জলবায়ুর ক্ষতি আদায়ে আত্মপ্রকাশ করছে নতুন জোট এআরসি- বাংলাদেশ এ জোটের অন্যতম সদস্য by কাওসার রহমান
জলবায়ু আলোচনায় দরকষাকষি করতে বাংলাদেশসহ নয়টি দেশকে নিয়ে নতুন জোট এআরসি আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ অধিবেশে একটি রেজুলেশন অনুমোদনের মধ্য দিয়ে এ্যাম্বেসেডর ফর রেসপনসিবিলিটি অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (এআরসি) নামের এ সংগঠন আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করবে।
এদিকে এআরসি জলবায়ু ইস্যু নিয়ে উন্নত দেশগুলোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবেই এআরসি কার্বন দূষণকারী দেশগুলোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যাচ্ছে। এ মামলা দায়েরের মাধ্যমে কার্বন নির্গমান হ্রাসে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর কার কি দায়িত্ব তা নির্ধারণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একেএম মোমেন বলেন, ‘এ জোটের মূল কাজ হচ্ছে জলবায়ু ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিকভাবে দরকষাকষি করা। জলবায়ু ইস্যুতে উন্নত দেশগুলোর কার কতটুকু দায়িত্ব তা নির্ধারণ করা।’
মূলত জাতিসংঘে বিভিন্ন দেশে স্থায়ী মিশনের রাষ্ট্রদূতগণ মিলে এ নয়া জোট গঠন করেছেন। এ জন্যই এ সংগঠনের নাম দেয়া হয়েছে এ্যাম্বেসেডর ফর রেসপনসিবিলিটি অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (এআরসি)। এ জোটের নেতা হচ্ছে দ্বীপ দেশ ফিজি। এছাড়াও বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, পাপুয়া নিউগিনি, মরিশাস, শ্রীলঙ্কা, কিরগিজস্তান, পালাও প্রজাতন্ত্র ও ভেনুয়াতু প্রজাতন্ত্র এই সংগঠনের সদস্য। তবে বাংলাদেশ এই সংগঠনের সদস্য হলেও পেছনের সারিতে আছে। জাতিসংঘের আসন্ন অধিবেশনে এ ব্যাপারে একটি রেজুলেশন আনা হবে। ওই রেজুলেশন গ্রহণের পরই নবগঠিত এ সংগঠন জলবায়ু দরকষাকষির নতুন জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
জানা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত আরও কিছু দেশ এ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শুধু তাই নয়, কার্বন দূষণকারী অনেক উন্নত দেশও এ জোটে যোগদানের ইঙ্গিত দিয়েছে। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশ এআরসিতে যোগ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এ প্রস্তাব ইউরোপীয় ইউনিয়নে পাস হলে নয়া জোটটিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে।
ইতোপূর্বে ইউএন ট্রাস্টি গ্রুপ নামে এ ধরনের একটি সংগঠন ছিল। সেটি এখন আর কার্যকর নেই। ১৯৯১ সালে ওই সংগঠনটি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। ফলে নতুন এ জোট গঠন করা হয়েছে। এ জোটের মূল কাজ হবে জলবায়ু ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিকভাবে দরকষাকষি করা। এ জোটের সদস্যরা মূলত দাবি আদায়ে রাজনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে দরকষাকষিতে অংশ নেবে। উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ফান্ড প্রদানের জন্যও চাপ দেবে। তবে ফান্ড প্রদানের চেয়ে এ জোট গুরুত্ব দেবে কার্বন দূষণ কমানোর ওপর।
এ প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ‘এআরসি নিয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি। যদিও কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ এই আন্দোলনের পেছনে থাকবে।’
তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোর কাছে আমাদের দাবি হলো, ‘আমরা তোমাদের কাছে ফান্ড চাই না। আমরা চাই তোমাদের দেশ যারা দূষণ করছে বা কার্বন নিগর্মন করছে তাদের প্রোটেক্ট কর।’
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এ জোটের গঠন ঠেকাতে না পেরে তারা এখন নতুন কৌশল নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সকল দেশকে বলছে, এই এআরসির রেজ্যুলেশন সমর্থন না করার জন্য। কারণ তারা মনে করে জলবায়ু ইস্যু নিয়ে নতুন কোন জোটের আত্মপ্রকাশ মানেও তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ৬৯ শতাংশ মানুষ মনে করে তাদের কোম্পানিগুলোই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কার্বন দূষণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই জনমতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, উন্নত বিশ্বের প্রতি তার দেশের ভেতর থেকেই কার্বন নির্গমন হ্রাসে চাপ বাড়ছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ওবামা প্রশাসন ১৬০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস তা অনুমোদন করেনি। ১০ বিলিয়ন ডলারের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় এ অর্থ দিতে চেয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, আগামী নবেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ নির্বাচন। তাই নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র কোন কিছু করবে না। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস জলবায়ু তহবিলের প্রস্থান অনুমোদন করেনি। তাই আমরা এ অর্থ অনুমোদনের ব্যাপারে আগে থেকেই প্রক্রিয়া শুরু করব, যাতে নতুন সরকার এসে কিছু করতে পারে।
