মায়ের পরিণতি হতে দেব না কেটেরঃ উইলিয়াম
ভাই নয়, মায়ের কথাই মনে পড়ছে রাজকুমার উইলিয়ামের। উইলিয়ামের স্ত্রী কেট মিডলটনের কিছু ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ছেপে হইহই বাধিয়ে দিয়েছে একটি ফরাসি পত্রিকা। বৃটিশ রাজপরিবারের তরফে ইতিমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
কিন্তু সেই রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেই আরও বড় আকারে ওই ‘বিতর্কিত’ চিত্রপঞ্জী ছাপার জন্য এগোতে চাইছে একটি ইতালীয় পত্রিকা। বাকিংহামের উদ্বেগ বাড়িয়ে আয়ারল্যান্ডের একটি ট্যাবলয়েড ইতিমধ্যেই আজ ছবিগুলো ছেপেছে। ঘটনার গতিপ্রকৃতি দেখে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ উইলিয়াম। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেছেন, “আমার মায়ের সঙ্গে যা হয়েছে, কেটের জীবনে কিছুতেই তা ঘটতে দেব না।”
অর্থাৎ রাজকুমার হ্যারি নয়, প্রয়াত যুবরানি ডায়ানার সঙ্গেই কেটের মিল খুঁজে পাচ্ছে রাজপরিবার।
ক’দিন আগে লাস ভেগাসের এক হোটেলে এক দল যুবতীর সঙ্গে স্ট্রিপ বিলিয়ার্ড খেলায় মেতেছিলেন উইলিয়ামের ভাই হ্যারি। মোবাইল ক্লিপ মারফত সেই নগ্ন ছবি ফাঁস হয়ে যায় ইন্টারনেটে। অস্বস্তিতে পড়ে বাকিংহাম। এ বার কেটের ‘টপলেস’ ছবি ফরাসি পত্রিকায় বেরিয়ে যাওয়ার পর সেই অস্বস্তি আরও বেড়েছে। লোকমুখে শুরু হয়েছে গুঞ্জন, দেওরের পদাঙ্কই কি অনুসরণ করছেন ভাবী?
কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হলো, রাজপরিবার দু’টো ঘটনাকে এক চোখে দেখছে না। হোটেলে অজানা যুবতীদের সঙ্গে বেপরোয়া প্রমোদে মেতে ওঠা এবং সেই বেসামাল অবস্থার ছবি ফাঁস হয়ে যাওয়া, এক জিনিস। আর খোদ বৃটেনের রানির ভাইপো লর্ড লিনলের বিশেষ ফরাসি শ্যাতিউয়ের (প্রাসাদ) ছাদে স্বামীর সঙ্গে ব্যক্তিগত মুহূর্ত কাটানোর ছবি পাপারাৎজির ক্যামেরায় ধরা পড়া, অন্য জিনিস। অন্তত এমনটাই মনে করছেন রাজপরিবারের লোকজন। এ ক্ষেত্রে ‘অস্বস্তি’ ছাপিয়ে অনেক বেশি ‘ক্রুদ্ধ’ ওরা। হ্যারির ঘটনাটা যদি হয়ে থাকে রাজপরিবারের ভাবমূর্তির কথা মনে না রেখে ‘বেখেয়ালি’ আচরণ, কেটের ঘটনাটাকে ব্যক্তিগত জীবনে ছবি-শিকারিদের ‘অবাঞ্ছিত অনুপ্রবেশ’ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। সেই সুবাদেই সামনে চলে আসছে প্রয়াত যুবরানির অনুষঙ্গ।
১৫ বছর আগে প্যারিসে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান ডায়ানা। পাপারাৎজিদের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টাতেই মরিয়া হয়ে গাড়ি ছুটিয়ে দিয়েছিলেন ডায়ানার তৎকালীন প্রেমিক, কোটিপতি ব্যবসায়ী-পুত্র ডোডি আল ফায়েদ। মারা যান তিনিও। পাপারাৎজি হানার সেই স্মৃতি জাগিয়ে তুলে ফ্রান্সেই আবার ফ্রেমবন্দি কেট।
