টেলিফোনে নাগরিক মন্তব্য-ঋণচুক্তি বাতিল দুঃখজনক

দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে ঋণচুক্তি বাতিল করেছে বিশ্বব্যাংক। ২০১১ সালের এপ্রিলে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। চুক্তি বাতিলের বিষয়ে মতামত জানিয়েছেন পাঠকরা। গ্রন্থনা একরামুল হক শামীম ও রানা আব্বাস


শহীদ উল্লাহ চৌধুরী বাবলু
ব্যবসায়ী, লালখান বাজার, চট্টগ্রাম
কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছাড়া সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটা অনৈতিক কাজ। যেখানে এক টাকাও ছাড় দেয়নি বিশ্বব্যাংক, সেখানে দুর্নীতির প্রশ্ন কীভাবে আসে?
সুলতান আহমেদ
সংবাদপত্র হকার, কানাইঘাট, সিলেট
বাংলাদেশের জন্য এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এখানে বিশ্বব্যাংকের ভূমিকাও আমাদের কাছে ভালো লাগেনি। বিশ্বব্যাংকের তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিত। সরকারের উচিত হবে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা করে এর একটা সুরাহা করা।
মো. বেলাল হোসেন
চাকরিজীবী, নারায়ণগঞ্জ
চুক্তি বাতিল ঠিকই আছে। কাজে স্বচ্ছতা না থাকলে টাকা বিনিয়োগ করা বোকামি।
সত্যজিৎ রায়
ব্যবসায়ী, গলাচিপা, পটুয়াখালী
ব্যাপারটা জেনে খুব কষ্ট লাগল। পদ্মা সেতু হলে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হতো।
নাসির উদ্দিন
চাকরিজীবী, মানিকগঞ্জ
যেহেতু দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতুর চুক্তি বাতিল হয়েছে, সেহেতু বিশ্বব্যাংকের ঋণ বাতিল হয়েছে। বিশ্বব্যাংক প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং দুদককে দুর্নীতির প্রসঙ্গে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করেছে। কিন্তু সরকার থেকে সে রকম কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
শেখ মিলন
শিক্ষার্থী, ঝালকাঠি
শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদে চমক দেখিয়েছিলেন, এখন মন্ত্রীরা আমাদের চমক দেখাচ্ছেন। মন্ত্রীর ব্যর্থতা ও দুর্নীতির দায়ে পদ্মা সেতুর ঋণচুক্তি বাতিল হলো। দক্ষিণবঙ্গের মানুষের স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার উপক্রম। আমরা আশা করব, দুর্নীতির তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
দেবাশীষ দত্ত
চাকরিজীবী, চট্টগ্রাম
এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এর ফলে বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হলো। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখা জরুরি।
লক্ষ্মীকান্ত চৌধুরী
ব্যবসায়ী, রাউজান, চট্টগ্রাম
পদ্মা সেতু নিয়ে যা কিছু ঘটে গেল তার জন্য ড. ইউনূস ও বিরোধী দল দায়ী। ড. ইউনূসের সঙ্গে যখন থেকেই সরকারের সমস্যা তৈরি হয়েছে তখন থেকেই চুক্তি নিয়ে সমস্যা শুরু হয়েছে।
মোস্তফা কামাল
সমাজসেবক, কুমিল্লা
আমি মনে করি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটু সৎ চিন্তা করলে, সচেতন হলে দুর্নীতির কোনো অভিযোগই উঠবে না। আশা করছি, সরকার এ ব্যাপারে কৌশলী ভূমিকা পালন করবে এবং বিশ্বব্যাংক চুক্তিটি পুনর্বিবেচনা করবে।
মাহমুদুল হাসান
চাকরিজীবী, টিকাটুলী, ঢাকা
যে মন্ত্রীর বা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ঋণচুক্তি অন্য কোনো কারণে বাতিল হয়নি, বাতিল হয়েছে দুর্নীতির কারণে। এটা বাংলাদেশের জন্য মানহানিকর।
এস সাদের হোসেন
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, শ্যামলী, ঢাকা
