নিবন্ধনহীন কাগজ বাজারে সরকারি প্রতিষ্ঠানও কিনছে
বিএসটিআইয়ের নিবন্ধন ছাড়াই বাজারে কাগজ সরবরাহ করছে কয়েকটি কাগজ উৎপাদক ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। নিম্নমানের এসব কাগজ ব্যবহার হচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠানেও। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বারবার ধরনা দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি স্থানীয় উদ্যোক্তারা।
তাঁদের অভিযোগ, কাগজের মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা সরকারি সংস্থা বিএসটিআইয়ের উদাসীনতায় এমনটি ঘটছে। এ ছাড়া পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে নিবন্ধনহীন প্রতিষ্ঠানের কাগজ কিনে খোদ সরকারি প্রতিষ্ঠানই আইন লঙ্ঘন করছে। স্থানীয় উদ্যোক্তারা বলছেন, যেকোনো পণ্য উৎপাদন ও আমদানির ক্ষেত্রে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) সনদ নেওয়ার বিধান থাকা সত্ত্বেও কিছু প্রতিষ্ঠান তা মানছে না। অথচ এ বিষয়ে বিএসটিআইকে কার্যকর কোনো ভূমিকা নিতেও দেখা যায়নি।
কাগজ উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বলছেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় এ খাতে দীর্ঘদিন ধরেই এমন অবৈধ ব্যবসা চলে আসছে। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী লেখা ও ছাপার সাদা কাগজ আমদানি এবং উৎপাদনের ক্ষেত্রে আকার (সাইজ) ও গুণগত মান যাচাই না করিয়ে অর্থাৎ বিএসটিআইয়ের সিএম (সার্টিফিকেশন মার্কস) নিবন্ধন না নিয়ে বাজারে ছেড়ে দিচ্ছেন কাগজ। অথচ সরকারের জারি করা এসআরও ১৮৭-এল/৮৪ (তাং ২৬-৫-১৯৮৪) অনুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠানের কাগজ সরবরাহের ক্ষেত্রে বিএসটিআইয়ের সিএম নিবন্ধন গ্রহণ বাধ্যতামূলক। হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান সিএম নিবন্ধন ছাড়াই কাগজের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে এ অভিযোগ করে আসছেন প্রকৃত উদ্যোক্তারা। এ বিষয়ে ২০১০ সালের ৮ জুলাই বিএসটিআইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠিও দিয়েছিল দেশের কাগজ উৎপাদক শীর্ষস্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর ৫০ হাজার টন কাগজ ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু এসব সরকারি প্রতিষ্ঠান কাগজ কেনার সময় দরপত্রে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সিএম নিবন্ধন আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে না। এ ধরনের অনিয়মের বিষয়ে প্রকৃত উদ্যোক্তারা বিভিন্ন সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হয়েছেন। এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে একটি চিঠিও দিয়েছিলেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। প্রতিকার না পেয়ে গত মে মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর আরেকটি চিঠি পাঠান তাঁরা। তবে জুন মাস শেষেও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
স্থানীয় কাগজ উৎপাদক প্রতিষ্ঠান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমএ) সাধারণ সম্পাদক নওশেরুল আলম গত শনিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, নিবন্ধনহীন কাগজ সরবরাহের দরুন একদিকে যেমন সরকার নিবন্ধন ফি বাবদ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে যাঁরা অর্থ ও সময় ব্যয় করে নিবন্ধন নিয়েছেন সেই বৈধ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আর মাঝখান দিয়ে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। এ বিষয়ে বারবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এ কে ফজলুল আহাদ বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বর্তমানে ছুটিতে আছেন। তিনি না থাকায় এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ফজলুল আহাদ বলেন, 'সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেব।'
এদিকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা যথেষ্ট যাচাইবাছাই করেই কাগজ কেনেন। বোর্ডের পাঠ্যপুস্তক বিভাগের সদস্য নারায়ণ চন্দ্র পাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে যত ক্রাইটেরিয়া আছে, এর সব পরীক্ষা করেই আমরা কাগজ কিনি। এই কাগজ কেনার ক্ষেত্রে আমরা খুবই গোপনীয়তা বজায় রাখার চেষ্টা করি।' কাগজ কেনার ক্ষেত্রে সিএম লাইসেন্স না দেখার বিষয়টিকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে এ ধরনের অনিয়ম হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
কাগজ উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের মালিকরা বলছেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় এ খাতে দীর্ঘদিন ধরেই এমন অবৈধ ব্যবসা চলে আসছে। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী লেখা ও ছাপার সাদা কাগজ আমদানি এবং উৎপাদনের ক্ষেত্রে আকার (সাইজ) ও গুণগত মান যাচাই না করিয়ে অর্থাৎ বিএসটিআইয়ের সিএম (সার্টিফিকেশন মার্কস) নিবন্ধন না নিয়ে বাজারে ছেড়ে দিচ্ছেন কাগজ। অথচ সরকারের জারি করা এসআরও ১৮৭-এল/৮৪ (তাং ২৬-৫-১৯৮৪) অনুযায়ী কোনো প্রতিষ্ঠানের কাগজ সরবরাহের ক্ষেত্রে বিএসটিআইয়ের সিএম নিবন্ধন গ্রহণ বাধ্যতামূলক। হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান সিএম নিবন্ধন ছাড়াই কাগজের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে এ অভিযোগ করে আসছেন প্রকৃত উদ্যোক্তারা। এ বিষয়ে ২০১০ সালের ৮ জুলাই বিএসটিআইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠিও দিয়েছিল দেশের কাগজ উৎপাদক শীর্ষস্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর ৫০ হাজার টন কাগজ ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু এসব সরকারি প্রতিষ্ঠান কাগজ কেনার সময় দরপত্রে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সিএম নিবন্ধন আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে না। এ ধরনের অনিয়মের বিষয়ে প্রকৃত উদ্যোক্তারা বিভিন্ন সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হয়েছেন। এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে একটি চিঠিও দিয়েছিলেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। প্রতিকার না পেয়ে গত মে মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর আরেকটি চিঠি পাঠান তাঁরা। তবে জুন মাস শেষেও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
স্থানীয় কাগজ উৎপাদক প্রতিষ্ঠান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পেপার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমএ) সাধারণ সম্পাদক নওশেরুল আলম গত শনিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, নিবন্ধনহীন কাগজ সরবরাহের দরুন একদিকে যেমন সরকার নিবন্ধন ফি বাবদ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে যাঁরা অর্থ ও সময় ব্যয় করে নিবন্ধন নিয়েছেন সেই বৈধ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আর মাঝখান দিয়ে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। এ বিষয়ে বারবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এ কে ফজলুল আহাদ বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বর্তমানে ছুটিতে আছেন। তিনি না থাকায় এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ফজলুল আহাদ বলেন, 'সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেব।'
এদিকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা যথেষ্ট যাচাইবাছাই করেই কাগজ কেনেন। বোর্ডের পাঠ্যপুস্তক বিভাগের সদস্য নারায়ণ চন্দ্র পাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে যত ক্রাইটেরিয়া আছে, এর সব পরীক্ষা করেই আমরা কাগজ কিনি। এই কাগজ কেনার ক্ষেত্রে আমরা খুবই গোপনীয়তা বজায় রাখার চেষ্টা করি।' কাগজ কেনার ক্ষেত্রে সিএম লাইসেন্স না দেখার বিষয়টিকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে এ ধরনের অনিয়ম হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
No comments