এই মুহূর্তে উইলিয়াম-কেট দুজনেই মালয়েশিয়ায় সফর করছেন। খুশির সফর আচমকা বদলে গিয়েছে দুঃস্বপ্নে। ঘনিষ্ঠদের কাছে রাগে ফেটে পড়েছেন উইলিয়াম। বলেছেন, ‘‘মায়ের জীবনে যা ঘটেছে, কেটের সঙ্গে কিছুতেই তা হতে দেব না।” ফরাসি পত্রিকাটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানোই হয়েছে। কিন্তু তাতে কতটা কী আটকানো যাবে, সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে। কারণ, শনিবারই ইতালির একটি পত্রিকা ঘোষণা করেছে, আগামী সপ্তাহের সংস্করণেই ‘বিবস্ত্র’ কেটের ছবি দিয়ে ২৬ পাতার বিশেষ প্রচ্ছদ ছাপতে চলেছে তারা। সম্পাদক আলফন্সো সিগনোরিনি জানিয়েছেন, আইনের ভয় তারা পান না।
ভয়ডরের লেশমাত্র দেখা যায়নি ফরাসি পত্রিকাটির তরফেও। এই দু’টি পত্রিকা আসলে একই সংস্থার মালিকানাধীন! মালিক নিজেই ‘বিতর্কের রাজা’, ইতালির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুস্কোনি। যৌন কেচ্ছায় যার নিজেরই নাম জড়িয়েছে অসংখ্য বার। বার্লুস্কোনি নিজে সংবাদমাধ্যমের ব্যবসা দেখাশোনা করেন না। দায়িত্বে আছেন বার্লুস্কোনি-কন্যা মারিনা। এই ছবি-বিতর্কে বাবা বা মেয়ে, কেউই মুখ খোলেননি। তবে চিত্রগ্রাহক ভালেরি সুয়াউ যিনি উইলিয়ম-কেটের ছবিগুলি তুলেছেন তিনি বলেছেন, “রাস্তা থেকে দু’জনকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। ওরা পর্দা টাঙিয়ে রাখেননি কেন?” উইলিয়ামরা যে ওই বাড়িতে থাকছেন সে কথা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমই প্রকাশ করেছিল। “কাজেই পাপারাৎজির হানা যে হতে পারে, ওদের বোঝা উচিত ছিল,” বলটা উইলিয়ামের কোর্টেই ঠেলেছেন ভালেরি। তার পাশে দাঁড়িয়েছেন সম্পাদক লরেন্স পিউ। তার দাবি, এক গুচ্ছ ছবি ওদের কাছে ছিল। তার কয়েকটা মাত্র ছাপা হয়েছে। লরেন্সের কথায়, “ছবিগুলো সুন্দর। খারাপ কিছু নয়। এমন বহু ‘টপলেস’ যুবতীকে ফ্রান্সের সমুদ্রতীরে আকছার দেখা যায়।”
ঘটনা হলো, আকছার দেখা-যাওয়া যুবতীরা আর কেট মিডলটন এক নন। সেই জন্যই পাপারাৎজি তার পিছনে দৌড়েছে। আর, সেটাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজপরিবার। এমন অভিজ্ঞতা কেটের জীবনে এই প্রথম। উইলিয়াম বন্ধুদের কাছে বলেছেন, ‘‘ঠিক এই ভয়টাই পেতাম আমি। কেটকে রাজপরিবারে নিয়ে আসার ব্যাপারে এই আশঙ্কাটাই আমার বরাবর ছিল। ওর জীবনটা না ছারখার হয়ে যায়!” ভবিষ্যতে আরও কী অপেক্ষা করছে, তাই ভেবেই উদ্বিগ্ন উইলিয়ামরা।
