নাগরিকত্ব থাকলে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে মিয়ানমার
মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশে অবস্থানরত পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার নাগরিকত্ব যাচাই করে দেশে ফিরিয়ে নিতে নীতিগতভাবে সম্মত আছে। মিয়ানমারের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী উ মং মিন্ট গতকাল রবিবার সকালে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে এ কথা জানান।
মিয়ানমারের এ অবস্থানের কথা বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে জানান পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত এবং সাজার মেয়াদ শেষে কারাগারে অবস্থানরত- বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের এই তিন ধরনের নাগরিকদেরই নাগরিকত্ব যাচাই করে ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার নীতিগত সম্মতি ও প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে। এদের মধ্যে শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত প্রায় ২৯ হাজারের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও বাকিদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কনস্যুলার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই ফেরত পাঠানো সম্ভব বলে বাংলাদেশ মনে করছে।
মিজারুল কায়েস বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সম্প্রতি দাঙ্গার পর বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে না দিয়ে দেশটির অভ্যন্তরীণ সমস্যাকে দ্বিপক্ষীয় সমস্যায় রূপ না দেওয়ায় নেপিডো ঢাকাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। অন্যদিকে ওই সংকট নেপিডো যেভাবে মোকাবিলা করে বৈঠকে তার প্রশংসা করেছে ঢাকা। সচিব জানান, রাখাইন রাজ্যে জরুরি অবস্থা চলার কারণে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের বাংলাদেশ সফরও পিছিয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের ষষ্ঠ বৈঠক গতকাল সকালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েসের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এবং উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী উ মং মিন্টের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, গত ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক মিয়ানমার সফরের পর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সামগ্রিক দিকগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা শুরুর পর এটিই মিয়ানমারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সফর।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, মিয়ানমার তার নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সম্মতির কথা বারবার জানিয়েছে। তারা এও বলেছে, বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের নাগরিকদের গ্রহণ করার জন্য শিবিরও সেখানে প্রস্তুত আছে।
শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বাংলাদেশ জোর দিয়ে বলেছে, স্বল্পসংখ্যক হলেও প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করা দরকার। ১০টি পরিবার শরণার্থী শিবির ছেড়ে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মত আছে। রাখাইন রাজ্যে চলমান স্থবিরতা কাটলেই তাদের প্রত্যাবাসন কার্যকর করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সচিব আরো বলেন, ওই ১০টি পরিবারের প্রত্যাবাসনের মধ্য দিয়ে সবাই জানবে যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কার্যকর আছে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, অনুপ্রবেশকারী বিদেশি হিসেবে বাংলাদেশে আটক মিয়ানমারের নাগরিকের সংখ্যাও বেশ বড়। সীমান্ত সংশ্লিষ্ট আইন ভাঙলে আটক করে দূতাবাসকে জানানো হয়। পরে দূতাবাস কনস্যুলার সুবিধা চেয়ে তাদের নাগরিকত্ব যাচাইয়ের পর ফিরিয়ে নিয়ে যান।
মিজারুল কায়েস বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ওই অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমারের নাগরিকদের তালিকা নেপিডোর কাছে পাঠাবে। নাগরিকত্ব যাচাই করে মিয়ানমার সরকার কনস্যুলার প্রক্রিয়ায় তাদের ফিরিয়ে নেবে। বাংলাদেশের কারাগারে অবস্থানরত মিয়ানমারের নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রেও ওই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিক বলে স্বীকার না করায় তাদের কিভাবে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, নাগরিকত্ব আইন বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম। যাদের মিয়ানমারে ঠিকানা রয়েছে ও মিয়ানমার থেকে এসেছে তাদেরকে বাংলাদেশ ওই দেশের নাগরিক হিসেবে অভিহিত করেই আলোচনা করে আসছে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বৈঠকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক সংঘাত নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংঘাতের পর বাংলাদেশ তার সীমান্ত খুলে দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটকে দ্বিপক্ষীয় সংকটে রূপ না দেওয়ায় দেশটির পক্ষ থেকে বৈঠকে এ দেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। অন্যদিকে মিয়ানমার যেভাবে ওই সংকট মোকাবিলা করছে, তার জন্য বাংলাদেশ ওই দেশটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জরুরি অবস্থা অব্যাহত রয়েছে এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন নিজে ওই সংকট মোকাবিলা কার্যক্রম তদারক করছেন। এ কারণে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের আগামী ১৫ ও ১৬ জুলাইয়ের বাংলাদেশ সফর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। রমজানের পর এ সফর হতে পারে বলে তিনি জানান।
বৈঠকে সীমান্ত নিরাপত্তা, বিমান ও জাহাজ চলাচল, সড়ক যোগাযোগ, ডিজিটাল সংযোগসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের পর মিয়ানমারের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সে সময় বৈঠকের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।
