।
তিনি বলেন, “নয়াবাজারের অধিকাংশ গরু ভারতের।”
তিনি আপসোস করে বলেন, “৫০ টাকা কেজি ভূষি কিনে গরু লালন পালন করেছি। হাটে ৫০ হাজার টাকার গরুর দাম হাকাচ্ছে মাত্র ১৮ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। লোন করে গরুর ফার্ম দিয়েছি এবার আমাগোর মতো গিরোস্তের মরণ ছাড়া কোনো পথ নেই।”
তিনি বলেন, “মানুষের কাছে টাকা নেই টাকা সব হলমার্ক ডেসটিনি ও শেয়ারবাজার নিয়ে গেছে।”
শুধু নয়াবাজার নয় মধ্যরাতে অস্থায়ী পশুরহাট কমলাপুরে দেখা গেছে একই অবস্থা।রাতে পশু ট্রাকে লোড দিচ্ছে ব্যাপারিরা।
কমলাপুরে রাত একটার সময় জামালপুর থেকে আসা আবুল ব্যাপারির সঙ্গে কথা হলো। তিনি জানালেন, আমি ২০ বছর ধরে ব্যাপারি ।আমার জীবনে এমন হাটের অবস্থা খারাপ দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, “এবার ২০টি গরুর মধ্যে ৯টা গরু বিক্রি করেছি ক্ষতিতে । এছাড়া প্রতি গরুর জন্য ট্রাক ভাড়া ও খাওয়া দাওয়াসহ ২ হাজার টাকা করে খরচা হয়েছে।”
ফরিদপুর সদর থেকে আসা জাহাঙ্গীর হোসেন ব্যাপারি বাংলানিউজকে বলেন, “ভাইগো এবার আমরা নি:স্ব ভাই । আমাদের মরা ছাড়া কোনো উপায় নাই।”
তিনি বলেন, “গতবারের কারণে এবার আমরা মফস্বলে বেশি দামে গরু কিনেছি। কিন্তু গাবতলীতে ৯২ হাজার টাকা দামের গরুর দাম বলে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। তাই আমরা আর দরদাম করতে চাই না অনেক করেছি এবার বাড়ি যাবার পালা।”
তিনি জানান, মানুষের কাছে এবার টাকা কম।গরুর দামও বলে কম। ২০ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে আমার ৪ লাখ টাকা এবার ক্ষতি হয়েছে।
তবে এবার ব্যাপারিদের কপাল পুড়লেও কপাল খুলেছে ক্রেতাদের।
রাজধানীর অধিকাংশ পশুরহাটে এবার দেশি গরুর এসেছে কুস্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মেহেরপুর, বগুড়া, রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, ঝিনাইদহ, সিলেটে, মৌলভিবাজার ও ফরিদপুর থেকে।
এবার পশুরহাটে ছোট পশু, উট, দুম্বার ব্যাপারিদের কিছু টাকা লাভ হলেও বড় পশু গরু ও মহিষের অধিকাংশ ব্যাপারিদের পুড়েছে কপাল।
ব্যপারিরা লাভের আশায় রাজধানীতে কোরবানির পশু নিয়ে এসে ঈদের আনন্দ ও টাকা পয়সা সব কিছু কোরবানি করে ঘরে ফিরেলো রিক্ত হস্তে।
No comments