হিলারির সঙ্গে বৈঠক করেছেন অং সান সু চি

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি ঐতিহাসিক সফরে যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছেছেন। গতকাল মঙ্গলবার তিনি ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে বৈঠক করেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে বৈঠকের শুরুতে সু চিকে স্বাগত জানিয়ে হিলারি বলেন, ‘আপনি সত্যি আসতে পেরেছেন, এটি সত্যিই সীমাহীন উৎসাহ ও উদ্দীপনার বিষয়।’


হিলারি-সু চির বৈঠকের বিস্তারিত তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমারে চলমান সংস্কার ও মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। গত ডিসেম্বরে মিয়ানমার সফরে যান হিলারি। তখন সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি।
শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি ১৮ দিনের সফরে গত সোমবার ওয়াশিংটন পৌঁছান। ওই দিনই পাঁচ শতাধিক বন্দীকে মুক্তি দেয় মিয়ানমার সরকার। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের মধ্যে ২৪ জন বৌদ্ধভিক্ষুসহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক বন্দী রয়েছেন। আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন। ধারণা করা হচ্ছে, সংস্কারের পথে তাঁর দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংকেত পাঠানোর উদ্দেশ্যেই বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
সু চিকে ১৯৮৯ সালে গৃহবন্দী করে তৎকালীন জান্তা সরকার। পরের বছর নির্বাচনে সু চির দল এনএলডি নিরঙ্কুশ জয় লাভ করে। কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি জান্তা। বরং সু চিসহ তাঁর দলের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে কারাবন্দী করে রাখে। সু চিকেও প্রায় ২০ বছর কখনো কারাগারে, কখনো গৃহবন্দী করে রাখা হয়। গত ২০১০ সালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর পার্লামেন্টের উপনির্বাচনে জয়লাভ করেন তিনি।
সফরকালে অন্তত ১০০টি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন সু চি। এর মধ্যে আজ বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল’ গ্রহণ করার কথা। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.