জেরায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী- আলীম ও জয়বারের নেতৃত্বে পাঁচবিবিতে আক্রমণ হয়
বিএনপির নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল আলীমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের দ্বিতীয় সাক্ষী সাইদুর রহমানকে আসামিপক্ষের জেরা অব্যাহত রয়েছে। তিনি গতকাল মঙ্গলবার জেরায় বলেন, একাত্তরের ২০ এপ্রিল আলীম ও তাঁর দোসর জয়বারের নেতৃত্বে পাঁচবিবিতে আক্রমণ করা হয়।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে দুই সদস্যের (এক সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই জেরা হয়। সাইদুরকে গতকাল তৃতীয় দিনের মতো জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী খলিলুর রহমান। শারীরিক কারণে জামিনে থাকা আলীম ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন।
দেশের অভ্যন্তরে কোন কোন ক্যাম্পে আক্রমণ করেছেন— আইনজীবীর এই প্রশ্নে সাক্ষী বলেন, তিনি একাত্তরের এপ্রিল মাসে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এবং তুলিডাঙ্গা নদীর ওপর কাঠের সেতু ভেঙে ফেলেন। পরে তিনি সংগ্রাম কমিটির ডাকে ১৯ এপ্রিল পাঁচবিবিতে যান।
ঘোড়াঘাট থেকে পাকিস্তানি সেনারা কীভাবে পাঁচবিবি গিয়েছিল এবং সেখানে কী হয়েছিল—এই প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন, ২০ এপ্রিল ঘোড়াঘাট থেকে পাকিস্তানি সেনারা তাদের বাহনে করে পাঁচবিবিতে এসেছিল। আবদুল আলীম ও তাঁর দোসর পাঁচবিবির জয়বারের নেতৃত্বে পাঁচবিবিতে আক্রমণ করা হয়। ওই আক্রমণের সময় আপনি কোথায় ছিলেন—এই প্রশ্নে তিনি বলেন, তিনি পাঁচবিবি গার্লস স্কুলে ছিলেন।
আইনজীবী জানতে চান, সাক্ষী ২০১০ সালের ডিসেম্বরে জেলা প্রশাসকের চাহিদা মোতাবেক রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্যদের যে তালিকা দিয়েছিলেন, সেখানে কি তাঁর কোনো আত্মীয় আছে? জবাবে সাক্ষী বলেন, ওই তালিকায় থাকা শান্তি কমিটির সদস্য মকবুল কবিরাজ তাঁর দূর সম্পর্কের চাচা, মতিয়ার রহমান তাঁর ফুফা এবং ইয়াকুব আলী কবিরাজ তাঁর দাদার ছোট ভাই।
জয়পুরহাট মহকুমায় কয়টি থানা ছিল—আসামিপক্ষের আইনজীবীর এই প্রশ্নে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনি ও সাক্ষী একই এলাকার মানুষ, তবু কেন এসব জিজ্ঞাসা করছেন? এগুলো দ্বিতীয় শ্রেণীর কোনো ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
পরে আইনজীবী জানতে চান, সাক্ষী আক্কেলপুর রেলস্টেশনের বিশ্রামাগারের পেছনের জানালা দিয়ে বন্ধু সালামের সঙ্গে কথা বলার সময় কেউ দেখেনি? এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, এটা কি কারও দায়িত্ব যে ওই সময় তিনি (সাক্ষী) কী করছেন, তা উঁকি দিয়ে দেখবেন?
এ পর্যায়ে মধ্যাহ্নবিরতি হয়। বিরতির পর ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে আসামিপক্ষের আইনজীবী খলিলুর রহমান বলেন, তিনি অসুস্থ বোধ করছেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁকে বিশ্রাম নিতে বলেন এবং আজ বুধবার পর্যন্ত এই মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেন।
দেশের অভ্যন্তরে কোন কোন ক্যাম্পে আক্রমণ করেছেন— আইনজীবীর এই প্রশ্নে সাক্ষী বলেন, তিনি একাত্তরের এপ্রিল মাসে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এবং তুলিডাঙ্গা নদীর ওপর কাঠের সেতু ভেঙে ফেলেন। পরে তিনি সংগ্রাম কমিটির ডাকে ১৯ এপ্রিল পাঁচবিবিতে যান।
ঘোড়াঘাট থেকে পাকিস্তানি সেনারা কীভাবে পাঁচবিবি গিয়েছিল এবং সেখানে কী হয়েছিল—এই প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী বলেন, ২০ এপ্রিল ঘোড়াঘাট থেকে পাকিস্তানি সেনারা তাদের বাহনে করে পাঁচবিবিতে এসেছিল। আবদুল আলীম ও তাঁর দোসর পাঁচবিবির জয়বারের নেতৃত্বে পাঁচবিবিতে আক্রমণ করা হয়। ওই আক্রমণের সময় আপনি কোথায় ছিলেন—এই প্রশ্নে তিনি বলেন, তিনি পাঁচবিবি গার্লস স্কুলে ছিলেন।
আইনজীবী জানতে চান, সাক্ষী ২০১০ সালের ডিসেম্বরে জেলা প্রশাসকের চাহিদা মোতাবেক রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্যদের যে তালিকা দিয়েছিলেন, সেখানে কি তাঁর কোনো আত্মীয় আছে? জবাবে সাক্ষী বলেন, ওই তালিকায় থাকা শান্তি কমিটির সদস্য মকবুল কবিরাজ তাঁর দূর সম্পর্কের চাচা, মতিয়ার রহমান তাঁর ফুফা এবং ইয়াকুব আলী কবিরাজ তাঁর দাদার ছোট ভাই।
জয়পুরহাট মহকুমায় কয়টি থানা ছিল—আসামিপক্ষের আইনজীবীর এই প্রশ্নে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনি ও সাক্ষী একই এলাকার মানুষ, তবু কেন এসব জিজ্ঞাসা করছেন? এগুলো দ্বিতীয় শ্রেণীর কোনো ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
পরে আইনজীবী জানতে চান, সাক্ষী আক্কেলপুর রেলস্টেশনের বিশ্রামাগারের পেছনের জানালা দিয়ে বন্ধু সালামের সঙ্গে কথা বলার সময় কেউ দেখেনি? এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, এটা কি কারও দায়িত্ব যে ওই সময় তিনি (সাক্ষী) কী করছেন, তা উঁকি দিয়ে দেখবেন?
এ পর্যায়ে মধ্যাহ্নবিরতি হয়। বিরতির পর ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে আসামিপক্ষের আইনজীবী খলিলুর রহমান বলেন, তিনি অসুস্থ বোধ করছেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁকে বিশ্রাম নিতে বলেন এবং আজ বুধবার পর্যন্ত এই মামলার কার্যক্রম মুলতবি করেন।
No comments