রাজধানীর রেলক্রসিংয়ে ওভারব্রিজ নির্মাণ অনিশ্চিত- কোন না কোন সংস্থার আপত্তিতে সওজ মাত্র একটি প্রকল্প প্রসত্মাব দিয়েছে মন্ত্রণালয়ে by রশীদ মামুন
দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং যানজট নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর রেলক্রসিংগুলোতে ওভারব্রিজ নির্মাণ কাজ অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে। গত বছর জুনে মগবাজারে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর ওভারব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি বিশেষভাবে আলোচনায় উঠে আসে। একই বছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যনত্ম পাঁচ মাসে চার বার প্রকল্পের প্রসত্মাব তৈরি করা হয়েছে।
প্রত্যেকবারই কোন না কোন সংস্থার আপত্তির কারণে থমকে গেছে ওভারব্রিজ নির্মাণ কাজ। শুরম্নতে সড়ক এবং জনপথ অধিদফতর রাজধানীর সাতটি স্থানে ওভারব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রকল্প তৈরি করলেও প্রতিষ্ঠানটি গত বৃহস্পতিবার মাত্র একটি রেলক্রসিংয়ে (জুরাইন) ওভারব্রিজ নির্মাণের জন্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প প্রসত্মাব (ডিপিপি) জমা দিয়েছে। তবে এ প্রকল্পটিও শেষ পর্যনত্ম টিকে থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। সঙ্গত কারণেই মনে করা হচ্ছে, রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা আর যানজটের ঝক্কি থেকে রাজধানীবাসীর আপাতত মুক্তি মিলছে না।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক উর্ধতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে রাজধানীতে ওভারব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়। গত বছর দুর্ঘটনার পর মন্ত্রণালয় থেকে রেলক্রসিংয়ে ওভারব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সওজকে বাসত্মবায়ন করার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু ওভারব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি স্ট্রাটেজি ফর ট্রান্সপোর্ট পস্নানের (এসটিপি) সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় শেষ পর্যনত্ম কোন স্থানেই ওভারব্রিজ নির্মাণের সম্ভাবনা আপাতত নেই।
সড়ক এবং জনপথ অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, রেলক্রসিংগুলোতে ওভারব্রিজ নির্মাণের জন্য ডিটিসিবি, ডিসিসি এবং রেলের কাছ থেকে মাত্র একটি প্রকল্পের (জুরাইন) জন্য অনাপত্তিপত্র পাওয়া গেছে।
সড়ক এবং জনপথ অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আফিল উদ্দিন জানান, প্রকল্পটি ক্রয়সংক্রানত্ম মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাস হলে ৪৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক এবং জনপথ অধিদফতর জুরাইনে ওভারব্রিজ নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করবে। স্থানীয়ভাবে প্রকল্পের ব্যয় নির্বাহ করা হবে বলে জানান তিনি।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ২০ এপ্রিল অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে (রেল) প্রধান করে রাজধানীর কোন্ কোন্ রেলক্রসিংয়ে ওভারব্রিজ নির্মাণ করা যায় এবং সম্ভাব্য ব্যয় কত হবে, তা নির্ধারণের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ৩০টি স্থান পর্যবেৰণ করে একই বছর ২৯ আগস্ট কমিটি রিপোর্ট প্রদান করে। রিপোর্টে বনানী, প্রগতি সরণি, মালিবাগ, এফডিসি ও মগবাজার_ এই পাঁচটি রেলক্রসিংয়ে ওভারব্রিজ নির্মাণের জন্য সুপারিশ করা হয়। তবে সেই সুপারিশ বাসত্মবায়নের জন্য পরবর্তীতে আর কোন পদৰেপ নেয়া হয়নি।
গত বছর জুনে মগবাজার রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পর যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন দু'মাসের মধ্যে রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে বলে জানান। যোগাযোগমন্ত্রী সে সময় সড়ক এবং জনপথ অধিদফতরকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দেন। সড়ক এবং জনপথ বিভাগ ২০০৬ সালের সার্ভের সঙ্গে জুরাইন এবং সায়দাবাদ সংযুক্ত করে মোট ৭ টি রেলক্রসিংয়ে ওভারব্রিজ নির্মাণ করা যেতে পারে বলে মন্ত্রণালয়কে জানায়। এ বিষয়ে গত বছর ১৪ জুলাই যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে রাজউক জানায়, প্রগতি সরণিতে তারা একটি ওভারব্রিজ নির্মাণ করবে। রাজউকের কাছ থেকে ওভারব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রম্নতি পাওয়ার পর অন্য ৬টি স্থানে ওভারব্রিজ নির্মাণের জন্য সওজকে নির্দেশ দেয়া হয়। সওজ পরবর্তীতে ২৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬টি প্রকল্প বাসত্মবায়নের প্রসত্মাব দেয়। প্রসত্মাবটি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর পস্নানিং কমিশনে পাঠালে ডিটিসিবি জানায়, মগবাজারে জাইকা নিজস্ব অর্থায়নে ওভারব্রিজ নির্মাণ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। এ ছাড়া সেনানিবাসের মধ্য দিয়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হলে বনানী রেলক্রসিংকে এর সঙ্গে যোগ করা হবে, তাই এ দু'টি স্থানে সওজের ওভারব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজন নেই। সেনানিবাসের মধ্য দিয়ে যে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে সে প্রকল্পটি সেনাবাহিনী বাসত্মবায়ন করবে বলে জানা গেছে। পস্নানিং কমিশন ৬ থেকে দু'টি বাদ দিয়ে ৪ প্রকল্পের জন্য পুনরায় প্রসত্মাব জমা দিতে বলে। সওজ পরবর্তীতে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্প জমা দেয়।
এই চারটি প্রকল্প নিয়ে পুনরায় বৈঠক হলে ডিটিসিবি জানায়, বর্তমান পিপিপির আদলে গঠিত বিং অপারেট এ্যান্ড ট্রান্সফারের(বিওটিটি) আওতায় বেলহাসা নামের একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে ইতোপূর্বে সায়েদাবাদে ওভারব্রিজ নির্মাণের কাজ দেয়া হয়। কিনত্ম পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রকল্পটি বাতিল করা হয়। বর্তমান সরকার প্রকল্পটি পুনরায় যাচাই-বাছাই করার সিদ্ধানত্ম নিয়েছে। এ ছাড়া মালিবাগে ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হলে বিশ্বরোড থেকে আসা গাড়িগুলো সায়েদাবাদ যেতে পারবে না। এ কারণে মালিবাগে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ এবং এফডিসির রাসত্মায় ভবিষ্যতে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হলে ওভারব্রিজের সঙ্গে তা সাংঘর্ষিক হবে। এ কারণে সওজ-এর প্রকল্প থেকে ওই তিনটি প্রকল্প বাদ দিতে বলা হয়েছে। শেষ পর্যনত্ম সওজ চারটি থেকে তিনটি প্রকল্প বাদ দিয়ে জুরাইনে মাত্র একটি প্রকল্পের জন্য মন্ত্রণালয়ে ডিপিপি জমা দিয়েছে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রাজউক, জাইকা এবং সেনাবাহিনী যে তিনটি প্রকল্প বাসত্মবায়ন করবে তার কাজ খুব শীঘ্রই শুরম্ন হচ্ছে না। এখন এসব প্রকল্পের নকশা প্রণয়ন- অনুমোদন; কোন কিছুই হয়নি। এফডিসি এবং মালিবাগে যে ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে তা কবে নাগাদ বাসত্মবায়ন শুরম্ন হবে সে বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়নি।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক উর্ধতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে রাজধানীতে ওভারব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়। গত বছর দুর্ঘটনার পর মন্ত্রণালয় থেকে রেলক্রসিংয়ে ওভারব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সওজকে বাসত্মবায়ন করার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু ওভারব্রিজ নির্মাণের বিষয়টি স্ট্রাটেজি ফর ট্রান্সপোর্ট পস্নানের (এসটিপি) সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় শেষ পর্যনত্ম কোন স্থানেই ওভারব্রিজ নির্মাণের সম্ভাবনা আপাতত নেই।
সড়ক এবং জনপথ অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, রেলক্রসিংগুলোতে ওভারব্রিজ নির্মাণের জন্য ডিটিসিবি, ডিসিসি এবং রেলের কাছ থেকে মাত্র একটি প্রকল্পের (জুরাইন) জন্য অনাপত্তিপত্র পাওয়া গেছে।