হ্যারির বেলায় বাকিংহামের অনুরোধে নগ্ন ছবি ছাপেনি বৃটিশ সংবাদমাধ্যম (একটি ট্যাবলয়েড বাদে)। এবার আয়ারল্যান্ড সবার আগে আগল ভেঙেছে। পত্রিকার সম্পাদক বলেছেন, “উত্তর আয়াল্যান্ডের (ওই অঞ্চলটি বৃটেনের অন্তর্ভুক্ত) সংস্করণে ছবিগুলো নেই। বাকি অংশের কাছে কেট-এর সঙ্গে লেডি গাগা-র তফাৎও নেই।” সেলিবৃটিদের খোলামেলা ছবি ছাপতে অতএব আপত্তিও নেই। সূত্র: ওয়েবসাইট।
অর্থাৎ রাজকুমার হ্যারি নয়, প্রয়াত যুবরানি ডায়ানার সঙ্গেই কেটের মিল খুঁজে পাচ্ছে রাজপরিবার।
ক’দিন আগে লাস ভেগাসের এক হোটেলে এক দল যুবতীর সঙ্গে স্ট্রিপ বিলিয়ার্ড খেলায় মেতেছিলেন উইলিয়ামের ভাই হ্যারি। মোবাইল ক্লিপ মারফত সেই নগ্ন ছবি ফাঁস হয়ে যায় ইন্টারনেটে। অস্বস্তিতে পড়ে বাকিংহাম। এ বার কেটের ‘টপলেস’ ছবি ফরাসি পত্রিকায় বেরিয়ে যাওয়ার পর সেই অস্বস্তি আরও বেড়েছে। লোকমুখে শুরু হয়েছে গুঞ্জন, দেওরের পদাঙ্কই কি অনুসরণ করছেন ভাবী?
কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় হলো, রাজপরিবার দু’টো ঘটনাকে এক চোখে দেখছে না। হোটেলে অজানা যুবতীদের সঙ্গে বেপরোয়া প্রমোদে মেতে ওঠা এবং সেই বেসামাল অবস্থার ছবি ফাঁস হয়ে যাওয়া, এক জিনিস। আর খোদ বৃটেনের রানির ভাইপো লর্ড লিনলের বিশেষ ফরাসি শ্যাতিউয়ের (প্রাসাদ) ছাদে স্বামীর সঙ্গে ব্যক্তিগত মুহূর্ত কাটানোর ছবি পাপারাৎজির ক্যামেরায় ধরা পড়া, অন্য জিনিস। অন্তত এমনটাই মনে করছেন রাজপরিবারের লোকজন। এ ক্ষেত্রে ‘অস্বস্তি’ ছাপিয়ে অনেক বেশি ‘ক্রুদ্ধ’ ওরা। হ্যারির ঘটনাটা যদি হয়ে থাকে রাজপরিবারের ভাবমূর্তির কথা মনে না রেখে ‘বেখেয়ালি’ আচরণ, কেটের ঘটনাটাকে ব্যক্তিগত জীবনে ছবি-শিকারিদের ‘অবাঞ্ছিত অনুপ্রবেশ’ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। সেই সুবাদেই সামনে চলে আসছে প্রয়াত যুবরানির অনুষঙ্গ।
১৫ বছর আগে প্যারিসে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান ডায়ানা। পাপারাৎজিদের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টাতেই মরিয়া হয়ে গাড়ি ছুটিয়ে দিয়েছিলেন ডায়ানার তৎকালীন প্রেমিক, কোটিপতি ব্যবসায়ী-পুত্র ডোডি আল ফায়েদ। মারা যান তিনিও। পাপারাৎজি হানার সেই স্মৃতি জাগিয়ে তুলে ফ্রান্সেই আবার ফ্রেমবন্দি কেট।
