স্ত্রীর মর্যাদা পেতে বিষের বোতল হাতে অনশন
শ্বশুর বাড়ির সামনে বিষের বোতল হাতে নিয়ে অনশন করেছেন মণিরামপুরের কলেজ ছাত্রী আঞ্জুমান আরা সাথী। তার দাবি, ‘হয় স্ত্রীর মর্যাদা দাও, নইলে আত্মহত্যা।’
রোববার সকাল থেকে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হাজরাকাটি গ্রামের বজলুর রহমানের বাড়ির সামনে এই অবস্থান শুরু করেছেন কলেজ ছাত্রী সাথী। সাথী উপজেলার আটঘরা গ্রামের মৃত সলিল উদ্দিন মোড়লের মেয়ে।
আঞ্জুমান আরা সাথী বাংলানিউজকে জানান, এ বছর তিনি এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। কেশবপুর কলেজে পড়ার সময় হাজরাকাটি গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে কামরুজ্জামানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়।
প্রায় দু’বছর প্রেমের সম্পর্ক গড়ায় দৈহিক সম্পর্কে । একপর্যায়ে তিনি অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়েন। এরপর বিয়ের জন্য কামরুজ্জামানের উপর চাপ সৃষ্টি করেন সাথী। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্প্রতি কামরুজ্জামান কৌশলে একটি ক্লিনিকে সাথীর গর্ভপাতও ঘটান।
গত ১৫ জুন কামরুজ্জামানকে সাথীর বাড়িতে তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরে ফেলেন এলাকাবাসী। ওই দিন স্থানীয়রা তাদের বিয়ে দিয়ে দেন। কিন্তু এই ঘটনার সূত্র ধরে গত ২৬ জুন কামরুজ্জামানের বাবা আলহাজ বজলুর রহমান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এতে তিনি উল্লেখ করেন, তার ছেলে কামরুজ্জামানকে ফুসলিয়ে নিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর মণিরামপুর থানা পুলিশ বর-কনে উভয়কে থানায় নিয়ে আপোষ মীমাংসা করে দেন ।
এদিকে, শনিবার দুপুরে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থানরত কামরুজ্জামান হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। এরপর কোনো উপায় না পেয়ে রোববার দুপুরে অসহায় সাথী স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে শ্বশুর বাড়িতে যান।
কিন্তু শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিলে তিনি বিষের বোতল নিয়ে ওই বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। তার দাবি, স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তাকে ঘরে তুলে নিতে হবে, অন্যথায় শ্বশুর বাড়ির সামনেই তিনি আত্মহত্যা করবেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রোববার রাত সাড়ে ৮টা) সাথী অনশন অব্যাহত রেখেছেন।
তবে মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হোসেন বাংলানিইজকে জানিয়েছেন, এই ধরণের অনশনের কোনের ঘটনা তাদের জানা নেই। তবে তিনি বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছেন।
No comments