আজ ইউনিকের শুরু অর্ধেক দরে টাকা ফেরত দিচ্ছে লঙ্কাবাংলা by তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু
প্লেসমেন্টের মাধ্যমে শেয়ার বিক্রি করা কম্পানিগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি ইতিমধ্যেই আইপিওর (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যে দরে প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে আইপিওতে শেয়ারের দর নির্ধারিত হয়েছে তার চেয়ে অনেক কম।
প্লেসমেন্টে ১৬০ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করা হলেও ৭৫ টাকা দরে আইপিওতে আসার অনুমতি পায় ইউনিক হোটেল। আজ সোমবার থেকে কম্পানিটির শেয়ার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হবে। ফলে প্লেসমেন্টে যাঁরা শেয়ার কিনেছেন তাঁরা শুরুতেই প্রতি শেয়ারে ৮৫ টাকা করে লোকসানে পড়ছেন।
একইভাবে ৭০ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহ করলেও আইপিওতে ৪০ টাকা দর পেয়েছে জিবিবি পাওয়ার। অতিরিক্ত প্রিমিয়াম নির্ধারণ করায় এসটিএস হোল্ডিংসের আবেদন বাতিল করেছে এসইসি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, লঙ্কাবাংলা, জিএমজি এয়ারলাইনসহ সাত কম্পানির প্রাইভেট প্লেসমেন্ট শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের এক হাজার ২০০ কোটি টাকা আটকে রয়েছে। এর মধ্যে লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ হাউস আইপিওর আবেদন নাকচ হওয়ার পর প্লেসমেন্ট শেয়ারের টাকা ফেরত দেওয়া শুরু করেছে। গত ১০ জুন প্রতিষ্ঠানটি কাজী ফিরোজ রশীদ সিকিউরিটিজকে ৫১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ফেরত দেয়। দুই বছর আগে লঙ্কাবাংলার ২০ হাজার শেয়ার কেনেন কাজী ফিরোজ রশীদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফিরোজ রশীদ। ১০ টাকা ফেসভ্যালুর শেয়ার প্রিমিয়ামসহ তিনি কেনেন ২৫০ টাকা দরে। কাজী ফিরোজ রশীদ সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জামিল মাশরুর মিলার টাকা প্রাপ্তির বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া মার্চেন্ট সিকিউরিটিজের এক কোটি টাকা লঙ্কাবাংলা ফেরত দিয়েছে বলে ডিএসইর একজন পরিচালক কালের কণ্ঠকে জানান।
সদস্য প্রতিষ্ঠান হওয়ায় ডিএসই কর্তৃপক্ষের আপত্তির মুখে গত বছরের শেষদিকে লঙ্কাবাংলার আইপিওর আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়। এরপর এর প্রাইভেট প্লেসমেন্টের শেয়ারধারীদের চাপে পড়ে যায় লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ। প্রভাবশালীদের চাপের মুখে টাকা ফেরত দিলেও অধিকাংশ প্লেসমেন্টধারী টাকা ফেরত পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে জিএমজি এয়ারলাইনসের প্লেসমেন্টের টাকা ফেরত পাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই বললেই চলে। কেননা এরই মধ্যে এয়ারলাইনসের ব্যবসা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কম্পানি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিতও হয়েছে। ১০ টাকার শেয়ারের বিপরীতে ২৪০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ। কম্পানিটি প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৫০ লাখ শেয়ার বিক্রি করেছে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ছয় কোটি শেয়ার বিক্রি করে ৩০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে জিএমজি এয়ারলাইনস। কম্পানিটি শেয়ারপ্রতি প্রিমিয়াম নেয় ৪০ টাকা।
এ ছাড়া ওরিয়ন ফার্মা প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সাত কোটি শেয়ার বিক্রি করে ৫২৫ কোটি টাকা তোলে। কম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের জন্য ৬৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ মোট ৭৫ টাকা সংগ্রহ করে। ইউনিক হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টস তিন কোটি শেয়ার বিক্রি করে ৪৮০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। তারা ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ১৫০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১৬০ টাকা নেয়। এনার্জি প্রিমা এক কোটি ৫৬ লাখ শেয়ার বিক্রি করে ১৫৫ কোটি ১০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে। কম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে প্রিমিয়াম নেয় ৮৯.