‘চীন দ্বীপ নিয়ে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখে’

চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, পূর্ব চীন সাগরের জলসীমা নিয়ে জাপানের সঙ্গে যে টানাপোড়েন চলছে, এ ব্যাপারে তাঁরা আরও পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রাখেন। তবে কূটনৈতিকভাবে বিষয়টির সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদী।


এদিকে চীনে জাপানবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। গতকালও হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বেইজিংয়ে অবস্থিত জাপান দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন এবং দূতাবাসে প্লাস্টিকের বোতল ছুড়ে মারেন।
জাপানের উপকূলরক্ষী সূত্রে বলা হয়, গতকাল চীনের ১১টি জাহাজ পূর্ব চীন সাগরে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি প্রবেশ করেছে। বিরোধপূর্ণ এই দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে সম্প্রতি চীন ও জাপানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ওই দ্বীপপুঞ্জ চীনে দিয়াওউ এবং জাপানে সেনকাকু নামে পরিচিত। খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ ওই দ্বীপ এলাকা তাইওয়ানও নিজেদের বলে দাবি করে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেট্টা বর্তমানে চীন সফরে রয়েছেন। প্যানেট্টার সঙ্গে গতকাল এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল লিয়াং গুয়ানলি বলেন, বিতর্কিত দ্বীপ নিয়ে তাঁদের আরও পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রয়েছে।
এই সমস্যা নিয়ে চীন সামরিক হস্তক্ষেপ চালাবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে লিয়াং বলেন, ‘প্রয়োজন হলে অবশ্যই হস্তক্ষেপ চালানো হবে। তবে আমরা এখনো আশাবাদী, শান্তিপূর্ণ ও সমঝোতার ভিত্তিতে বিষয়টির সমাধান হবে।’ তিনি বর্তমান এ পরিস্থিতির জন্য টোকিওকে দায়ী করেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে লিওন প্যানেট্টা বলেন, ‘চীন ও জাপানের বর্তমান সমস্যাটি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। আমরা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। এই উত্তেজনা যদি সহিংসতায় রূপ নেয়, তাহলে এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন হবে।’
জাপানের উপকূলরক্ষী জানায়, গতকাল চীনের ১১টি জাহাজ তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন ওই দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি প্রবেশ করেছে। দুজন জাপানি সক্রিয় কর্মী বিরোধপূর্ণ একটি দ্বীপে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর চীনের এসব জাহাজ সেখানে প্রবেশ করে। উপকূলরক্ষীর এক মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, কোনো জাহাজই ওই দ্বীপের জলসীমায় প্রবেশ করেনি। এএফপি ও বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.