বিশ্বব্যাংকের এই খামখেয়ালিপূর্ণ সিদ্ধান্তে আমরা মর্মাহত। এই ধরনের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া অন্যায়।
ওয়াসিফ আহমেদ
ব্যবসায়ী, নোয়াখালী
বিশ্বব্যাংক কাজটি ঠিক করেনি। সরকারের অন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কোনো ধরনের দুর্নীতি হয়ে থাকলে সরকারের উচিত তা তুলে ধরা।
শেখ মোহাম্মদ আলী
ব্যবসায়ী, তালতলা বাজার, মুন্সীগঞ্জ
পদ্মা সেতুর ঋণচুক্তি বাতিল হয়েছে, এটা দুঃখজনক। বিশ্বব্যাংক এখনও দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারেনি। বাংলাদেশ সরকারের উচিত তদন্ত শেষ করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া।
শহীদুল ইসলাম
কৃষক, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল
বিশ্বব্যাংক যে ঋণচুক্তি বাতিল করল, তার পেছনে কি কোনোই কারণ নেই? দায়ীদের শাস্তি হওয়া উচিত।
আবু বকর
চাকরিজীবী, বাগেরহাট
পদ্মা সেতু না হলে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ সমস্যায় পড়বে। সরকারের উচিত ব্যবস্থা নেওয়া।
মো. হামিদ খান
ব্যবসায়ী, বাবুগঞ্জ, বরিশাল
বাংলাদেশের জন্য এটি দুঃখজনক ঘটনা। দুর্নীতি হয়নি তা প্রমাণ করতে জাতীয় কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ভূমিকা রাখতে পারত। তেমনটা করা হয়নি। এটা রাষ্ট্রেরই ব্যর্থতা।
কুমারেশ চন্দ্র বিশ্বাস
শ্রমিকলীগ কর্মী, ঝিনাইদহ টার্মিনাল, ঝিনাইদহ
শেখ হাসিনা সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পদ্মা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে সেটা ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় কিছু অশুভ শক্তি পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন নষ্ট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎসংখ্যক মানুষ পদ্মা সেতু নির্মাণ হলে ব্যাপক উপকৃত হবে। এ জন্য সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ, কে সাহায্য বন্ধ করল, কে সাহায্য দিল না এ বিষয়টি বড় নয়, বরং পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে হবে এটাই বড় কথা। এর প্রেক্ষাপটে যা কিছু করা দরকার তা করে পদ্মা সেতু নির্মিত হোক। আমরা চাই এই সরকারের আমলেই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি পূরণ হোক।
সৈয়দ আহমেদ
চাকরিজীবী, ঢাকা
পদ্মা সেতু ঋণচুক্তি যাদের কারণে বাতিল হলো তাদের নাম প্রকাশ করা হোক। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
প্রসিত বিশ্বাস
শিক্ষার্থী, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ
যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাদের বিচার করা উচিত।
জোবায়ের ইসলাম
দোকানদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
এতে সরকারের ব্যর্থতার পরিচয় পাওয়া গেল। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে কাজের কোনো মিল নেই।
হুমায়ুন কবির
ব্যবসায়ী, গাউছিয়া মার্কেট, ঢাকা
বিশ্বব্যাংক যেভাবে চুক্তি বাতিল করেছে, তাতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আমি আশা করছি, সরকার নিরপেক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
দুর্জয় ফরাজী
ব্যবসায়ী, কলাবাগান, ঢাকা
বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার বড় দলিল বিশ্বব্যাংকের পদ্মা সেতু ঋণচুক্তি বাতিল।
মো. শাহেদ
ব্যবসায়ী, লালবাগ, ঢাকা
এ ঋণচুক্তি বাতিল হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই দায়ী। বিশ্বব্যাংক যখন অভিযোগ উঠাল ঠিক তখনই যদি অভিযুক্ত সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনকে সরিয়ে দেওয়া হতো, তাহলে দেশের আজ এত বড় ক্ষতি হতো না।