৪২ টাকা। এসটিএস হোল্ডিংস (এ্যাপোলো হসপিটালস) আট কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার বিক্রি করে ১৩০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা সংগ্রহ করে। কম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে শেয়ারপ্রতি পাঁচ টাকা প্রিমিয়াম নিয়েছে। এ ছাড়া কেয়া কটন মিলস ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে সমপরিমাণ প্রিমিয়ামসহ ৬০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১২ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এভাবে সাত কম্পানির প্লেসমেন্ট শেয়ারের পেছনে আটকে আছে প্রায় এক হাজার ২০২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। ২০০৯ ও ২০১০ সালে সেকেন্ডারি মার্কেট চাঙ্গা অবস্থার সুযোগ নিয়ে উচ্চ প্রিমিয়ামে শেয়ার বিক্রি করে এসব কম্পানি কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি রকিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রাইভেট প্লেসমেন্টে শেয়ারবাজারের বিপুল টাকা আটকে রয়েছে। দ্রুত এসব কম্পানির আইপিওর অনুমোদন দিয়ে সেকেন্ডারি মার্কেটে ছাড়তে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে কম্পানির মৌল ভিত্তি আগে বিবেচনা করা দরকার। এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রিমিয়াম নেওয়া কম্পানিগুলোর প্রিমিয়াম পুনর্নির্ধারণ করে সঠিক দর নির্ধারণ করতে হবে।
এসব প্রসঙ্গে এসইসির সদস্য আরিফ খান গতকাল রবিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিভিন্ন কম্পানির প্রাইভেট প্লেসমেন্টে বিপুল পরিমাণ টাকা আটকে আছে, যা শেয়ারবাজারের তারল্য সংকটকে বাড়িয়ে তুলেছে। আমরা চেষ্টা করছি, যেসব প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত আর্থিক মৌল ভিত্তি ভালো, তাদের শেয়ার যথাযথ মূল্যে শেয়ারবাজারে ছাড়তে।' তিনি আরো বলেন, 'ইতিমধ্যে আমরা ইউনিক হোটেলের আইপিওর অনুমোদন দিয়েছি। ওরিয়ন ফার্মাসহ আরো কয়েকটি কম্পানি পাইপলাইনে রয়েছে।' তবে জিএমজি এয়ারলাইনস আইপিওর জন্য কোনো আবেদনই করেনি বলে জানান তিনি। আরিফ খান জানান, কম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকার বেশি হওয়ায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে, কম্পানি রিফর্ম করবে। এয়ারলাইনস ব্যবসা আর করবে না।
এসইসির এই সদস্য জানান, ৫০ কোটি টাকার বেশি মূলধন হলে যেকোনো কম্পানিকে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য এসইসি চিঠি দিতে পারে। তবে শাস্তি দিতে পারে না। তিনি আরো বলেন, পুনর্গঠিত এসইসি প্রাইভেট প্লেসমেন্ট নিয়ে নীতিমালা করেছে। এই নীতিমালার আওতায় কোনো কম্পানির ১০০ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বেশি প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করতে পারবে না।
উল্লেখ্য, ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত প্রতিবেদনে প্রি-আইপিও প্রাইভেট প্লেসমেন্ট শেয়ারের অবৈধ লেনদেন নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, মূল শেয়ারবাজারের বাইরে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার প্রাইভেট প্লেসমেন্ট বিক্রি করতে কার্ব মার্কেট গড়ে ওঠে। বেসামরিক-সামরিক আমলাসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই কার্ব মার্কেটে প্রাইভেট প্লেসমেন্ট শেয়ার বেচাকেনায় জড়িত হয়ে পড়েন। অনেককে ঘুষ হিসেবে প্লেসমেন্ট শেয়ার উপঢৌকন দেওয়া হয়।
একইভাবে ৭০ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহ করলেও আইপিওতে ৪০ টাকা দর পেয়েছে জিবিবি পাওয়ার। অতিরিক্ত প্রিমিয়াম নির্ধারণ করায় এসটিএস হোল্ডিংসের আবেদন বাতিল করেছে এসইসি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, লঙ্কাবাংলা, জিএমজি এয়ারলাইনসহ সাত কম্পানির প্রাইভেট প্লেসমেন্ট শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের এক হাজার ২০০ কোটি টাকা আটকে রয়েছে। এর মধ্যে লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ হাউস আইপিওর আবেদন নাকচ হওয়ার পর প্লেসমেন্ট শেয়ারের টাকা ফেরত দেওয়া শুরু করেছে। গত ১০ জুন প্রতিষ্ঠানটি কাজী ফিরোজ রশীদ সিকিউরিটিজকে ৫১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ফেরত দেয়। দুই বছর আগে লঙ্কাবাংলার ২০ হাজার শেয়ার কেনেন কাজী ফিরোজ রশীদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফিরোজ রশীদ। ১০ টাকা ফেসভ্যালুর শেয়ার প্রিমিয়ামসহ তিনি কেনেন ২৫০ টাকা দরে। কাজী ফিরোজ রশীদ সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জামিল মাশরুর মিলার টাকা প্রাপ্তির বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া মার্চেন্ট সিকিউরিটিজের এক কোটি টাকা লঙ্কাবাংলা ফেরত দিয়েছে বলে ডিএসইর একজন পরিচালক কালের কণ্ঠকে জানান।
সদস্য প্রতিষ্ঠান হওয়ায় ডিএসই কর্তৃপক্ষের আপত্তির মুখে গত বছরের শেষদিকে লঙ্কাবাংলার আইপিওর আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়। এরপর এর প্রাইভেট প্লেসমেন্টের শেয়ারধারীদের চাপে পড়ে যায় লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ। প্রভাবশালীদের চাপের মুখে টাকা ফেরত দিলেও অধিকাংশ প্লেসমেন্টধারী টাকা ফেরত পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে জিএমজি এয়ারলাইনসের প্লেসমেন্টের টাকা ফেরত পাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই বললেই চলে। কেননা এরই মধ্যে এয়ারলাইনসের ব্যবসা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কম্পানি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিতও হয়েছে। ১০ টাকার শেয়ারের বিপরীতে ২৪০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ। কম্পানিটি প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৫০ লাখ শেয়ার বিক্রি করেছে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ছয় কোটি শেয়ার বিক্রি করে ৩০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে জিএমজি এয়ারলাইনস। কম্পানিটি শেয়ারপ্রতি প্রিমিয়াম নেয় ৪০ টাকা।
