মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ
আবারও সম্প্রসারিত হলো মহাজোট সরকারের মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসাবে শপথ নিলেন জাতীয় সংসদের ৭ জন সদস্য। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৬ জন এবং মহাজোটের শরিক জাসদের একজন। মেয়াদের শেষ পর্যায়ে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের বিষয়টি নিয়ে সারাদেশেই ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দেশ ও জনগণের স্বার্থে সরকার মন্ত্রিসভায় যেকোন পরিবর্তন আনতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকারকে নানা ধরনের নেতিবাচক ও অনাকাক্সিক্ষত সমস্যার মোকাবিলা করতে হয়েছে। দেশব্যাপী নিত্যপণ্যের উর্ধগতি সরকারের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিষয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। এসব কারণে সরকারকে প্রায় সর্বক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। সরকার সম্ভবত এই বহুমাত্রিক সঙ্কট থেকে উত্তরণের আশায় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁরা চেয়েছেন, মহাজোটের প্রবীণ ও অভিজ্ঞ কয়েকজন নেতাকে সক্রিয়ভাবে কাজে লাগাতে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পরিকল্পনা হয়ত কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এবার দেশের দু’জন প্রবীণ ও বিশিষ্ট রাজনীতিক তোফায়েল আহমদ ও রাশেদ খান মেননকে মন্ত্রী হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিত্ব গ্রহণে সম্মত হননি। তবে এ কারণে সরকারের বিব্রতবোধ করার কিছু নেই। কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট সবারই ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিসঙ্গতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার রয়েছে।
মন্ত্রিসভায় যোগ না দেয়ার কারণ হিসাবে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমদ বলেছেন, “এই মুহূর্তে আমি রাজনৈতিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত নই। এখন আমি মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে কিছুই করতে পারব না।” তোফায়েল আহমদ বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।
অপরদিকে রাশেদ খান মেননের মন্ত্রিত্ব গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁর ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্যরা।
যাইহোক. দেশের সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হোক এবং দেশব্যাপী উন্নয়ন পরিকল্পনা অব্যাহত থাকুক এটাই সবার প্রত্যাশা। বর্তমান সরকারের মেয়াদ আর মাত্র এক বছর; এই এক বছরে বিগত দিনের ভুল শুধরাতে হবে। মূল পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যাতে পদ্মা সেতু নির্মিত হতে পারে সেই বিষয়ে সর্বাত্মক উদ্যোগ নেয়া দরকার। জনগণ যাতে এতটুকু বঞ্চিত না হয় তা ভাবতে হবে। হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য। মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হওয়ার ফলে সরকারের পক্ষে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আরও বেশি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব যদি সততা, নিষ্ঠা ও দৃঢ়তার সঙ্গে দেশের কল্যাণে কাজ করা যায়।
মন্ত্রিসভায় যোগ না দেয়ার কারণ হিসাবে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমদ বলেছেন, “এই মুহূর্তে আমি রাজনৈতিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত নই। এখন আমি মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে কিছুই করতে পারব না।” তোফায়েল আহমদ বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।
অপরদিকে রাশেদ খান মেননের মন্ত্রিত্ব গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁর ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্যরা।
যাইহোক. দেশের সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হোক এবং দেশব্যাপী উন্নয়ন পরিকল্পনা অব্যাহত থাকুক এটাই সবার প্রত্যাশা। বর্তমান সরকারের মেয়াদ আর মাত্র এক বছর; এই এক বছরে বিগত দিনের ভুল শুধরাতে হবে। মূল পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যাতে পদ্মা সেতু নির্মিত হতে পারে সেই বিষয়ে সর্বাত্মক উদ্যোগ নেয়া দরকার। জনগণ যাতে এতটুকু বঞ্চিত না হয় তা ভাবতে হবে। হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য। মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হওয়ার ফলে সরকারের পক্ষে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আরও বেশি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব যদি সততা, নিষ্ঠা ও দৃঢ়তার সঙ্গে দেশের কল্যাণে কাজ করা যায়।
No comments