ইসলাম বিদ্বেষী চলচ্চিত্রঃ অভিনেত্রী আন্না গুরজি জানতেন না কি ছবিতে অভিনয় করছেন
ইসলাম বিদ্বেষী চলচ্চিত্র নির্মাণ করে স্যাম বাসিল শুধু যে ধিক্কার খাচ্ছেন তা নয়, চলচ্চিত্র তৈরির বিষয়টি তিনি অভিনেতা অভিনেত্রীর কাছে গোপন রেখেছিলেন।
পাছে ইসলাম বিদ্বেষী এধরনের জঘন্য চলচ্চিত্রে কেউ অভিনয় করতে রাজি না হয় এজন্যে এমন ফন্দি বের করেন বাসিল।
পাছে ইসলাম বিদ্বেষী এধরনের জঘন্য চলচ্চিত্রে কেউ অভিনয় করতে রাজি না হয় এজন্যে এমন ফন্দি বের করেন বাসিল।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা এফবিআই গত সপ্তাহে বলেছিল, ওই চলচ্চিত্রের নির্মাতা নকুলা বাসেলি নকুলা ওরফে স্যাম বাসিল।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘দ্য মেইল’ রোববার ওই চলচ্চিত্রের এক অভিনেত্রীর সঙ্গে তোলা নকুলার একটি ছবি খুঁজে পেয়েছে।
একই সঙ্গে পত্রিকাটি তাঁর বিস্তারিত নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছে। অভিনেত্রী আন্না গুরজি অভিযোগ করেছেন, ৫৫ বছর বয়সী ওই নির্মাতা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নকুলা একজন মিসরীয় কপ্টিক খ্রিষ্টান। বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়াবাসী নকুলা মাদক ব্যবসা ও ঠকবাজির দায়ে হাজত খেটে গত বছরের জুন মাসে জেল থেকে বেরিয়েছেন।
২১ বছর বয়সী গুরজি চলচ্চিত্রনির্মাতা নকুলার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে বলেন, অভিনয়ের সময় তিনি একজনের স্ত্রীর চরিত্রে একটি নির্দিষ্ট নামে অভিনয় করলেও কিছুদিন আগে প্রচারিত বিজ্ঞাপনচিত্রে দেখা গেছে তাঁর নাম-পরিচয় বদলে গেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি এখন ঘরে দরজা বন্ধ করে বসে থাকি। আমার ধারণা, মধ্যপ্রাচ্যের লোকেরা এ জন্য আমাকে দোষ দেবে। আমি ক্যাথলিক বলে তারা ভাবতে পারে, আমি মুসলিমবিদ্বেষী। এত খারাপ লাগছে যে ঘুমানোর জন্য ওষুধ খেতে হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে আমার শুধু কান্না পাচ্ছে। মানুষ ওই কুৎসিত চলচ্চিত্রটি দেখছে, আর আমাকেও দেখছে।’
গুরজি বলেন, তিনি ও সহ-অভিনেতারা জানতেন যে তাঁরা ‘ডেজার্ট ওয়ারিয়র’ নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন। স্যাম তাঁদের তেমনটাই বলেছিলেন। কিন্তু ধর্মের বিষয়ে কখনো আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, ছবিটির বাজেট ছিল খুবই কম। এক দিন অভিনয়ের জন্য তিনি পেতেন মাত্র ৭৫ ডলার। অধিকাংশ চিত্রই ধারণ করা হয় একটি সবুজ রঙের পর্দার সামনে দাঁড়িয়ে, যাতে পরে পেছনে বিভিন্ন দৃশ্য জুড়ে দেওয়া যায়।
অথচ স্যাম বাসিল ইনোসেন্স মুসলিম তৈরির জন্যে পেয়েছেন ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।
গুরজি বলেন, তাঁরা সবাই যাঁর যাঁর মতো অভিনয় করেছেন, তারপর চলে গেছেন। কিন্তু কারও মনে এ ধারণা আসেনি যে, এখানে গোপন কোনো অভিসন্ধি থাকতে পারে।
মার্কিন পুলিশ গতকাল শনিবার নকুলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে যুক্তরাষ্ট্রের দুজন সরকারি আইনজীবী তাঁর বাসায় গিয়েছিলেন।
ব্যাংকে প্রতারণার দায়ে ২০১০ সালে নকুলা দোষী সাব্যস্ত হন এবং ২১ মাস জেল খাটার পর পরবর্তী পাঁচ বছর পুলিশের নজরদারিতে থাকার শর্তে ছাড়া পান। অভিযোগ ছিল, নকুলা সামাজিক নিরাপত্তা কার্ড ব্যবহার করে ব্যাংকে ভুয়া হিসাব খোলার চেষ্টা করছিলেন।
তাঁর জেল জীবনের বিভিন্ন নথি থেকে জানা গেছে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া তাঁর ইন্টারনেট ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল।
ওয়াশিংটনের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, নকুলা জামিনের শর্ত ভঙ্গ করেছেন, এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁকে আবারও কারাগারে ফেরত পাঠানো হবে।
No comments