নতুন প্রজাতির বানর ‘লেসুলা’
আফ্রিকার কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে নতুন প্রজাতির বানরের সন্ধান পাওয়া গেছে। পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্স নামের অনলাইন সাময়িকীর এক খবরে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এই প্রজাতির বানরকে ‘লেসুলা’ বলে ডাকে। বিজ্ঞানীরা প্রথমে কঙ্গোর অপালা শহরে একটি লেসুলা দেখতে পান।
শহরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালক খাঁচাবন্দী করে স্ত্রী-জাতীয় ওই লেসুলা পুষছিলেন।
লুকুরু ফাউন্ডেশনের জন হার্ট বলেন, ‘শহরে ওই লেসুলা দেখার ছয় মাস পরের ঘটনা। আমরা খুঁজছিলাম বটে, কিন্তু আশা করিনি যে লুমামি নদীর কিনারে একেবারে নতুন প্রজাতির একদল বানরের সন্ধান পাব। একটা-দুইটা নয়, একদল লেসুলা। বিস্ময়কর ঘটনাই বটে।’
সাময়িকীর প্রতিবেদনে বলা হয়, লেসুলার মুখের অনেকটা অংশ লোমহীন। এদের নাক বেশ লম্বা। মাথা ও মুখের পাশে উজ্জ্বল লোম রয়েছে। জিন বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলেন, বানরগুলো জুয়েনন গোষ্ঠীর।
কঙ্গোর মধ্যাঞ্চলের সাড়ে ছয় হাজার বর্গকিলোমিটারের মধ্যে লেসুলার বিচরণ। একদল আদিবাসী এই বানর শিকার করে খায়। এ জন্য হুমকির মুখে রয়েছে লেসুলার অস্তিত্ব। এদের রক্ষায় শিগগির উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংরক্ষণবাদীরা। তা না হলে কয়েক বছরের মধ্যেই এই বানরদের অতি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী বলে ঘোষণা করতে হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা।
বিজ্ঞানীরা বলেন, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের যেসব অরণ্যে এখনো তেমন অনুসন্ধান চালানো হয়নি, সেখানে বানরসহ আরও অনেক বিরল প্রজাতির প্রাণী থাকতে পারে। লেসুলা আবিষ্কারের ঘটনা এই আশাবাদই জাগিয়ে তুলছে।
জন হার্ট বলেন, ‘লেসুলা আবিষ্কারের ফলে আফ্রিকান বানরের রূপান্তর ও জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান আরও সমৃদ্ধ হয়েছে।’ বিবিসি।
No comments