চরাচর-বিশ্ব ওজোন দিবস by বিশ্বজিৎ পাল বাবু
ওজোন হলো তীব্র গন্ধযুক্ত হালকা নীল বর্ণের গ্যাসীয় পদার্থ। এটি একটি অস্থায়ী গ্যাস। ওজোন ভূপৃষ্ঠ থেকে ওপরের দিকে ১০ থেকে ৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় ওজোনস্তর নামে অদৃশ্য এক বেষ্টনী তৈরি করে স্ট্রটোস্ফিয়ারে অবস্থান করে। তবে ওজোন ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার উচ্চতায় সর্বাধিক মাত্রায় বিদ্যমান থাকে।
ওজোন মানবদেহের জন্য বিষাক্ত; কিন্তু স্ট্রটোস্ফিয়ারে অবস্থানের কারণে পৃথিবীর প্রকৃতির ওপর এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব লক্ষ করা যায়।
১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ওজোন দিবস বা আন্তর্জাতিক ওজোন রক্ষা দিবস। ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতিবছর এই দিনে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ওজোন স্তর রক্ষার জন্য পদার্থবিষয়ক মন্ট্রিল প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশে এই মন্ট্রিল প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয় ১৯৯০ সালে। প্রটোকল অনুযায়ী সদস্য দেশগুলোকে একে একে ওজোন ধ্বংসকারী রাসায়নিক ক্লোরোফ্লুয়োরোকার্বন, কার্বন টেট্রাক্লোরাইড, মিথাইল ক্লোরোফর্ম, মিথাইল ব্রোমাইড, হাইড্রোব্রোমোফ্লুয়োরোকার্বন, হাইড্রোফ্লুয়োরোকার্বন ইত্যাদির উৎপাদন ও ব্যবহার সীমিত এবং নিষিদ্ধ করতে সম্মত হয়। গৃহস্থালি পণ্য যেমন- ফ্রিজ, এয়ারকুলার ও বিভিন্ন ধরনের স্প্রে, যা শিল্প-কারখানায়ও প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়, এই সিএফসি গ্যাস ওজোনস্তর ক্ষয়ের অন্যতম কারণ। ২০৪০ সাল নাগাদ প্রটোকল অন্তর্ভুক্ত সব গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ হওয়ার কথা। পৃথিবীব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনে তা ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। একই সঙ্গে ওজোনস্তর ক্ষয়ের কারণে পৃথিবীতে অতিবেগুনি রশ্মির বর্ধিত আপাতন হচ্ছে এবং এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের ওপর।
ওজোনস্তর ক্ষয়ের ফলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা হলো, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে এসে পৃথিবীকে মাত্রাতিরিক্ত উত্তপ্ত করবে। সামগ্রিকভাবে তখন পৃথিবীর পরিবেশ বিপন্ন হবে। এতে সমুদ্রপৃষ্ঠে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, নিম্নভূমিতে প্লাবন, পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, আকস্মিক বন্যা, নদীভাঙন, খরা, সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস প্রকট হয়ে দেখা দেবে। তাতে মানুষের ত্বকে ক্যান্সার সৃষ্টি হবে, অন্ধত্ব বাড়াবে, মানুষসহ সব প্রাণীর দেহের রোগপ্রতিরোধক্ষমতা নষ্ট হবে, উদ্ভিদের জীবকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সমুদ্রে প্রাণীর সংখ্যা কমে যাবে। ফাইটোপ্ল্যাংকটনের উৎপাদনপ্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। সামুদ্রিক ও ভূপরিবেশের উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাসের কারণে কার্বন ডাই-অক্সাইডের শোষণ কমে গিয়ে পৃথিবীতে উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে।
সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনি রশ্মি মানুষের চোখে ধরা পড়ে না অথচ প্রাণী ও উদ্ভিদের পক্ষে এটা মারাত্মক ক্ষতিকর। ওজোনস্তর এই ক্ষতিকর রশ্মির ৯৯ শতাংশই শোষণ করে, আর পৃথিবীপৃষ্ঠে এসে পৌঁছে মাত্র এক শতাংশ। সূর্যের এই ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ওজোনস্তর আমাদের রক্ষা করে পৃথিবীকে পরিশুদ্ধ সূর্যের আলো উপহার দেয় এবং বিকিরণপ্রক্রিয়ায় পৃথিবী থেকে আসা তাপ মহাশূন্যে আবার ফিরে যেতে সহায়তা করে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১৯৯৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।
