স্পেনের ইতিহাস by রাজীব হাসান

টিকি-টাকা বিরক্তিকর! টিকি-টাকা একঘেঁয়ে! টিকি-টাকা অর্থহীন-অকার্যকর! স্পেনের পাসিং ফুটবল নিয়ে সমালোচনার ফেনা তোলা নিন্দুকদের পাল্টা একটা জবাব দেওয়ার পণই যেন করেছিল ভিসেন্তে দেল বস্কের দল। নিজেদের সেরা জাদুটাও যেন জমিয়ে রেখেছিল আসল মঞ্চের জন্য।


কাল পাসিং-ফুটবলের মালা গেঁথে ইউরোর ফাইনালে ইতালিকে ৪-০ গোল উড়িয়ে দিল স্পেন। নাম লেখাল ইতিহাসে। এই প্রথম ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরো—এই শিরোপাত্রয়ী জিতল কোনো দল। ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে টানা দুটো ইউরোও জিতল তারা। শততম আন্তর্জাতিক জয়ের রেকর্ড গড়লেন ইকার ক্যাসিয়াস।
১৪ মিনিটে ডেভিড সিলভা আর ৪১ মিনিটে জর্ডি আলবার দুই গোলে ম্যাচ একরকম শেষ হয়ে গিয়েছিল প্রথমার্ধেই। সেমিফাইনালে বেঞ্চে বসে থাকা ফার্নান্দো তোরেস কাল ৭৫ মিনিটে সুযোগ পেয়েছেন মাঠে নামার। আট মিনিটের মধ্যেই ৩-০ বানিয়ে দেন। তাঁর পাস থেকেই ৮৮ মিনিটে ৪-০ করেন চেলসি-সতীর্থ হুয়ান মাতা। ইতালির কফিনে ঠুকে দেন শেষ পেরেক। স্পেনের চারটি গোলই এসেছে দুর্দান্ত পাসিং ফুটবল আর কম্পাসে মাপা নিখুঁত পাস থেকে। এই প্রথম ইউরোর ফাইনালে চার গোল করল কোনো দল।
রাতটা আসলেই ইতালির ছিল না। ৫৬ মিনিটে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন থিয়াগো মোত্তা। সেটি ছিল ইতালির তৃতীয় ও শেষ খেলোয়াড় বদল। কিন্তু মাত্র চার মিনিট খেলেই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসেন মোত্তা। শেষ আধঘণ্টা ১০ জনের দল নিয়েই তাই খেলতে হয়েছে ইতালিকে। কিন্তু এ এক এমন পরাজয়, ভাগ্যকেও যেদিন দোষ দেওয়ার উপায় আর থাকে না!

No comments

Powered by Blogger.