জাহিদ হাসান
শিক্ষার্থী, এমএম কলেজ, যশোর
এটা পুরো জাতির জন্য কলঙ্কজনক ঘটনা।
জাকির হোসেন
চালক, নীলপুর, হবিগঞ্জ
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যাতে সম্পর্ক ছিন্ন না হয়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। কয়েকজন মানুষের দুর্নীতির দায় গোটা দেশের মানুষ বহন করতে পারে না। এ ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের শাস্তি পেতে হবে।
আবদুল্লাহ আল নোমান
শিক্ষার্থী, ডামুড্যা, শরীয়তপুর
বিশ্বব্যাংকের এমন সিদ্ধান্তে অন্য দাতা সংস্থাগুলোও পিছিয়ে যেতে পারে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে বড় প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
বিমল কান্তি বড়ূয়া
চাকরিজীবী, পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম
কয়েকজন রাজনীতিকের কারণে আমাদের এত বড় ক্ষতি হলো। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
মো. রফিক
চাকরিজীবী, মধুপুর, টাঙ্গাইল
কতিপয় ব্যক্তি দুর্নীতি করেছে। এর একটা সমাধান করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে এমন জঘন্য কাজ কেউ না করতে পারে।
মো. নুরুজ্জামান
ব্যবসায়ী, শার্শা, যশোর
এ ঋণচুক্তি বাতিল হওয়ায় আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হলো!
রবিতোষ সরকার
ব্যবসায়ী, মৌগাছি বাজার, রাজশাহী
পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। এ ঘটনায় আমরা ভীষণ মর্মাহত। ড. ইউনূস ইস্যুতে এটা বাতিল হলো কিনা সেটা ভেবে দেখার অবকাশ রয়েছে।
মো. ইমাম আলী
চাকরিজীবী, আহমেদপুর, নাটোর
বিশ্বব্যাংকের পদ্মা সেতু বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ।
ফারুক আহমেদ
সাংবাদিক, রাজশাহী
এ সরকারই পারবে পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে। বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি বাতিল করেছে তাতে কী! এখন দেশের অভ্যন্তরীণ খাত কিংবা অন্য দেশের সহায়তায় পদ্মা সেতু করা যুক্তিযুক্ত মনে করি।
মো. শাহাবুল ইসলাম
চাকরিজীবী, নাটোর
দেশের এত বড় অপবাদ মোচনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ_ দুর্নীতি রোধ করুন, দেশ বাঁচান।
আলতাব উদ্দিন
ব্যবসায়ী, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সরকারের জন্য এটি লজ্জাজনক ব্যাপার। দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। নতুবা অন্যান্য দাতা সংস্থাও আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
মো. মোরশেদ আলম
গ্রাম্য চিকিৎসক, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম
চারদিক শুধু দুর্নীতি আর দুর্নীতি। এ অবস্থায় বর্তমান সরকারের পক্ষে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব নয়।
মো. গোফরান মোস্তাক খান
শিক্ষক, বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
এটি জাতির জন্য দুঃখজনক ও কলঙ্কজনক অধ্যায়। এ সরকারের উচিত যে কোনো উপায়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা এবং বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ সুষ্ঠুভাবে খতিয়ে দেখা।
খোকন আহমেদ
ব্যবসায়ী, বেলাব, নরসিংদী
সরকারের উচিত হবে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসা। এতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
মো. আনোয়ার হোসেন
শিক্ষার্থী, বিয়ানীবাজার, সিলেট
সরকারের সদিচ্ছার অভাবে বিশ্বব্যাংক এ ঋণচুক্তি বাতিল করেছে। বিশ্বব্যাংক যখন অভিযোগ তুলেছিল তখনই এটি সরকারের আমলে নেওয়া উচিত ছিল।