জানা যায়, ইতোমধ্যে এআরসির কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সকল বৈঠকে জোটের করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সকল করণীয়ের মধ্যে অন্যতম হলো কার্বন দূষণের জন্য আইনগতভাবে উন্নত দেশগুলোর দায়দায়িত্ব নির্ধারণ। এ জন্য জোট আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবশ্য তার আগে এ জোটের পক্ষ থেকে গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনের প্রভাবের ওপর পরামর্শক মতামত গ্রহণের জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে মরিশাসের রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে একটি ‘লিগ্যাল সাব-কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত ড. মোমেন বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোর কার্বন নির্গমন হ্রাসে এতদিন আমরা বিজ্ঞান দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু সফল হইনি। এখন আইনগতভাবে চেষ্টা করছি। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে উন্নত দেশগুলো যাতে দ্রুত কার্বন নির্গমন হ্রাস করে তার জন্য কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু ইস্যুতে আমাদের স্বার্থ আদায়ের জন্য আমরা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে যাব। আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উন্নত দেশগুলোর কোন দায়দায়িত্ব আছে কিনা, থাকলে কি ধরনের দায়দায়িত্ব আছে তা নির্ধারণের জন্য। এ ব্যাপারে আমরা কোর্টের কাছে গাইডলাইন চাইব।
অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বব কার এ প্রসঙ্গে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো আন্তর্জাতিক আদালতে গেলে তার দেশ অস্ট্রেলিয়া ওই গরিব দেশগুলোর পক্ষে কার্বন নির্গমনের সাক্ষ্যপ্রমাণ দেবে। তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে এ তথ্যপ্রমাণ দেয়ার কথা বলেছেন। জলবায়ু আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতিসংঘে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর এআরসি গঠনের রেজ্যুলেশন অনুমোদন হলে তা হবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর কার্বন দূষণকারী দেশগুলোর বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার প্রথম আইনগত পদক্ষেপ।
এছাড়া এ গ্রুপ আইনবিদ, বিজ্ঞানী ও পরিবেশ নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে একটি পরামর্শক প্যানেল গঠন করবে। এ প্যানেলের সহায়তা নিউইয়র্কে বিভিন্ন সভা-সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা হবে।
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একেএম মোমেন বলেন, ‘এ জোটের মূল কাজ হচ্ছে জলবায়ু ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিকভাবে দরকষাকষি করা। জলবায়ু ইস্যুতে উন্নত দেশগুলোর কার কতটুকু দায়িত্ব তা নির্ধারণ করা।’
মূলত জাতিসংঘে বিভিন্ন দেশে স্থায়ী মিশনের রাষ্ট্রদূতগণ মিলে এ নয়া জোট গঠন করেছেন। এ জন্যই এ সংগঠনের নাম দেয়া হয়েছে এ্যাম্বেসেডর ফর রেসপনসিবিলিটি অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (এআরসি)। এ জোটের নেতা হচ্ছে দ্বীপ দেশ ফিজি। এছাড়াও বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, পাপুয়া নিউগিনি, মরিশাস, শ্রীলঙ্কা, কিরগিজস্তান, পালাও প্রজাতন্ত্র ও ভেনুয়াতু প্রজাতন্ত্র এই সংগঠনের সদস্য। তবে বাংলাদেশ এই সংগঠনের সদস্য হলেও পেছনের সারিতে আছে। জাতিসংঘের আসন্ন অধিবেশনে এ ব্যাপারে একটি রেজুলেশন আনা হবে। ওই রেজুলেশন গ্রহণের পরই নবগঠিত এ সংগঠন জলবায়ু দরকষাকষির নতুন জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
জানা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত আরও কিছু দেশ এ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শুধু তাই নয়, কার্বন দূষণকারী অনেক উন্নত দেশও এ জোটে যোগদানের ইঙ্গিত দিয়েছে। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশ এআরসিতে যোগ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এ প্রস্তাব ইউরোপীয় ইউনিয়নে পাস হলে নয়া জোটটিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে।
ইতোপূর্বে ইউএন ট্রাস্টি গ্রুপ নামে এ ধরনের একটি সংগঠন ছিল। সেটি এখন আর কার্যকর নেই। ১৯৯১ সালে ওই সংগঠনটি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। ফলে নতুন এ জোট গঠন করা হয়েছে। এ জোটের মূল কাজ হবে জলবায়ু ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিকভাবে দরকষাকষি করা। এ জোটের সদস্যরা মূলত দাবি আদায়ে রাজনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে দরকষাকষিতে অংশ নেবে। উন্নত দেশগুলোকে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় ফান্ড প্রদানের জন্যও চাপ দেবে। তবে ফান্ড প্রদানের চেয়ে এ জোট গুরুত্ব দেবে কার্বন দূষণ কমানোর ওপর।