মিয়ানমারের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী উ মং মিন্ট গতকাল দুপুরে ঢাকার পাশেই একটি ওষুধ শিল্প কারখানা পরিদর্শন করেন এবং রাতে তাঁর সম্মানে পররাষ্ট্রসচিব আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেন। আজ সোমবার তিনি ঢাকা ছাড়ছেন।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত এবং সাজার মেয়াদ শেষে কারাগারে অবস্থানরত- বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের এই তিন ধরনের নাগরিকদেরই নাগরিকত্ব যাচাই করে ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার নীতিগত সম্মতি ও প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে। এদের মধ্যে শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত প্রায় ২৯ হাজারের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও বাকিদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কনস্যুলার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই ফেরত পাঠানো সম্ভব বলে বাংলাদেশ মনে করছে।
মিজারুল কায়েস বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সম্প্রতি দাঙ্গার পর বাংলাদেশ সীমান্ত খুলে না দিয়ে দেশটির অভ্যন্তরীণ সমস্যাকে দ্বিপক্ষীয় সমস্যায় রূপ না দেওয়ায় নেপিডো ঢাকাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। অন্যদিকে ওই সংকট নেপিডো যেভাবে মোকাবিলা করে বৈঠকে তার প্রশংসা করেছে ঢাকা। সচিব জানান, রাখাইন রাজ্যে জরুরি অবস্থা চলার কারণে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের বাংলাদেশ সফরও পিছিয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের ষষ্ঠ বৈঠক গতকাল সকালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েসের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এবং উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী উ মং মিন্টের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, গত ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক মিয়ানমার সফরের পর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সামগ্রিক দিকগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা শুরুর পর এটিই মিয়ানমারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সফর।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, মিয়ানমার তার নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সম্মতির কথা বারবার জানিয়েছে। তারা এও বলেছে, বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের নাগরিকদের গ্রহণ করার জন্য শিবিরও সেখানে প্রস্তুত আছে।
শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বাংলাদেশ জোর দিয়ে বলেছে, স্বল্পসংখ্যক হলেও প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করা দরকার। ১০টি পরিবার শরণার্থী শিবির ছেড়ে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মত আছে। রাখাইন রাজ্যে চলমান স্থবিরতা কাটলেই তাদের প্রত্যাবাসন কার্যকর করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সচিব আরো বলেন, ওই ১০টি পরিবারের প্রত্যাবাসনের মধ্য দিয়ে সবাই জানবে যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কার্যকর আছে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, অনুপ্রবেশকারী বিদেশি হিসেবে বাংলাদেশে আটক মিয়ানমারের নাগরিকের সংখ্যাও বেশ বড়। সীমান্ত সংশ্লিষ্ট আইন ভাঙলে আটক করে দূতাবাসকে জানানো হয়। পরে দূতাবাস কনস্যুলার সুবিধা চেয়ে তাদের নাগরিকত্ব যাচাইয়ের পর ফিরিয়ে নিয়ে যান।
মিজারুল কায়েস বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ওই অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমারের নাগরিকদের তালিকা নেপিডোর কাছে পাঠাবে। নাগরিকত্ব যাচাই করে মিয়ানমার সরকার কনস্যুলার প্রক্রিয়ায় তাদের ফিরিয়ে নেবে। বাংলাদেশের কারাগারে অবস্থানরত মিয়ানমারের নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রেও ওই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বলে তিনি জানান।
মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিক বলে স্বীকার না করায় তাদের কিভাবে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, নাগরিকত্ব আইন বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম। যাদের মিয়ানমারে ঠিকানা রয়েছে ও মিয়ানমার থেকে এসেছে তাদেরকে বাংলাদেশ ওই দেশের নাগরিক হিসেবে অভিহিত করেই আলোচনা করে আসছে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বৈঠকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক সংঘাত নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংঘাতের পর বাংলাদেশ তার সীমান্ত খুলে দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটকে দ্বিপক্ষীয় সংকটে রূপ না দেওয়ায় দেশটির পক্ষ থেকে বৈঠকে এ দেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। অন্যদিকে মিয়ানমার যেভাবে ওই সংকট মোকাবিলা করছে, তার জন্য বাংলাদেশ ওই দেশটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জরুরি অবস্থা অব্যাহত রয়েছে এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন নিজে ওই সংকট মোকাবিলা কার্যক্রম তদারক করছেন। এ কারণে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের আগামী ১৫ ও ১৬ জুলাইয়ের বাংলাদেশ সফর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। রমজানের পর এ সফর হতে পারে বলে তিনি জানান।
বৈঠকে সীমান্ত নিরাপত্তা, বিমান ও জাহাজ চলাচল, সড়ক যোগাযোগ, ডিজিটাল সংযোগসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের পর মিয়ানমারের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সে সময় বৈঠকের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।
মিয়ানমারের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী উ মং মিন্ট গতকাল দুপুরে ঢাকার পাশেই একটি ওষুধ শিল্প কারখানা পরিদর্শন করেন এবং রাতে তাঁর সম্মানে পররাষ্ট্রসচিব আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেন। আজ সোমবার তিনি ঢাকা ছাড়ছেন।
No comments