মো. ওমর ফারুক বাবর
শিক্ষার্থী, বিক্রমপুর, মানিকগঞ্জ
দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নেয়নি সরকার। যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে প্রমাণসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল।
বাবলু
ব্যবসায়ী, গোপালগঞ্জ
সরকারের যেসব মন্ত্রীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের কারণেই এই সমস্যা হয়েছে।
দুলাল
চালক, দৌলতপুর, মানিকগঞ্জ
পদ্মা সেতুর দুর্নীতি আমাদের জন্য কলঙ্কজনক। দুর্নীতি রোধে কঠোর আইন প্রণয়ন জরুরি।
লিয়াকত হোসেন
শিক্ষার্থী, গৌরনদী, বরিশাল
পদ্মা সেতু জনগণের সঙ্গে সরকারের ভোটের চুক্তি। ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষার জন্য জাতীয় স্বার্থকে বলি দিচ্ছে সরকার। আমাদের রাজনৈতিক দলের দেশাত্মবোধের অভাব রয়েছে।
রেজওয়ান বিশ্বাস
ব্যবসায়ী, ফরিদপুর
দুর্নীতির কারণে যদি অন্য দাতা সংস্থাগুলোও এমন সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে দেশ ভাবমূর্তি সংকটে পড়বে।
আমির হোসেন
ব্যবসায়ী, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল
বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বের করে বিচারের আওতায় আনা উচিত।
জাফর আহমেদ
চাকরিজীবী, রাজবাড়ী
এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
আরিফ হোসেন
কৃষক, জয়পুরহাট
যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহর পাঠানোর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিশ্বব্যাংক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মো. আলী
চাকরিজীবী, হাজারীবাগ, ঢাকা
দুর্নীতির অভিযোগে ঋণচুক্তি বাতিল করেছে বিশ্বব্যাংক। অথচ দুর্নীতি দমন কমিশন বলছে দুর্নীতি হয়নি। যদি ছোটখাটো ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করা উচিত ছিল। এত বড় একটা চুক্তি বাতিল করা উচিত হয়নি।
মিজানুর রহমান সোহেল
শিক্ষার্থী, অফিসপাড়া, মহেশখালী
পদ্মা সেতুর প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার সহযোগিতা না করায় ঋণচুক্তি বাতিল করে দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এটি দুঃখজনক।
কবির খন্দকার
চাকরিজীবী, বনানী, ঢাকা
বিশ্বব্যাংকের এই ঋণ প্রকল্প বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে উঠেছে তারা যতই ক্ষমতাবান হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আমরা চাই না বাংলাদেশের মান-মর্যাদা বিশ্ব দরবারে ক্ষুণ্ন হোক।

আবুল কালাম
চাকরিজীবী, সিলেট
এ সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য। দুর্নীতি হতে পারে আর দুর্নীতি হয়েছে, দুটি এক বিষয় নয়। যেখানে কোনো অর্থ ছাড় দেওয়া হয়নি সেখানে কীভাবে দুর্নীতি হলো? এতে আবারও প্রমাণিত হয় বিশ্বব্যাংক নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত। বিষয়টি নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। এই অবস্থায় চুক্তি বাতিল ঠিক হয়নি।

আলমগীর হোসেন
শিক্ষার্থী, কিশোরগঞ্জ
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি দীর্ঘতম সেতু হতে যাচ্ছিল। কিন্তু এই কাজে দুর্নীতির কালিমা লাগল। পুরো দক্ষিণাঞ্চল এই সেতুর জন্য অপেক্ষা করছিল। কিন্তু সেতুর কাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় জীবনযাত্রার উন্নয়ন পিছিয়ে গেল। সরকার এখনই কোনো পদক্ষেপ না নিলে আগামীতে বৈদেশিক সহায়তার ক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।
 

No comments

Powered by Blogger.