লটারির মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা মনোনীত করার প্রস্তাব ড. আকবর আলি খানের
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পক্ষে মত প্রকাশ করে সুনির্দিষ্ট একটি তালিকা থেকে লটারির মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা মনোনীত করার প্রস্তাব করেছেন। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এই প্রস্তাব দেন।
ড. আকবর আলি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হলে অবশ্যই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিশেষ করে দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতা হতে হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগে এমন ফর্মুলা তৈরি করতে হবে, যাতে কোনভাবে কে প্রধান উপদেষ্টা হবেন, তা প্রকাশ না পায়। ব্যবস্থা এমন হতে হবে প্রধান উপদেষ্টা কে হবেন, তা ওই সরকার গঠনের শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত হবে। এক্ষেত্রে বিগত ১০ অথবা ৫ বছরের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ও আপীল বিভাগের বিচারপতিদের একটি তালিকা করে সেখান থেকে ১৫ জনকে ঠিক করতে হবে। ওই তালিকা থেকে লটারির মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, চলমান সংবিধান কাঠামোতে প্রধানমন্ত্রীকে বহাল রেখে কোনভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সরকার যদি নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে চলমান অচলাবস্থা নিরসন না করে, তাহলে আগামী নির্বাচন অনিশ্চতায় পড়বে।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্বরাষ্ট্র ও সংস্থাপনসহ সরকারের চারটি মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনার প্রস্তাবে দ্বিমত পোষণ করে সাবেক সচিব আকবর আলি খান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ চারটি মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনা হলে তা নিয়ে সাংবিধানিক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। আমি মনে করি, সরকারের সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ইসির আলাদা কোন জনবল না থাকায় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে সরকারের জনবল, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিয়েই করতে হয়।
বর্তমান আইন অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে তারও একটি পথ বাতলে দেন আকবর আলি। এক্ষেত্রে সরকারী ও বিরোধী দল থেকে সমান সংখ্যক সদস্য নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে নির্বাচন করার প্রস্তাব দেন তিনি।
আকবর আলি খান বলেন, এক্ষেত্রে সরকারী দলের ৫ সদস্যের মনোনয়ন বিরোধী দল দিতে পারে এবং বিরোধী দলের ৫ সদস্যের মনোনয়ন সরকারী দল দিতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওই ১০ সদস্য আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কটের সমাধান খোঁজার জন্য রাজনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তারপরও বলতে চাই, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হলে আলোচনা ও সংলাপের কোন বিকল্প নেই।
‘দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধে বিদ্যমান সঙ্কট নিরসনে নির্দলীয় সরকার গঠনে ছয়টি বিকল্প প্রস্তাব তুলে ধরেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমান। প্রথম প্রস্তাব হলো-মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে বর্তমান মহাজোট সরকার পদত্যাগ করবে এবং একটি নির্দলীয় সরকার শুধু তিন মাসের জন্য দায়িত্ব নেবে। দ্বিতীয়ত, শুধু নির্বাচন পরিচালনার জন্য গঠিত একটি ‘এলডার্স কাউন্সিল’ নির্দলীয় সরকারের দায়িত্ব নেবে। তৃতীয়ত, একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির (অথবা একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তির) নেতৃত্বে সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে একটি সরকার দায়িত্ব নেবে। চতুর্থত, স্পীকারের নেতৃত্বে দুই বড় দলের মধ্য থেকে পাঁচজন করে নিয়ে একটি সরকার হবে, যার সদস্যরা কেউই আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। পঞ্চমত, যৌথ নেতৃত্বে (একজন বিএনপি ও একজন আওয়ামী লীগের মনোনীত) একটি নির্দলীয় সরকার, যাদের কেউই আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না এবং সর্বশেষ, রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে একটি সরকার নির্বাচন পরিচালনা করবে।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক এ্যান্ড পিস স্টাডিজ (সিএসপিএস)-এর উদ্যোগে এই গোলটেবিল বৈঠক হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব শাহ আবদুল হান্নান, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, নিউ নেশন পত্রিকার সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, সাবেক সচিব এএম জহুরুল ইসলাম ও এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, চলমান সংবিধান কাঠামোতে প্রধানমন্ত্রীকে বহাল রেখে কোনভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সরকার যদি নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে চলমান অচলাবস্থা নিরসন না করে, তাহলে আগামী নির্বাচন অনিশ্চতায় পড়বে।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্বরাষ্ট্র ও সংস্থাপনসহ সরকারের চারটি মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনার প্রস্তাবে দ্বিমত পোষণ করে সাবেক সচিব আকবর আলি খান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ চারটি মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনা হলে তা নিয়ে সাংবিধানিক জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। আমি মনে করি, সরকারের সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ইসির আলাদা কোন জনবল না থাকায় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে সরকারের জনবল, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিয়েই করতে হয়।
বর্তমান আইন অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে তারও একটি পথ বাতলে দেন আকবর আলি। এক্ষেত্রে সরকারী ও বিরোধী দল থেকে সমান সংখ্যক সদস্য নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে নির্বাচন করার প্রস্তাব দেন তিনি।
আকবর আলি খান বলেন, এক্ষেত্রে সরকারী দলের ৫ সদস্যের মনোনয়ন বিরোধী দল দিতে পারে এবং বিরোধী দলের ৫ সদস্যের মনোনয়ন সরকারী দল দিতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওই ১০ সদস্য আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কটের সমাধান খোঁজার জন্য রাজনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তারপরও বলতে চাই, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে হলে আলোচনা ও সংলাপের কোন বিকল্প নেই।
‘দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধে বিদ্যমান সঙ্কট নিরসনে নির্দলীয় সরকার গঠনে ছয়টি বিকল্প প্রস্তাব তুলে ধরেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমান। প্রথম প্রস্তাব হলো-মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে বর্তমান মহাজোট সরকার পদত্যাগ করবে এবং একটি নির্দলীয় সরকার শুধু তিন মাসের জন্য দায়িত্ব নেবে। দ্বিতীয়ত, শুধু নির্বাচন পরিচালনার জন্য গঠিত একটি ‘এলডার্স কাউন্সিল’ নির্দলীয় সরকারের দায়িত্ব নেবে। তৃতীয়ত, একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির (অথবা একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তির) নেতৃত্বে সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে একটি সরকার দায়িত্ব নেবে। চতুর্থত, স্পীকারের নেতৃত্বে দুই বড় দলের মধ্য থেকে পাঁচজন করে নিয়ে একটি সরকার হবে, যার সদস্যরা কেউই আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। পঞ্চমত, যৌথ নেতৃত্বে (একজন বিএনপি ও একজন আওয়ামী লীগের মনোনীত) একটি নির্দলীয় সরকার, যাদের কেউই আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না এবং সর্বশেষ, রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে একটি সরকার নির্বাচন পরিচালনা করবে।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক এ্যান্ড পিস স্টাডিজ (সিএসপিএস)-এর উদ্যোগে এই গোলটেবিল বৈঠক হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব শাহ আবদুল হান্নান, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, নিউ নেশন পত্রিকার সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, সাবেক সচিব এএম জহুরুল ইসলাম ও এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
No comments