মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে জনশক্তি রফতানি বন্ধঃ বায়রা
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং অ্যাজেন্সিজ’র (বায়রা) সভাপতি মো. শাহজালাল মজুমদার বলেছেন, “প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার বায়রার সদস্যদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও অনভিপ্রেত উক্তি করছেন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে দেরি হলে আমরা জনশক্তি রফতানি কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো।”
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রেস কনফারেন্স করে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
শাহজালাল মজুমদার বলেন, “জনশক্তি রফতানির মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের দেশবাসীর সামনে হেয় প্রতিপন্ন করে এমনকি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এর ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করেছেন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব। বায়রা ও বায়রার সদস্যদের দালাল, প্রতারক ও রক্তচোষা বলে আমাদের শুধু ছোট করেননি বরং এতে তারা কতটুকু গৌরবান্বিত হয়েছেন সেটি তারাই জানেন।”
“সুপরিকল্পিত নিয়ম-নীতি না করে মন্ত্রণালয়ের যখন যা ইচ্ছে হয়, তখন মনগড়া প্রজ্ঞাপন জারি করে এ সেক্টরকে এক অস্থিরতার মধ্যে ফেলে দিয়েছে এবং দিচ্ছে” বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “২০০৭ ও ২০০৮ সালে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে অযৌক্তিকভাবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বহুসংখ্যক কর্মী বিদেশে পাঠানো হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় প্রায়শঃ অভিযোগ করে। দূতাবাসের সত্যায়িত ব্যতিরেকে কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেন না। মন্ত্রণালয় রিক্রুটিং এজেন্সির চাহিদাপত্র পাওয়ার পর পুনরায় তার সত্যতা যাচাই করে অগানুমতি এবং বহির্গমন ছাড়পত্র দেয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কর্মী পাঠানোর সুযোগ রিক্রুটিং এজেন্সির নেই।”
সম্প্রতি ঢাকায় মালয়েশিয়ার মন্ত্রীর আগমনের বিষয়টিও বায়রার সঙ্গে পরামর্শ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন বায়রা সভাপতি।
“মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসার পূর্বে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বায়রার নেতারা আলাপ-আলোচনার জন্য আমরা তিনবার মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। তিনি আমাদের সুযোগ দেননি। মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার একেএম আতিকুর রহমান সে দেশে জনশক্তি রফতানির বিষয়ে বায়রা সম্পর্কে মনগড়া ও কাল্পনিক বক্তব্য দিয়ে আসছেন। এতে জনশক্তি রফতানিকারকদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং রফতানিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।”, বলেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে শাহজালাল মজুমদার আরো বলেন, “মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার যে ব্যয় নির্ধারণ করেছেন সেখানে আমাদের প্রশ্ন। সে দেশের সরকার ও নিয়োগকারী সংস্থা যদি প্রতিটি কর্মীর বিমানভাড়া দেয়ার নিশ্চয়তা দেন তাহলে এর সর্বোচ্চ ব্যয় হওয়া উচিত ২০ হাজার টাকা। আজ তথাকথিত ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহের নামে কারা জড়িত? কার স্বার্থ জড়িত?”
তিনি বলেন, “রিক্রুটিং অ্যাজেন্সি কোনো অনিয়ম করলে তা বহির্গমণ আইনের ১৪ ধারা মোতাবেক লাইসেন্স বাতিল করার ক্ষমতা মন্ত্রণালয়ের আছে। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রশ্ন- ২০০৭ ও ২০০৮ সালে অনিয়মের কারণে কতটি লাইসেন্স মন্ত্রণালয় বাতিল করেছে?”
এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বায়রা নেতারা।
বুধবার প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন একটি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “গণতান্ত্রিক সমাজে যে কেউ যেকোনো ধরনের কর্মসূচি দিতে পারে। এ নিয়ে আমরা ভীত নই।”
দালাল-প্রতারক বলে অপমানিত করা হয়েছে- বায়রা সদস্যদের এ অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “প্রতারণার ঘটনা তো সেখানে ঘটেছেই। দুই লাখ ৬৭ হাজার অবৈধ লোক সেখানে ছিল। এটা কি প্রতারণা নয়? আর প্রতারককে কী বলা উচিত। তারা যতই কঠোর কর্মসূচি দিন না কেন অবস্থান থেকে সরে আসার সুযোগ আমার নেই।”
প্রেস কনফারেন্সে বায়রার সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
“সুপরিকল্পিত নিয়ম-নীতি না করে মন্ত্রণালয়ের যখন যা ইচ্ছে হয়, তখন মনগড়া প্রজ্ঞাপন জারি করে এ সেক্টরকে এক অস্থিরতার মধ্যে ফেলে দিয়েছে এবং দিচ্ছে” বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “২০০৭ ও ২০০৮ সালে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে অযৌক্তিকভাবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বহুসংখ্যক কর্মী বিদেশে পাঠানো হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় প্রায়শঃ অভিযোগ করে। দূতাবাসের সত্যায়িত ব্যতিরেকে কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেন না। মন্ত্রণালয় রিক্রুটিং এজেন্সির চাহিদাপত্র পাওয়ার পর পুনরায় তার সত্যতা যাচাই করে অগানুমতি এবং বহির্গমন ছাড়পত্র দেয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কর্মী পাঠানোর সুযোগ রিক্রুটিং এজেন্সির নেই।”
সম্প্রতি ঢাকায় মালয়েশিয়ার মন্ত্রীর আগমনের বিষয়টিও বায়রার সঙ্গে পরামর্শ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন বায়রা সভাপতি।
“মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসার পূর্বে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বায়রার নেতারা আলাপ-আলোচনার জন্য আমরা তিনবার মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। তিনি আমাদের সুযোগ দেননি। মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার একেএম আতিকুর রহমান সে দেশে জনশক্তি রফতানির বিষয়ে বায়রা সম্পর্কে মনগড়া ও কাল্পনিক বক্তব্য দিয়ে আসছেন। এতে জনশক্তি রফতানিকারকদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং রফতানিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।”, বলেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে শাহজালাল মজুমদার আরো বলেন, “মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার যে ব্যয় নির্ধারণ করেছেন সেখানে আমাদের প্রশ্ন। সে দেশের সরকার ও নিয়োগকারী সংস্থা যদি প্রতিটি কর্মীর বিমানভাড়া দেয়ার নিশ্চয়তা দেন তাহলে এর সর্বোচ্চ ব্যয় হওয়া উচিত ২০ হাজার টাকা। আজ তথাকথিত ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহের নামে কারা জড়িত? কার স্বার্থ জড়িত?”
তিনি বলেন, “রিক্রুটিং অ্যাজেন্সি কোনো অনিয়ম করলে তা বহির্গমণ আইনের ১৪ ধারা মোতাবেক লাইসেন্স বাতিল করার ক্ষমতা মন্ত্রণালয়ের আছে। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রশ্ন- ২০০৭ ও ২০০৮ সালে অনিয়মের কারণে কতটি লাইসেন্স মন্ত্রণালয় বাতিল করেছে?”
এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বায়রা নেতারা।
বুধবার প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন একটি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “গণতান্ত্রিক সমাজে যে কেউ যেকোনো ধরনের কর্মসূচি দিতে পারে। এ নিয়ে আমরা ভীত নই।”
দালাল-প্রতারক বলে অপমানিত করা হয়েছে- বায়রা সদস্যদের এ অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “প্রতারণার ঘটনা তো সেখানে ঘটেছেই। দুই লাখ ৬৭ হাজার অবৈধ লোক সেখানে ছিল। এটা কি প্রতারণা নয়? আর প্রতারককে কী বলা উচিত। তারা যতই কঠোর কর্মসূচি দিন না কেন অবস্থান থেকে সরে আসার সুযোগ আমার নেই।”
প্রেস কনফারেন্সে বায়রার সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments