আয়োজন- নারী-পুরুষের সম্পর্কে... by শান্তা তাওহিদা
ঘরের কাজ শুধু মেয়েদের কাজ নয়, এটি পারিবারিক কাজও বটে। নারীকে রান্নায় সাহায্য, বিছানা গোছানো, তাঁর পছন্দমতো কিছু কিনতে দেওয়া, সিদ্ধান্তের মূল্যায়ন করা—এমন সচেতনতা এখন এসেছে অনেক পুরুষের মধ্যেই। তবে দেশের সামাজিক অবস্থা এ কথা বলে না। এখনো নারীরা নির্যাতিত হন। আবার তাঁরা প্রতিবাদও করেন।
এসব বিষয় উঠে এসেছে নারী-পুরুষ সর্ম্পক পরিবর্তন মূল্যায়ন গবেষণায়।
১২ সেপ্টেম্বর ঢাকার মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ব্র্যাক ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিডিআই) আয়োজন করেছে এ গবেষণাপত্রের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের। এ গবেষণাকর্ম বাংলাদেশের নেত্রকোনা, রাজবাড়ী ও গাইবান্ধা—এই তিন জেলাকে কেন্দ্র করে করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে গবেষণাপত্রের ফলাফল উপস্থাপন করেন বিডিআইয়ের প্রধান গবেষক ও গবেষণার সমন্বয়ক সিমীন মাহমুদ। গবেষণায় সহসমন্বয়ক মাহিন সুলতান ও গবেষক লোপিতা হক।
মাহিন সুলতান জানান, এ গবেষণা সম্পাদনে জেন্ডার কোয়ালিটি অ্যাকশন লার্নিং (জিকিউএএল) ভূমিকা রেখেছে। এটি ব্র্যাকের একটি প্রকল্প। নারী-পুরুষ সম্পর্ক উন্নয়নবিষয়ক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয় এখানে। জিকিউএএলের সচেতনতা কার্যক্রমে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, নারী-পুরুষের সম্পর্ক কতটুকু উন্নতি ঘটেছে, তা এ গবেষণায় দেখা যায়। পুরুষেরা রান্না ও ঘর গোছানোয় নারীদের সহায়তা করছেন কি না, নারীরা নিজেদের পছন্দমতো কিছু কিনতে পারছেন কি না, নারীরা তাঁর কাজের মূল্যায়ন পাচ্ছেন কি না, ছেলেশিশু ও পুরুষের মেয়েদের থেকে বেশি খাবার প্রয়োজন কি না, নারীরা গর্ভধারণের সময় চিকিৎসককে দেখানোর সুবিধা পাচ্ছেন কি না, নারীরা তাঁর স্বামী দ্বারা প্রহূত হচ্ছেন কি না, মৌখিক তালাক সঠিক কি না, কন্যাসন্তান জন্মদানে দায়ী কে—সভায় এ বিষয়গুলোর দিকে আলোকপাত করা হয়। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্ট্যাডিজের শিক্ষক সানজিদা আকতার ও ডিএফআইডি বাংলাদেশের দরিদ্রতা ও জীবনচর্যাবিষয়ক উপদেষ্টা আরিফুর রহমান। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও গবেষণাপত্র নিয়ে আলোচনার সুযোগ ছিল।
No comments