মুক্তিযোদ্ধা ইসাহকের বাঁ চোখটিও নষ্ট হতে চলেছে
দেশ স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তিনি। এই মুক্তিযোদ্ধা কৃষি-শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাচ্ছিলেন। কয়েক বছর আগে তাঁর ডান চোখটি নষ্ট হয়ে যায়। চিকিৎসা করাতে না পারলে এখন বাঁ চোখটিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে চিকিৎসকেরা আশঙ্কা করছেন।
ওই হতভাগ্য মুক্তিযোদ্ধার নাম ইসাহক আলী (৫৮)। তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বলিদাপাড়া গ্রামে বসবাস করেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, দ্রুত নষ্ট চোখটি উঠিয়ে সে স্থানে পাথর বসানো না হলে ভালো চোখটিও নষ্ট হয়ে যাবে। ওই চোখটি নষ্ট হয়ে গেলে ইসাহক আলী আর কখনো দেখতে পাবেন না। কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তিনি।
ইসাহক আলী জানান, গ্রামের বাড়িতে বসতভিটাসহ তাঁর এক বিঘা জমি ছিল। কয়েক বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসার জন্য জমি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন। এখন তিনি অন্যের জমিতে ঘর তুলে বাস করছেন। তাঁর চার সন্তানের মধ্যে দুই মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। দুই ছেলে অন্যের জমিতে কৃষিশ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তাঁরা আলাদা সংসার করছেন। তিনি এখন কোনো কাজ করতে পারেন না। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যে ভাতা পান এবং বাড়িতে বস্তা সেলাই করে তাঁর স্ত্রী যা আয় করেন, তা দিয়ে তাঁদের সংসার কোনোমতে চলে।
ইসাহক আলী আরও জানান, যুদ্ধের সময় আহত এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের সময় তাঁর ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই সময় চিকিৎসা করালে ভালোও হয়ে যায়। পাঁচ বছর আগ থেকে তিনি ওই চোখে কম দেখতে শুরু করেন। কিছুদিনের মধ্যে চোখটি নষ্ট হয়ে যায়।
এ অবস্থায় তিনি খুলনার রেভারেন্ট আবদুল ওয়াদুদ মেমোরিয়াল হাসপাতালে যান। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানিয়ে দেন, নষ্ট চোখটি দ্রুত অপসারণ করে ওই স্থানে পাথর বসাতে হবে। না হলে অপর চোখটিও নষ্ট হয়ে যাবে। এ জন্য আনুমানিক এক লাখ টাকা খরচ হবে। কিন্তু টাকার জন্য তিনি চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
ইসাহক বলেন, চিকিৎসার জন্য সহায়তা পেতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক মাস আগে আবেদন করেছেন। কিন্তু কোনো ফল পাননি।
কালীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সেকেন্দার আলী মোল্লা জানান, ইসাহক আলী খুবই দরিদ্র। টাকার অভাবে তিনি চিরদিনের মতো অন্ধ হতে চলেছেন।
ইসাহক আলী জানান, গ্রামের বাড়িতে বসতভিটাসহ তাঁর এক বিঘা জমি ছিল। কয়েক বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসার জন্য জমি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন। এখন তিনি অন্যের জমিতে ঘর তুলে বাস করছেন। তাঁর চার সন্তানের মধ্যে দুই মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। দুই ছেলে অন্যের জমিতে কৃষিশ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তাঁরা আলাদা সংসার করছেন। তিনি এখন কোনো কাজ করতে পারেন না। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যে ভাতা পান এবং বাড়িতে বস্তা সেলাই করে তাঁর স্ত্রী যা আয় করেন, তা দিয়ে তাঁদের সংসার কোনোমতে চলে।
ইসাহক আলী আরও জানান, যুদ্ধের সময় আহত এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের সময় তাঁর ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই সময় চিকিৎসা করালে ভালোও হয়ে যায়। পাঁচ বছর আগ থেকে তিনি ওই চোখে কম দেখতে শুরু করেন। কিছুদিনের মধ্যে চোখটি নষ্ট হয়ে যায়।
এ অবস্থায় তিনি খুলনার রেভারেন্ট আবদুল ওয়াদুদ মেমোরিয়াল হাসপাতালে যান। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানিয়ে দেন, নষ্ট চোখটি দ্রুত অপসারণ করে ওই স্থানে পাথর বসাতে হবে। না হলে অপর চোখটিও নষ্ট হয়ে যাবে। এ জন্য আনুমানিক এক লাখ টাকা খরচ হবে। কিন্তু টাকার জন্য তিনি চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
ইসাহক বলেন, চিকিৎসার জন্য সহায়তা পেতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক মাস আগে আবেদন করেছেন। কিন্তু কোনো ফল পাননি।
কালীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সেকেন্দার আলী মোল্লা জানান, ইসাহক আলী খুবই দরিদ্র। টাকার অভাবে তিনি চিরদিনের মতো অন্ধ হতে চলেছেন।
No comments