নিখোঁজ শিশুটির লাশ উদ্ধার হলো রিজার্ভ ট্যাংক থেকে
রাজধানীর মিরপুরে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাঈম নামের চার বছরের এক শিশুকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাতে নিজ বাসার রিজার্ভ পানির ট্যাংক থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।প্রাথমিক তদন্তের পর দারুস সালাম থানার ওসি খলিলুর রহমান বলেন, শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে এবং লাশের গায়ে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় নাঈমের বাবা রাজু মোল্লা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারভুক্ত আসামি রানা, দুই সহোদর সজীব ও রাকিব এবং তাদের মা আমেনা বেগমকে গতকাল সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, রবিবার থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। তার সন্ধান পেতে পরিবারের পক্ষ থেকে ছবিসহ হারানো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এলাকায় মাইকিং করে ছেলের খোঁজ করেন রাজু মোল্লা। পরে ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে আশঙ্কা করে তিনি থানায় জিডি করেন। অবশেষে সোমবার গভীর রাতে নিজ বাসার রিজার্ভ পানির ট্যাংকের ভেতর থেকে শিশুটির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
রাজু মোল্লা কালের কণ্ঠকে জানান, একমাত্র সন্তান নাঈম ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি আনন্দনগরের ১১৩ নম্বর ভবনের নিচ তলায় ভাড়া থাকেন। পাশের দুটি কক্ষের একটিতে রানা ও অন্যটিতে সজীব তার ভাই ও মাকে নিয়ে থাকত। গত রোজার ঈদের কয়েক দিন আগে সজীব ও রানা নাঈমকে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে বলাৎকার করে। নাঈম বাসায় এসে বিষয়টি তাঁকে জানালে এ নিয়ে পরস্পর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এলাকার বাড়ির মালিক সমিতির লোকজনকে বিষয়টি জানালে তাঁরা বিচারের আশ্বাসও দেন। আর তখন থেকেই নাঈমের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল সজীব ও রানা।
রাজু মোল্লা বলেন, 'রবিবার বিকেলে নাঈম বাসার ভেতরে বারান্দায় খেলা করছিল। আমি বাইরে ছিলাম। নাঈমের মা ছিল বাসার ভেতরে। এর পর থেকে ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনার জন্য আমি সজীব, রাকিব ও তাদের মা এবং রানাকে সন্দেহ করি। সোমবার রাতে বাসার সামনে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ছেলে নিখোঁজ হওয়া নিয়ে কথা বলছিলাম। এ সময় রানা হঠাৎ বাসার ভেতরের রিজার্ভ ট্যাংক খুলে চিৎকার করে বলে ওঠে- এই যে নাঈমের লাশ দেখা যায়।'
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে থানার এসআই বিমল জানান, লাশের শরীরের একাধিক স্থানে ফোসকা ও আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে হত্যার পর লাশ গুম করতে ওই ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সন্তানহারা পরিবারটির গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদীঘি গ্রামে। একমাত্র সন্তান হারিয়ে পাগলপ্রায় বাবা-মা। গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মা নাছিমা বেগম বুক চাপড়ে বিলাপ করছেন আর বলছেন, 'সজীব আর রানাই আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।' পাশেই নির্বাক নাঈমের বাবা রাজু মোল্লা।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, রবিবার থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। তার সন্ধান পেতে পরিবারের পক্ষ থেকে ছবিসহ হারানো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এলাকায় মাইকিং করে ছেলের খোঁজ করেন রাজু মোল্লা। পরে ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে আশঙ্কা করে তিনি থানায় জিডি করেন। অবশেষে সোমবার গভীর রাতে নিজ বাসার রিজার্ভ পানির ট্যাংকের ভেতর থেকে শিশুটির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
রাজু মোল্লা কালের কণ্ঠকে জানান, একমাত্র সন্তান নাঈম ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি আনন্দনগরের ১১৩ নম্বর ভবনের নিচ তলায় ভাড়া থাকেন। পাশের দুটি কক্ষের একটিতে রানা ও অন্যটিতে সজীব তার ভাই ও মাকে নিয়ে থাকত। গত রোজার ঈদের কয়েক দিন আগে সজীব ও রানা নাঈমকে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে বলাৎকার করে। নাঈম বাসায় এসে বিষয়টি তাঁকে জানালে এ নিয়ে পরস্পর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এলাকার বাড়ির মালিক সমিতির লোকজনকে বিষয়টি জানালে তাঁরা বিচারের আশ্বাসও দেন। আর তখন থেকেই নাঈমের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল সজীব ও রানা।
রাজু মোল্লা বলেন, 'রবিবার বিকেলে নাঈম বাসার ভেতরে বারান্দায় খেলা করছিল। আমি বাইরে ছিলাম। নাঈমের মা ছিল বাসার ভেতরে। এর পর থেকে ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনার জন্য আমি সজীব, রাকিব ও তাদের মা এবং রানাকে সন্দেহ করি। সোমবার রাতে বাসার সামনে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ছেলে নিখোঁজ হওয়া নিয়ে কথা বলছিলাম। এ সময় রানা হঠাৎ বাসার ভেতরের রিজার্ভ ট্যাংক খুলে চিৎকার করে বলে ওঠে- এই যে নাঈমের লাশ দেখা যায়।'
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে থানার এসআই বিমল জানান, লাশের শরীরের একাধিক স্থানে ফোসকা ও আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে হত্যার পর লাশ গুম করতে ওই ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সন্তানহারা পরিবারটির গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদীঘি গ্রামে। একমাত্র সন্তান হারিয়ে পাগলপ্রায় বাবা-মা। গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মা নাছিমা বেগম বুক চাপড়ে বিলাপ করছেন আর বলছেন, 'সজীব আর রানাই আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।' পাশেই নির্বাক নাঈমের বাবা রাজু মোল্লা।
No comments