গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মুনতাসীর মামুনের সাক্ষ্য
একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। তিনি বলেছেন, 'গোলাম আযমরা পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ না করলে হয়তো ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা কম হতো। বাঙালি আরো আগেই বিজয়ী হতে পারত।'
বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গতকাল রবিবার সকালে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
সাক্ষ্য দিতে গিয়ে মুনতাসীর মামুন বলেন, ২৫ মার্চের পর থেকে কোনো কোনো দল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারকে এবং তাদের প্রতিনিধি পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক জান্তা জেনারেল টিক্কা খানকে সহায়তা করছিল। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে তারা টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করেছিল, তখন প্রতিদিনই পাকিস্তানি বাহিনী হত্যাযজ্ঞ, লুটপাট, ধর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছিল। তাদের প্রধান সহযোগী ছিলেন নুরুল আমীন ও গোলাম আযম। তিনি বলেন, রাজাকারসহ শান্তি কমিটির নেতারা তাঁদের বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মীদের উৎসাহ, উদ্দীপনা দিয়েছেন। তাতে মনে হয়েছে, তাঁরা বাঙালিদের হত্যার জন্য লাইসেন্স দিয়েছেন।
মুনতাসীর মামুন বলেন, 'তারা (গোলাম আযমসহ অন্যরা) পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ না করলে হয়ত ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা কম হতো। আমরা হয়ত আরো আগেই বিজয়ী হতে পারতাম।' তিনি বলেন, মূলত পাকস্তানি সহযোগীদের লক্ষ্য ছিল তৎকালীন ক্ষমতার সঙ্গে সংযুক্ত থাকা, সম্পদ লুটের মাধ্যমে আহরণ করা, জনগণকে দমিত করার জন্য হত্যা ও ধর্ষণকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা।
ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন বলেন, 'তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত শান্তি কমিটি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পথ দেখিয়েছে, বাঙালি নারীদের তাদের হাতে তুলে দিয়েছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সদস্য ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষদের হত্যা-ধর্ষণ করেছে। তারা পাকিস্তানি সেনাসদস্যদের প্ররোচনা ও প্রণোদনা দিয়েছিল। আর এসবের নেতৃত্বে ছিলেন গোলাম আযম। এর প্রমাণ আমরা পত্রপত্রিকায় পাই।'
রাজাকার বাহিনীর সূত্রপাত গোলাম আযমের মাধ্যমে : মুনতাসীর মামুন বলেন, রাজাকার বাহিনীর সূত্রপাত হয়েছিল গোলাম আযমের মাধ্যমে। পরে পাকিস্তান সরকার এর একটি আইনি কাঠামো তৈরি করেছিল। আল-বদরের নেতৃত্বে ছিলেন জামায়াতের বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামী। এই গোলাম আযম বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও 'পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন' করেন।
গোলাম আযমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যদিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি ১০ জনের মধ্যে তিনজনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো। এর আগে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এমপির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
গোলাম আযমের পক্ষে ২৯৩৯ সাক্ষীর তালিকা : এদিকে গোলাম আযমের পক্ষে সাক্ষী হিসেবে দুই হাজার ৯৩৯ জনের নামের তালিকা গতকাল ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছেন তাঁর আইনজীবী। সঙ্গে তিনি ১০টি সিডি, ছয় হাজার পৃষ্ঠার ১২ খণ্ডের নথিপত্র জমা দেন। সাক্ষীর তালিকায় ন্যাটোর সাবেক কমান্ডার ইন চিফ (অ্যালাইড ফোর্স নর্দার্ন রিজিয়ন) জেনারেল স্যার জ্যাক ডেভারেলের নাম রয়েছে। এ ছাড়া আয়ারল্যান্ডের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (গ্যালওয়ে) আইন অনুষদের প্রফেসর উইলিয়াম এ সাবাজের নামও রয়েছে।
