মহাখালীতে যুবলীগ কার্যালয়ে গুলি, তিন নেতা গুলিবিদ্ধ
রাজধানীর মহাখালীতে ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয়ে সন্ত্রাসীরা ঢুকে গতকাল রোববার গুলিবর্ষণ করেছে। এতে ওই ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ (৩২) তিন নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত অপর দুজন হলেন ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলী (৩৪) ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নয়ন হোসেন (৩৩)। জাকিরের পায়ে, আলীর পাঁজরে এবং নয়নের হাতে ও পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
স্থানীয় যুবলীগের কর্মী ও পুলিশ জানিয়েছে, সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এ ঘটনা ঘটেছে। ৮ জুলাই মহানগর উত্তর যুবলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ এ হামলা করে থাকতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে একসঙ্গে কয়েকটি ‘দুম দুম’ শব্দ হয়। এ সময় যুবলীগের কার্যালয়ের চাল থেকে পোষা কবুতরগুলো একসঙ্গে উড়াল দেয়। এতে আশপাশের অনেকে ভেবেছিলেন, টিনের চাল ভেঙে পড়েছে। তখন ওই কার্যালয়ের দুটি দরজার মধ্যে সামনেরটি দিয়ে চার-পাঁচজন যুবক অস্ত্র কোমরে গুঁজতে গুঁজতে বের হয়। ওই যুবকেরা হেঁটে রাস্তা পার হয়ে বক্ষব্যাধি হাসপাতালের দিকে চলে যায়। গুলির পর পর ওই কার্যালয়ে ঢুকেছিলেন এমন একজন বলেন, ওই কার্যালয়ে ঢুকে তিনি দেখতে পান, টেবিলে তিনটি মুঠোফোন ও একটি হেলমেট পড়ে রয়েছে। ঘরে কেউ নেই। মেঝেতে ও কার্যালয়ের পেছনের দরজায় রক্তের দাগ। আহত ব্যক্তিরা পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে গেছেন।
একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাবেক সেনাসদস্য গুলির সময় দাঁড়িয়েছিলেন রেলগেটের কোনায়। তিনি বলেন, শব্দ শুনে মনে হয়েছে, একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র থেকে একসঙ্গে গুলি করা হয়েছে। তিনি রেলগেটের পাশ দিয়ে একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাত দিয়ে পেট চেপে ধরে দৌড়াতে দেখেছেন। পরে ওই লোক রিকশায় ওঠেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাকির ও নয়ন সাংবাদিকদের বলেন, দুপুরে তাঁরা ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় আচমকা পাঁচ-ছয়জন সন্ত্রাসী সেখানে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। হামলাকারীদের কাউকে তাঁরা চেনেন না।
স্থানীয় যুবলীগের কর্মীরা বলেন, ৮ জুলাই মহানগর উত্তর যুবলীগের সম্মেলন। গুলিবিদ্ধ জাকির বনানী থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। তাঁদের ধারণা, একই পদে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী একজন নেতা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
মহাখালী রেলক্রসিংয়ের পাশে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে ঘর তুলে পাশাপাশি ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের কার্যালয় করা হয়েছে। দুই কার্যালয়েরই সামনে ও পেছনে দরজা রয়েছে। পাশেই একাধিক অবৈধ দোকান ও রেস্তোরাঁ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবীর বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে এটা হয়েছে। অনেকে বলেছেন, সংগঠনের আসন্ন সম্মেলনকে বানচাল করতে এটা একটা চেষ্টা হতে পারে। জাকিরের কথিত সেই প্রতিদ্বন্দ্বীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরাও এ রকম শুনেছি। তবে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলতে পারলে বিষয়টি অনেক পরিষ্কার হবে।’
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের সভাপতি আবুল বাশার বলেন, ‘আমরা ঘটনার কোনো কারণ চিহ্নিত করতে পারিনি। আমরা লোক লাগিয়েছি।’ সাধারণ সম্পাদক পদের ওই প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কানে এসেছে। তবে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া তো আমরা কাউকে দায়ী করতে পারি না।’
স্থানীয় যুবলীগের কর্মী ও পুলিশ জানিয়েছে, সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এ ঘটনা ঘটেছে। ৮ জুলাই মহানগর উত্তর যুবলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ এ হামলা করে থাকতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে একসঙ্গে কয়েকটি ‘দুম দুম’ শব্দ হয়। এ সময় যুবলীগের কার্যালয়ের চাল থেকে পোষা কবুতরগুলো একসঙ্গে উড়াল দেয়। এতে আশপাশের অনেকে ভেবেছিলেন, টিনের চাল ভেঙে পড়েছে। তখন ওই কার্যালয়ের দুটি দরজার মধ্যে সামনেরটি দিয়ে চার-পাঁচজন যুবক অস্ত্র কোমরে গুঁজতে গুঁজতে বের হয়। ওই যুবকেরা হেঁটে রাস্তা পার হয়ে বক্ষব্যাধি হাসপাতালের দিকে চলে যায়। গুলির পর পর ওই কার্যালয়ে ঢুকেছিলেন এমন একজন বলেন, ওই কার্যালয়ে ঢুকে তিনি দেখতে পান, টেবিলে তিনটি মুঠোফোন ও একটি হেলমেট পড়ে রয়েছে। ঘরে কেউ নেই। মেঝেতে ও কার্যালয়ের পেছনের দরজায় রক্তের দাগ। আহত ব্যক্তিরা পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে গেছেন।
একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাবেক সেনাসদস্য গুলির সময় দাঁড়িয়েছিলেন রেলগেটের কোনায়। তিনি বলেন, শব্দ শুনে মনে হয়েছে, একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র থেকে একসঙ্গে গুলি করা হয়েছে। তিনি রেলগেটের পাশ দিয়ে একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাত দিয়ে পেট চেপে ধরে দৌড়াতে দেখেছেন। পরে ওই লোক রিকশায় ওঠেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাকির ও নয়ন সাংবাদিকদের বলেন, দুপুরে তাঁরা ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় আচমকা পাঁচ-ছয়জন সন্ত্রাসী সেখানে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। হামলাকারীদের কাউকে তাঁরা চেনেন না।
স্থানীয় যুবলীগের কর্মীরা বলেন, ৮ জুলাই মহানগর উত্তর যুবলীগের সম্মেলন। গুলিবিদ্ধ জাকির বনানী থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। তাঁদের ধারণা, একই পদে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী একজন নেতা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
মহাখালী রেলক্রসিংয়ের পাশে সরকারি জমিতে অবৈধভাবে ঘর তুলে পাশাপাশি ২০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের কার্যালয় করা হয়েছে। দুই কার্যালয়েরই সামনে ও পেছনে দরজা রয়েছে। পাশেই একাধিক অবৈধ দোকান ও রেস্তোরাঁ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবীর বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে এটা হয়েছে। অনেকে বলেছেন, সংগঠনের আসন্ন সম্মেলনকে বানচাল করতে এটা একটা চেষ্টা হতে পারে। জাকিরের কথিত সেই প্রতিদ্বন্দ্বীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরাও এ রকম শুনেছি। তবে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলতে পারলে বিষয়টি অনেক পরিষ্কার হবে।’
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের সভাপতি আবুল বাশার বলেন, ‘আমরা ঘটনার কোনো কারণ চিহ্নিত করতে পারিনি। আমরা লোক লাগিয়েছি।’ সাধারণ সম্পাদক পদের ওই প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কানে এসেছে। তবে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া তো আমরা কাউকে দায়ী করতে পারি না।’
No comments