এ প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, ‘এআরসি নিয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি। যদিও কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ এই আন্দোলনের পেছনে থাকবে।’
তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোর কাছে আমাদের দাবি হলো, ‘আমরা তোমাদের কাছে ফান্ড চাই না। আমরা চাই তোমাদের দেশ যারা দূষণ করছে বা কার্বন নিগর্মন করছে তাদের প্রোটেক্ট কর।’
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এ জোটের গঠন ঠেকাতে না পেরে তারা এখন নতুন কৌশল নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সকল দেশকে বলছে, এই এআরসির রেজ্যুলেশন সমর্থন না করার জন্য। কারণ তারা মনে করে জলবায়ু ইস্যু নিয়ে নতুন কোন জোটের আত্মপ্রকাশ মানেও তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ৬৯ শতাংশ মানুষ মনে করে তাদের কোম্পানিগুলোই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কার্বন দূষণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই জনমতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, উন্নত বিশ্বের প্রতি তার দেশের ভেতর থেকেই কার্বন নির্গমন হ্রাসে চাপ বাড়ছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ওবামা প্রশাসন ১৬০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস তা অনুমোদন করেনি। ১০ বিলিয়ন ডলারের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় এ অর্থ দিতে চেয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, আগামী নবেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ নির্বাচন। তাই নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র কোন কিছু করবে না। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস জলবায়ু তহবিলের প্রস্থান অনুমোদন করেনি। তাই আমরা এ অর্থ অনুমোদনের ব্যাপারে আগে থেকেই প্রক্রিয়া শুরু করব, যাতে নতুন সরকার এসে কিছু করতে পারে।
জানা যায়, ইতোমধ্যে এআরসির কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সকল বৈঠকে জোটের করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সকল করণীয়ের মধ্যে অন্যতম হলো কার্বন দূষণের জন্য আইনগতভাবে উন্নত দেশগুলোর দায়দায়িত্ব নির্ধারণ। এ জন্য জোট আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবশ্য তার আগে এ জোটের পক্ষ থেকে গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনের প্রভাবের ওপর পরামর্শক মতামত গ্রহণের জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে মরিশাসের রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে একটি ‘লিগ্যাল সাব-কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত ড. মোমেন বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোর কার্বন নির্গমন হ্রাসে এতদিন আমরা বিজ্ঞান দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু সফল হইনি। এখন আইনগতভাবে চেষ্টা করছি। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে উন্নত দেশগুলো যাতে দ্রুত কার্বন নির্গমন হ্রাস করে তার জন্য কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু ইস্যুতে আমাদের স্বার্থ আদায়ের জন্য আমরা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে যাব। আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উন্নত দেশগুলোর কোন দায়দায়িত্ব আছে কিনা, থাকলে কি ধরনের দায়দায়িত্ব আছে তা নির্ধারণের জন্য। এ ব্যাপারে আমরা কোর্টের কাছে গাইডলাইন চাইব।
অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বব কার এ প্রসঙ্গে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো আন্তর্জাতিক আদালতে গেলে তার দেশ অস্ট্রেলিয়া ওই গরিব দেশগুলোর পক্ষে কার্বন নির্গমনের সাক্ষ্যপ্রমাণ দেবে। তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে এ তথ্যপ্রমাণ দেয়ার কথা বলেছেন। জলবায়ু আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতিসংঘে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর এআরসি গঠনের রেজ্যুলেশন অনুমোদন হলে তা হবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর কার্বন দূষণকারী দেশগুলোর বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার প্রথম আইনগত পদক্ষেপ।
এছাড়া এ গ্রুপ আইনবিদ, বিজ্ঞানী ও পরিবেশ নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে একটি পরামর্শক প্যানেল গঠন করবে। এ প্যানেলের সহায়তা নিউইয়র্কে বিভিন্ন সভা-সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা হবে।
No comments