সহযোগী বাহিনীতে জামায়াতের প্রাধান্য ছিল : গতকাল সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মুনতাসীর মামুন প্রথমেই নিজের পরিচয় দেন। পরে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল-মালুমের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মাধ্যমে তিনি জবানবন্দি পেশ করেন। তিনি বলেন, মার্চ মাসে যেসব রাজনৈতিক দল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারকে সমর্থন করেছিল এর মধ্যে অন্যতম হলো জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগের বিভিন্ন অংশ, পিডিপি এবং আরো কিছু দলের শাখা। তবে জামায়াত ও মুসলিম লীগের ভূমিকাই ছিল বেশি। তখন এ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান ছিলেন নুরুল আমীন ও গোলাম আযম। তিনি বলেন, তাঁদের পরামর্শেই শান্তি কমিটি গঠিত হয়। শান্তি কমিটি পরে দুই ভাগ হলেও খাজা খয়েরউদ্দিন ও গোলাম আযমের নেতৃত্বে শান্তি কমিটি প্রাধান্য বিস্তার করেছিল। তারা পাকিস্তানি সেনাদের সহায়তা পেয়েছিল। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত শান্তি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে গঠন করা হয় রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস বাহিনী। এসব বাহিনীতে জামায়াতের লোকদেরই প্রাধান্য ছিল।
ধর্ষিতার সংখ্যা চার লাখের বেশি : মুনতাসীর মামুন বলেন, 'দেশজুড়ে অসংখ্য যে বধ্যভূমি পাওয়া গেছে, তাতে আমার ধারণা ১৯৭১ সালে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ শহীদ হয়েছিলেন। অনেককে হত্যা করে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল, অনেকের গণকবরে স্থান হয়নি।' তিনি আরো বলেন, 'আমি বিশেষ করে নারী নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরতে চাই। আমার কাছে যেসব কাগজ আছে, তাতে দেখা যায়, ১৩ থেকে ২০ বছর বয়সী মেয়েদের ধরে নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল রাজাকাররা। বলা হয়, ধর্ষিতার সংখ্যা চার লাখ। কিন্তু আসল সংখ্যা এর চেয়ে বেশি। আমি এসব কথা মনে করতে চাই না।'
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের জবানবন্দি শেষ হওয়ার পর তাঁকে জেরা করেন গোলাম আযমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম।
এর আগে গোলাম আযমকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে দুপুর ১২টায় তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ বলে আবার হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
নিজামীর বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন পিছিয়েছে : অপরদিকে দিনভর গোলাম আযমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলায় একই ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য গতকাল উপস্থাপন করা যায়নি। আগামী ৮ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
সাক্ষ্য দিতে গিয়ে মুনতাসীর মামুন বলেন, ২৫ মার্চের পর থেকে কোনো কোনো দল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারকে এবং তাদের প্রতিনিধি পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক জান্তা জেনারেল টিক্কা খানকে সহায়তা করছিল। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে তারা টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করেছিল, তখন প্রতিদিনই পাকিস্তানি বাহিনী হত্যাযজ্ঞ, লুটপাট, ধর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছিল। তাদের প্রধান সহযোগী ছিলেন নুরুল আমীন ও গোলাম আযম। তিনি বলেন, রাজাকারসহ শান্তি কমিটির নেতারা তাঁদের বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মীদের উৎসাহ, উদ্দীপনা দিয়েছেন। তাতে মনে হয়েছে, তাঁরা বাঙালিদের হত্যার জন্য লাইসেন্স দিয়েছেন।
মুনতাসীর মামুন বলেন, 'তারা (গোলাম আযমসহ অন্যরা) পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ না করলে হয়ত ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা কম হতো। আমরা হয়ত আরো আগেই বিজয়ী হতে পারতাম।' তিনি বলেন, মূলত পাকস্তানি সহযোগীদের লক্ষ্য ছিল তৎকালীন ক্ষমতার সঙ্গে সংযুক্ত থাকা, সম্পদ লুটের মাধ্যমে আহরণ করা, জনগণকে দমিত করার জন্য হত্যা ও ধর্ষণকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা।
ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন বলেন, 'তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত শান্তি কমিটি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পথ দেখিয়েছে, বাঙালি নারীদের তাদের হাতে তুলে দিয়েছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সদস্য ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষদের হত্যা-ধর্ষণ করেছে। তারা পাকিস্তানি সেনাসদস্যদের প্ররোচনা ও প্রণোদনা দিয়েছিল। আর এসবের নেতৃত্বে ছিলেন গোলাম আযম। এর প্রমাণ আমরা পত্রপত্রিকায় পাই।'
