সরকারি জায়গায় আ.লীগের কার্যালয় by সাইফুর রহমান
বরিশালে সরকারি সম্পত্তি দখল করে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর বন্দরে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে চলছে ওই দখলপ্রক্রিয়া।
দখল বন্ধের দাবি জানিয়ে শিকারপুর বন্দর কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ৭ সেপ্টেম্বর সরকারি সম্পত্তি দখল ও লুটপাটে নেতৃত্ব দেন উজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি জাহিদ সিকদার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব মল্লিক, শিকারপুর-উজিরপুর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাংগঠনকি সম্পাদক সুমন মৃধা, উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মী আউয়াল খান, কবির খলিফাসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী।
১১ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্দরের প্রায় ১৫ শতাংশ সম্পত্তি দখল করে উজিরপুর-শিকারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের একটি সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দখল দেখে প্রতিবেশী মোশাররফ সর্দার নামের এক ব্যক্তি নির্মাণ করছেন দোকান ও বসতবাড়ি। মোশাররফ সর্দার বলেন, ‘পুরো জায়গা সরকারি ও বন্দরের নিয়ন্ত্রণে। দশজনে নির্মাণ করছে, আমিও উঠাচ্ছি। আমি সামনে দুইটা দোকান এবং পেছনে বসতবাড়ি করছি।’
ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পক্ষে আমি কাজ করাচ্ছি। সরকারি সম্পত্তি সবাই ভোগদখল করে, আমরাও করছি। দলীয়ভাবে ৫০-৬০ জন এর সঙ্গে জড়িত।’ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন বলেন, ‘সরকারি সম্পত্তি হলেও জায়গাটি খালি থাকায় আমরা সেখানে দলীয় কার্যালয় করছি।’ স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, শিকারপুর বন্দরে প্রায় ৪০ বছর আগে নির্মাণ করা হয় মাংস বিক্রির বড় একটি টিনের ঘর। এর একটি অংশ ব্যবহার হতো গরু-ছাগলের হাট হিসেবে। মাংস বিক্রি বন্ধ হওয়ায় ঘরটির একাংশ গুদাম হিসেবে ব্যবহার করতেন এনায়েত হোসেন খান নামের এক ব্যবসায়ী। ৭ সেপ্টেম্বর গুদামঘরটি ভেঙে লুটপাট করে নিয়ে যান আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
শিকারপুর বন্দর কমিটির সভাপতি আ. মন্নান হাওলাদার বলেন, ‘বন্দরের গুদামঘর ভেঙে, সরকারি সম্পত্তি দখল করে আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। এর পাশে অন্য একজন বাড়ি নির্মাণ করছেন। আমাদের কিছু না জানিয়ে ওই নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় আমরা ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে দরখাস্ত দিয়েছি।’ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বন্দরের সরকারি সম্পত্তিতে কার্যালয় নির্মাণের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দেখার জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বন্দরে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে বন্দর কমিটি বা ইউএনওকে জানানো উচিত।’
উজিরপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সরকারি খালি জায়গায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় নির্মাণ করে। একবার তাদের সাইনবোর্ড ও ছবি নামানো হয়েছিল। পরে শুনেছি ইউএনওর কাছে দরখাস্ত দিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয় নির্মাণ করছে।’ উজিরপুরের ইউএনও সোহরাব হোসেন বলেন, ‘ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগ কার্যালয় নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। আমরা তা বন্ধ করে দিয়েছি। বন্দর কমিটির পক্ষ থেকে একটি আবেদন দেওয়া হয়েছে। সেই আবেদন অনুযায়ী তদন্ত শুরু হয়েছে। জমি সরকারি হলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
১১ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্দরের প্রায় ১৫ শতাংশ সম্পত্তি দখল করে উজিরপুর-শিকারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের একটি সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দখল দেখে প্রতিবেশী মোশাররফ সর্দার নামের এক ব্যক্তি নির্মাণ করছেন দোকান ও বসতবাড়ি। মোশাররফ সর্দার বলেন, ‘পুরো জায়গা সরকারি ও বন্দরের নিয়ন্ত্রণে। দশজনে নির্মাণ করছে, আমিও উঠাচ্ছি। আমি সামনে দুইটা দোকান এবং পেছনে বসতবাড়ি করছি।’
ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পক্ষে আমি কাজ করাচ্ছি। সরকারি সম্পত্তি সবাই ভোগদখল করে, আমরাও করছি। দলীয়ভাবে ৫০-৬০ জন এর সঙ্গে জড়িত।’ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন বলেন, ‘সরকারি সম্পত্তি হলেও জায়গাটি খালি থাকায় আমরা সেখানে দলীয় কার্যালয় করছি।’ স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, শিকারপুর বন্দরে প্রায় ৪০ বছর আগে নির্মাণ করা হয় মাংস বিক্রির বড় একটি টিনের ঘর। এর একটি অংশ ব্যবহার হতো গরু-ছাগলের হাট হিসেবে। মাংস বিক্রি বন্ধ হওয়ায় ঘরটির একাংশ গুদাম হিসেবে ব্যবহার করতেন এনায়েত হোসেন খান নামের এক ব্যবসায়ী। ৭ সেপ্টেম্বর গুদামঘরটি ভেঙে লুটপাট করে নিয়ে যান আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
শিকারপুর বন্দর কমিটির সভাপতি আ. মন্নান হাওলাদার বলেন, ‘বন্দরের গুদামঘর ভেঙে, সরকারি সম্পত্তি দখল করে আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। এর পাশে অন্য একজন বাড়ি নির্মাণ করছেন। আমাদের কিছু না জানিয়ে ওই নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় আমরা ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে দরখাস্ত দিয়েছি।’ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বন্দরের সরকারি সম্পত্তিতে কার্যালয় নির্মাণের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দেখার জন্য নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বন্দরে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে হলে বন্দর কমিটি বা ইউএনওকে জানানো উচিত।’
উজিরপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সরকারি খালি জায়গায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় নির্মাণ করে। একবার তাদের সাইনবোর্ড ও ছবি নামানো হয়েছিল। পরে শুনেছি ইউএনওর কাছে দরখাস্ত দিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয় নির্মাণ করছে।’ উজিরপুরের ইউএনও সোহরাব হোসেন বলেন, ‘ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগ কার্যালয় নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। আমরা তা বন্ধ করে দিয়েছি। বন্দর কমিটির পক্ষ থেকে একটি আবেদন দেওয়া হয়েছে। সেই আবেদন অনুযায়ী তদন্ত শুরু হয়েছে। জমি সরকারি হলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
No comments