এ ছাড়া ওরিয়ন ফার্মা প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সাত কোটি শেয়ার বিক্রি করে ৫২৫ কোটি টাকা তোলে। কম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের জন্য ৬৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ মোট ৭৫ টাকা সংগ্রহ করে। ইউনিক হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টস তিন কোটি শেয়ার বিক্রি করে ৪৮০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। তারা ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ১৫০ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১৬০ টাকা নেয়। এনার্জি প্রিমা এক কোটি ৫৬ লাখ শেয়ার বিক্রি করে ১৫৫ কোটি ১০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে। কম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে প্রিমিয়াম নেয় ৮৯.৪২ টাকা। এসটিএস হোল্ডিংস (এ্যাপোলো হসপিটালস) আট কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার বিক্রি করে ১৩০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা সংগ্রহ করে। কম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে শেয়ারপ্রতি পাঁচ টাকা প্রিমিয়াম নিয়েছে। এ ছাড়া কেয়া কটন মিলস ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে সমপরিমাণ প্রিমিয়ামসহ ৬০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১২ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এভাবে সাত কম্পানির প্লেসমেন্ট শেয়ারের পেছনে আটকে আছে প্রায় এক হাজার ২০২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। ২০০৯ ও ২০১০ সালে সেকেন্ডারি মার্কেট চাঙ্গা অবস্থার সুযোগ নিয়ে উচ্চ প্রিমিয়ামে শেয়ার বিক্রি করে এসব কম্পানি কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি রকিবুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রাইভেট প্লেসমেন্টে শেয়ারবাজারের বিপুল টাকা আটকে রয়েছে। দ্রুত এসব কম্পানির আইপিওর অনুমোদন দিয়ে সেকেন্ডারি মার্কেটে ছাড়তে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে কম্পানির মৌল ভিত্তি আগে বিবেচনা করা দরকার। এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রিমিয়াম নেওয়া কম্পানিগুলোর প্রিমিয়াম পুনর্নির্ধারণ করে সঠিক দর নির্ধারণ করতে হবে।
এসব প্রসঙ্গে এসইসির সদস্য আরিফ খান গতকাল রবিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিভিন্ন কম্পানির প্রাইভেট প্লেসমেন্টে বিপুল পরিমাণ টাকা আটকে আছে, যা শেয়ারবাজারের তারল্য সংকটকে বাড়িয়ে তুলেছে। আমরা চেষ্টা করছি, যেসব প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত আর্থিক মৌল ভিত্তি ভালো, তাদের শেয়ার যথাযথ মূল্যে শেয়ারবাজারে ছাড়তে।' তিনি আরো বলেন, 'ইতিমধ্যে আমরা ইউনিক হোটেলের আইপিওর অনুমোদন দিয়েছি। ওরিয়ন ফার্মাসহ আরো কয়েকটি কম্পানি পাইপলাইনে রয়েছে।' তবে জিএমজি এয়ারলাইনস আইপিওর জন্য কোনো আবেদনই করেনি বলে জানান তিনি। আরিফ খান জানান, কম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকার বেশি হওয়ায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে, কম্পানি রিফর্ম করবে। এয়ারলাইনস ব্যবসা আর করবে না।
এসইসির এই সদস্য জানান, ৫০ কোটি টাকার বেশি মূলধন হলে যেকোনো কম্পানিকে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য এসইসি চিঠি দিতে পারে। তবে শাস্তি দিতে পারে না। তিনি আরো বলেন, পুনর্গঠিত এসইসি প্রাইভেট প্লেসমেন্ট নিয়ে নীতিমালা করেছে। এই নীতিমালার আওতায় কোনো কম্পানির ১০০ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বেশি প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করতে পারবে না।
উল্লেখ্য, ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত প্রতিবেদনে প্রি-আইপিও প্রাইভেট প্লেসমেন্ট শেয়ারের অবৈধ লেনদেন নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, মূল শেয়ারবাজারের বাইরে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার প্রাইভেট প্লেসমেন্ট বিক্রি করতে কার্ব মার্কেট গড়ে ওঠে। বেসামরিক-সামরিক আমলাসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই কার্ব মার্কেটে প্রাইভেট প্লেসমেন্ট শেয়ার বেচাকেনায় জড়িত হয়ে পড়েন। অনেককে ঘুষ হিসেবে প্লেসমেন্ট শেয়ার উপঢৌকন দেওয়া হয়।
No comments