বিশ্বজিৎ পাল বাবু
১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ওজোন দিবস বা আন্তর্জাতিক ওজোন রক্ষা দিবস। ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতিবছর এই দিনে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ওজোন স্তর রক্ষার জন্য পদার্থবিষয়ক মন্ট্রিল প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশে এই মন্ট্রিল প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয় ১৯৯০ সালে। প্রটোকল অনুযায়ী সদস্য দেশগুলোকে একে একে ওজোন ধ্বংসকারী রাসায়নিক ক্লোরোফ্লুয়োরোকার্বন, কার্বন টেট্রাক্লোরাইড, মিথাইল ক্লোরোফর্ম, মিথাইল ব্রোমাইড, হাইড্রোব্রোমোফ্লুয়োরোকার্বন, হাইড্রোফ্লুয়োরোকার্বন ইত্যাদির উৎপাদন ও ব্যবহার সীমিত এবং নিষিদ্ধ করতে সম্মত হয়। গৃহস্থালি পণ্য যেমন- ফ্রিজ, এয়ারকুলার ও বিভিন্ন ধরনের স্প্রে, যা শিল্প-কারখানায়ও প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়, এই সিএফসি গ্যাস ওজোনস্তর ক্ষয়ের অন্যতম কারণ। ২০৪০ সাল নাগাদ প্রটোকল অন্তর্ভুক্ত সব গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ হওয়ার কথা। পৃথিবীব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনে তা ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। একই সঙ্গে ওজোনস্তর ক্ষয়ের কারণে পৃথিবীতে অতিবেগুনি রশ্মির বর্ধিত আপাতন হচ্ছে এবং এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের ওপর।
ওজোনস্তর ক্ষয়ের ফলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা হলো, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে এসে পৃথিবীকে মাত্রাতিরিক্ত উত্তপ্ত করবে। সামগ্রিকভাবে তখন পৃথিবীর পরিবেশ বিপন্ন হবে। এতে সমুদ্রপৃষ্ঠে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, নিম্নভূমিতে প্লাবন, পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, আকস্মিক বন্যা, নদীভাঙন, খরা, সামুদ্রিক ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস প্রকট হয়ে দেখা দেবে। তাতে মানুষের ত্বকে ক্যান্সার সৃষ্টি হবে, অন্ধত্ব বাড়াবে, মানুষসহ সব প্রাণীর দেহের রোগপ্রতিরোধক্ষমতা নষ্ট হবে, উদ্ভিদের জীবকোষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং সমুদ্রে প্রাণীর সংখ্যা কমে যাবে। ফাইটোপ্ল্যাংকটনের উৎপাদনপ্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। সামুদ্রিক ও ভূপরিবেশের উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাসের কারণে কার্বন ডাই-অক্সাইডের শোষণ কমে গিয়ে পৃথিবীতে উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে।
সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনি রশ্মি মানুষের চোখে ধরা পড়ে না অথচ প্রাণী ও উদ্ভিদের পক্ষে এটা মারাত্মক ক্ষতিকর। ওজোনস্তর এই ক্ষতিকর রশ্মির ৯৯ শতাংশই শোষণ করে, আর পৃথিবীপৃষ্ঠে এসে পৌঁছে মাত্র এক শতাংশ। সূর্যের এই ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ওজোনস্তর আমাদের রক্ষা করে পৃথিবীকে পরিশুদ্ধ সূর্যের আলো উপহার দেয় এবং বিকিরণপ্রক্রিয়ায় পৃথিবী থেকে আসা তাপ মহাশূন্যে আবার ফিরে যেতে সহায়তা করে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১৯৯৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।
বিশ্বজিৎ পাল বাবু
No comments