সড়ক এবং জনপথ অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আফিল উদ্দিন জানান, প্রকল্পটি ক্রয়সংক্রানত্ম মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাস হলে ৪৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক এবং জনপথ অধিদফতর জুরাইনে ওভারব্রিজ নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করবে। স্থানীয়ভাবে প্রকল্পের ব্যয় নির্বাহ করা হবে বলে জানান তিনি।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ২০ এপ্রিল অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে (রেল) প্রধান করে রাজধানীর কোন্ কোন্ রেলক্রসিংয়ে ওভারব্রিজ নির্মাণ করা যায় এবং সম্ভাব্য ব্যয় কত হবে, তা নির্ধারণের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ৩০টি স্থান পর্যবেৰণ করে একই বছর ২৯ আগস্ট কমিটি রিপোর্ট প্রদান করে। রিপোর্টে বনানী, প্রগতি সরণি, মালিবাগ, এফডিসি ও মগবাজার_ এই পাঁচটি রেলক্রসিংয়ে ওভারব্রিজ নির্মাণের জন্য সুপারিশ করা হয়। তবে সেই সুপারিশ বাসত্মবায়নের জন্য পরবর্তীতে আর কোন পদৰেপ নেয়া হয়নি।
গত বছর জুনে মগবাজার রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পর যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন দু'মাসের মধ্যে রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে বলে জানান। যোগাযোগমন্ত্রী সে সময় সড়ক এবং জনপথ অধিদফতরকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দেন। সড়ক এবং জনপথ বিভাগ ২০০৬ সালের সার্ভের সঙ্গে জুরাইন এবং সায়দাবাদ সংযুক্ত করে মোট ৭ টি রেলক্রসিংয়ে ওভারব্রিজ নির্মাণ করা যেতে পারে বলে মন্ত্রণালয়কে জানায়। এ বিষয়ে গত বছর ১৪ জুলাই যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে রাজউক জানায়, প্রগতি সরণিতে তারা একটি ওভারব্রিজ নির্মাণ করবে। রাজউকের কাছ থেকে ওভারব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রম্নতি পাওয়ার পর অন্য ৬টি স্থানে ওভারব্রিজ নির্মাণের জন্য সওজকে নির্দেশ দেয়া হয়। সওজ পরবর্তীতে ২৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬টি প্রকল্প বাসত্মবায়নের প্রসত্মাব দেয়। প্রসত্মাবটি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর পস্নানিং কমিশনে পাঠালে ডিটিসিবি জানায়, মগবাজারে জাইকা নিজস্ব অর্থায়নে ওভারব্রিজ নির্মাণ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। এ ছাড়া সেনানিবাসের মধ্য দিয়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হলে বনানী রেলক্রসিংকে এর সঙ্গে যোগ করা হবে, তাই এ দু'টি স্থানে সওজের ওভারব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজন নেই। সেনানিবাসের মধ্য দিয়ে যে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে সে প্রকল্পটি সেনাবাহিনী বাসত্মবায়ন করবে বলে জানা গেছে। পস্নানিং কমিশন ৬ থেকে দু'টি বাদ দিয়ে ৪ প্রকল্পের জন্য পুনরায় প্রসত্মাব জমা দিতে বলে। সওজ পরবর্তীতে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্প জমা দেয়।
এই চারটি প্রকল্প নিয়ে পুনরায় বৈঠক হলে ডিটিসিবি জানায়, বর্তমান পিপিপির আদলে গঠিত বিং অপারেট এ্যান্ড ট্রান্সফারের(বিওটিটি) আওতায় বেলহাসা নামের একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে ইতোপূর্বে সায়েদাবাদে ওভারব্রিজ নির্মাণের কাজ দেয়া হয়। কিনত্ম পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রকল্পটি বাতিল করা হয়। বর্তমান সরকার প্রকল্পটি পুনরায় যাচাই-বাছাই করার সিদ্ধানত্ম নিয়েছে। এ ছাড়া মালিবাগে ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হলে বিশ্বরোড থেকে আসা গাড়িগুলো সায়েদাবাদ যেতে পারবে না। এ কারণে মালিবাগে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ এবং এফডিসির রাসত্মায় ভবিষ্যতে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হলে ওভারব্রিজের সঙ্গে তা সাংঘর্ষিক হবে। এ কারণে সওজ-এর প্রকল্প থেকে ওই তিনটি প্রকল্প বাদ দিতে বলা হয়েছে। শেষ পর্যনত্ম সওজ চারটি থেকে তিনটি প্রকল্প বাদ দিয়ে জুরাইনে মাত্র একটি প্রকল্পের জন্য মন্ত্রণালয়ে ডিপিপি জমা দিয়েছে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রাজউক, জাইকা এবং সেনাবাহিনী যে তিনটি প্রকল্প বাসত্মবায়ন করবে তার কাজ খুব শীঘ্রই শুরম্ন হচ্ছে না। এখন এসব প্রকল্পের নকশা প্রণয়ন- অনুমোদন; কোন কিছুই হয়নি। এফডিসি এবং মালিবাগে যে ফ্লাইওভার নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে তা কবে নাগাদ বাসত্মবায়ন শুরম্ন হবে সে বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়নি।
No comments