রাজাকার বাহিনীর সূত্রপাত গোলাম আযমের মাধ্যমে : মুনতাসীর মামুন বলেন, রাজাকার বাহিনীর সূত্রপাত হয়েছিল গোলাম আযমের মাধ্যমে। পরে পাকিস্তান সরকার এর একটি আইনি কাঠামো তৈরি করেছিল। আল-বদরের নেতৃত্বে ছিলেন জামায়াতের বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামী। এই গোলাম আযম বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও 'পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন' করেন।
গোলাম আযমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যদিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি ১০ জনের মধ্যে তিনজনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো। এর আগে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এমপির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
গোলাম আযমের পক্ষে ২৯৩৯ সাক্ষীর তালিকা : এদিকে গোলাম আযমের পক্ষে সাক্ষী হিসেবে দুই হাজার ৯৩৯ জনের নামের তালিকা গতকাল ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছেন তাঁর আইনজীবী। সঙ্গে তিনি ১০টি সিডি, ছয় হাজার পৃষ্ঠার ১২ খণ্ডের নথিপত্র জমা দেন। সাক্ষীর তালিকায় ন্যাটোর সাবেক কমান্ডার ইন চিফ (অ্যালাইড ফোর্স নর্দার্ন রিজিয়ন) জেনারেল স্যার জ্যাক ডেভারেলের নাম রয়েছে। এ ছাড়া আয়ারল্যান্ডের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (গ্যালওয়ে) আইন অনুষদের প্রফেসর উইলিয়াম এ সাবাজের নামও রয়েছে।
সহযোগী বাহিনীতে জামায়াতের প্রাধান্য ছিল : গতকাল সাক্ষীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মুনতাসীর মামুন প্রথমেই নিজের পরিচয় দেন। পরে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল-মালুমের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মাধ্যমে তিনি জবানবন্দি পেশ করেন। তিনি বলেন, মার্চ মাসে যেসব রাজনৈতিক দল পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারকে সমর্থন করেছিল এর মধ্যে অন্যতম হলো জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগের বিভিন্ন অংশ, পিডিপি এবং আরো কিছু দলের শাখা। তবে জামায়াত ও মুসলিম লীগের ভূমিকাই ছিল বেশি। তখন এ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান ছিলেন নুরুল আমীন ও গোলাম আযম। তিনি বলেন, তাঁদের পরামর্শেই শান্তি কমিটি গঠিত হয়। শান্তি কমিটি পরে দুই ভাগ হলেও খাজা খয়েরউদ্দিন ও গোলাম আযমের নেতৃত্বে শান্তি কমিটি প্রাধান্য বিস্তার করেছিল। তারা পাকিস্তানি সেনাদের সহায়তা পেয়েছিল। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত শান্তি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে গঠন করা হয় রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস বাহিনী। এসব বাহিনীতে জামায়াতের লোকদেরই প্রাধান্য ছিল।
ধর্ষিতার সংখ্যা চার লাখের বেশি : মুনতাসীর মামুন বলেন, 'দেশজুড়ে অসংখ্য যে বধ্যভূমি পাওয়া গেছে, তাতে আমার ধারণা ১৯৭১ সালে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ শহীদ হয়েছিলেন। অনেককে হত্যা করে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল, অনেকের গণকবরে স্থান হয়নি।' তিনি আরো বলেন, 'আমি বিশেষ করে নারী নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরতে চাই। আমার কাছে যেসব কাগজ আছে, তাতে দেখা যায়, ১৩ থেকে ২০ বছর বয়সী মেয়েদের ধরে নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল রাজাকাররা। বলা হয়, ধর্ষিতার সংখ্যা চার লাখ। কিন্তু আসল সংখ্যা এর চেয়ে বেশি। আমি এসব কথা মনে করতে চাই না।'
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের জবানবন্দি শেষ হওয়ার পর তাঁকে জেরা করেন গোলাম আযমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম।
এর আগে গোলাম আযমকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে দুপুর ১২টায় তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ বলে আবার হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
নিজামীর বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন পিছিয়েছে : অপরদিকে দিনভর গোলাম আযমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলায় একই ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য গতকাল উপস্থাপন করা যায়নি। আগামী ৮ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
No comments