এই মুহূর্তে উইলিয়াম-কেট দুজনেই মালয়েশিয়ায় সফর করছেন। খুশির সফর আচমকা বদলে গিয়েছে দুঃস্বপ্নে। ঘনিষ্ঠদের কাছে রাগে ফেটে পড়েছেন উইলিয়াম। বলেছেন, ‘‘মায়ের জীবনে যা ঘটেছে, কেটের সঙ্গে কিছুতেই তা হতে দেব না।” ফরাসি পত্রিকাটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানোই হয়েছে। কিন্তু তাতে কতটা কী আটকানো যাবে, সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে। কারণ, শনিবারই ইতালির একটি পত্রিকা ঘোষণা করেছে, আগামী সপ্তাহের সংস্করণেই ‘বিবস্ত্র’ কেটের ছবি দিয়ে ২৬ পাতার বিশেষ প্রচ্ছদ ছাপতে চলেছে তারা। সম্পাদক আলফন্সো সিগনোরিনি জানিয়েছেন, আইনের ভয় তারা পান না।
ভয়ডরের লেশমাত্র দেখা যায়নি ফরাসি পত্রিকাটির তরফেও। এই দু’টি পত্রিকা আসলে একই সংস্থার মালিকানাধীন! মালিক নিজেই ‘বিতর্কের রাজা’, ইতালির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুস্কোনি। যৌন কেচ্ছায় যার নিজেরই নাম জড়িয়েছে অসংখ্য বার। বার্লুস্কোনি নিজে সংবাদমাধ্যমের ব্যবসা দেখাশোনা করেন না। দায়িত্বে আছেন বার্লুস্কোনি-কন্যা মারিনা। এই ছবি-বিতর্কে বাবা বা মেয়ে, কেউই মুখ খোলেননি। তবে চিত্রগ্রাহক ভালেরি সুয়াউ যিনি উইলিয়ম-কেটের ছবিগুলি তুলেছেন তিনি বলেছেন, “রাস্তা থেকে দু’জনকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। ওরা পর্দা টাঙিয়ে রাখেননি কেন?” উইলিয়ামরা যে ওই বাড়িতে থাকছেন সে কথা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমই প্রকাশ করেছিল। “কাজেই পাপারাৎজির হানা যে হতে পারে, ওদের বোঝা উচিত ছিল,” বলটা উইলিয়ামের কোর্টেই ঠেলেছেন ভালেরি। তার পাশে দাঁড়িয়েছেন সম্পাদক লরেন্স পিউ। তার দাবি, এক গুচ্ছ ছবি ওদের কাছে ছিল। তার কয়েকটা মাত্র ছাপা হয়েছে। লরেন্সের কথায়, “ছবিগুলো সুন্দর। খারাপ কিছু নয়। এমন বহু ‘টপলেস’ যুবতীকে ফ্রান্সের সমুদ্রতীরে আকছার দেখা যায়।”
ঘটনা হলো, আকছার দেখা-যাওয়া যুবতীরা আর কেট মিডলটন এক নন। সেই জন্যই পাপারাৎজি তার পিছনে দৌড়েছে। আর, সেটাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজপরিবার। এমন অভিজ্ঞতা কেটের জীবনে এই প্রথম। উইলিয়াম বন্ধুদের কাছে বলেছেন, ‘‘ঠিক এই ভয়টাই পেতাম আমি। কেটকে রাজপরিবারে নিয়ে আসার ব্যাপারে এই আশঙ্কাটাই আমার বরাবর ছিল। ওর জীবনটা না ছারখার হয়ে যায়!” ভবিষ্যতে আরও কী অপেক্ষা করছে, তাই ভেবেই উদ্বিগ্ন উইলিয়ামরা।
হ্যারির বেলায় বাকিংহামের অনুরোধে নগ্ন ছবি ছাপেনি বৃটিশ সংবাদমাধ্যম (একটি ট্যাবলয়েড বাদে)। এবার আয়ারল্যান্ড সবার আগে আগল ভেঙেছে। পত্রিকার সম্পাদক বলেছেন, “উত্তর আয়াল্যান্ডের (ওই অঞ্চলটি বৃটেনের অন্তর্ভুক্ত) সংস্করণে ছবিগুলো নেই। বাকি অংশের কাছে কেট-এর সঙ্গে লেডি গাগা-র তফাৎও নেই।” সেলিবৃটিদের খোলামেলা ছবি ছাপতে অতএব আপত্তিও নেই। সূত্র: ওয়েবসাইট।
No comments