সিটি করপোরেশন হলো রংপুর
রংপুরকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। আইন অনুযায়ী, আদেশ জারির ১৮০ দিনের মধ্যে নতুন এ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন দিতে হবে।
নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সিটি করপোরেশন পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (যুগ্ম সচিব) কাজী হাসান আহমেদ। গতকাল রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তাঁকে প্রশাসক নিয়োগ করার প্রস্তাব পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল নতুন অর্থবছরের প্রথম দিন থেকেই এ সিটি করপোরেশনের যাত্রা শুরু হলো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২০ জুন রংপুর পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন হিসেবে প্রশাসনিক অনুমোদন দেন। রংপুর পৌরসভা ছাড়াও রাজেন্দ্রপুর, সাতগাড়া, হরিদেবপুর, উত্তম, দর্শনা, তামপাট, তপোধন, সদ্যপুষ্করনী, পরশুরাম, চন্দনপাট, কাউনিয়া উপজেলার সারাই এবং পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয়েছে রংপুর সিটি করপোরেশন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, রংপুরকে সিটি করপোরেশন করা ওই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। সিটি করপোরেশন করার জন্য যেসব বিধি-বিধান পূরণ করতে হয় এর সবই রংপুরে বিদ্যমান ছিল। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, কুমিল্লা ও রংপুরকে মডেল সিটি করপোরেশন করা হবে।
রংপুর দেশের দশম সিটি করপোরেশন। বর্তমান সরকারের সময়ে গঠিত সিটি করপোরেশনের মধ্যে রংপুর তৃতীয়। এর আগে নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লাকে সিটি করপোরেশন করা হয়। গাজীপুরকে সিটি করপোরেশন করার প্রক্রিয়া চলছে। পর্যায়ক্রমে দেশের পুরনো ১৯টি জেলাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা পরিচালনা করলেও আইনগত জটিলতায় ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ চলছে সরকার মনোনীত প্রশাসকদের দিয়ে।
রংপুরকে সিটি করপোরেশন ঘোষণার দাবিতে স্থানীয় জনগণ দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। রংপুরকে সিটি করপোরেশন করা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান মহাজোট সরকারের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল।
দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হওয়ার খবর পৌঁছালে রংপুরে উল্লাসে ফেটে পড়ে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ। সরকারকে ধন্যবাদ ও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রাও করে বিভিন্ন সংগঠন। প্রত্যাশার চেয়ে দেরিতে হলেও রংপুরকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা দেওয়ায় দীর্ঘদিনের আন্দোলন সফল হয়েছে বলে মনে করছেন এসব নাগরিক সংগঠনের নেতারা।
১৮৬৯ সালে ২৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের রংপুর পৌরসভার যাত্রা শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এই পৌর এলাকার আয়তন দাঁড়ায় ৫৪ বর্গকিলোমিটারে। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ৮ জানুয়ারি জিলা স্কুল মাঠের জনসভায় রংপুরকে সিটি করপোরেশন করা হবে বলে ঘোষণা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিয়নকে সংযুক্ত করে ২০৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের নগর প্রতিষ্ঠায় দাপ্তরিক কাজ শেষ করা হয়। পৌরসভার সঙ্গে নতুন সংযুক্ত ইউনিয়নগুলো হলো- রংপুর সদরের রাজেন্দ্রপুর, সাতগাড়া, হরিদেবপুর, উত্তম, দর্শনা, তামপাট, তপোধন, সদ্যপুষ্করনী, পরশুরাম ও চন্দনপাট ইউনিয়ন।
এ ছাড়া এর সঙ্গে কাউনিয়া উপজেলার সারাই ও পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নও সংযুক্ত করা হয়। গত বছর রংপুর পৌরসভা বিলুপ্ত করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। কিন্তু সিটি করপোরেশনের অনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দেওয়ায় এবং পরে ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লায় নির্বাচন হয়ে যাওয়ায় হতাশ হয় রংপুরের মানুষ। বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলও আন্দোলনে নামে। স্তব্ধ রংপুর, হরতাল, মানববন্ধন, অবরোধ ও ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি পালিত হয়।
রংপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, 'দেরিতে হলেও আমাদের এলাকার মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন হওয়ায় প্রশান্তি অনুভব করছি। রংপুরবাসীর কাছে এই দিনটা মাইলফলক হয়ে থাকবে। রংপুরকে দেশের দশম সিটি ঘোষণা করায় মহাজোট সরকারকে অভিনন্দন জানাই। এখন আশা করব ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির হাতে দায়িত্ব দিয়ে এলাকার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা হবে।'
রংপুর বিভাগ উন্নয়ন আন্দোলন পরিষদের আহ্বায়ক ওয়াদুদ আলী বলেন, 'বিভাগ ঘোষণার পর পিছিয়ে পড়া রংপুরের মানুষের স্বপ্ন পূরণ হলো। এ জন্য রংপুরবাসীর পক্ষ থেকে সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'
রংপুর সিটি করপোরেশন বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন করা সংগঠনগুলোর অন্যতম সমাজ পরিবর্তন ও উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি এস এম পিয়াল বলেন, 'অনেক আন্দোলন সংগ্রামের পর এই ন্যায্য দাবি পূরণ হওয়ায় রংপুরের প্রতিটি মানুষ দারুণ খুশি। প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আশা করব শিগগিরই নগর সংস্থার দাপ্তরিক কাজ শুরু করা হবে।'
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিউর রহমান শাফি বলেন, 'রংপুরকে সিটি ঘোষণা করায় যার পর নাই আমরা খুশি। এতেই প্রমাণিত হয় জননেত্রী শেখ হাসিনা যা বলেন তার বাস্তবায়ন ঘটান। রংপুরবাসীর পক্ষ থেকে তাঁকে ও তাঁর সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।'
গতকাল নতুন অর্থবছরের প্রথম দিন থেকেই এ সিটি করপোরেশনের যাত্রা শুরু হলো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২০ জুন রংপুর পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন হিসেবে প্রশাসনিক অনুমোদন দেন। রংপুর পৌরসভা ছাড়াও রাজেন্দ্রপুর, সাতগাড়া, হরিদেবপুর, উত্তম, দর্শনা, তামপাট, তপোধন, সদ্যপুষ্করনী, পরশুরাম, চন্দনপাট, কাউনিয়া উপজেলার সারাই এবং পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয়েছে রংপুর সিটি করপোরেশন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, রংপুরকে সিটি করপোরেশন করা ওই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। সিটি করপোরেশন করার জন্য যেসব বিধি-বিধান পূরণ করতে হয় এর সবই রংপুরে বিদ্যমান ছিল। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, কুমিল্লা ও রংপুরকে মডেল সিটি করপোরেশন করা হবে।
রংপুর দেশের দশম সিটি করপোরেশন। বর্তমান সরকারের সময়ে গঠিত সিটি করপোরেশনের মধ্যে রংপুর তৃতীয়। এর আগে নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লাকে সিটি করপোরেশন করা হয়। গাজীপুরকে সিটি করপোরেশন করার প্রক্রিয়া চলছে। পর্যায়ক্রমে দেশের পুরনো ১৯টি জেলাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা পরিচালনা করলেও আইনগত জটিলতায় ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ চলছে সরকার মনোনীত প্রশাসকদের দিয়ে।
রংপুরকে সিটি করপোরেশন ঘোষণার দাবিতে স্থানীয় জনগণ দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। রংপুরকে সিটি করপোরেশন করা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান মহাজোট সরকারের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল।
দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হওয়ার খবর পৌঁছালে রংপুরে উল্লাসে ফেটে পড়ে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ। সরকারকে ধন্যবাদ ও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রাও করে বিভিন্ন সংগঠন। প্রত্যাশার চেয়ে দেরিতে হলেও রংপুরকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা দেওয়ায় দীর্ঘদিনের আন্দোলন সফল হয়েছে বলে মনে করছেন এসব নাগরিক সংগঠনের নেতারা।
১৮৬৯ সালে ২৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের রংপুর পৌরসভার যাত্রা শুরু হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এই পৌর এলাকার আয়তন দাঁড়ায় ৫৪ বর্গকিলোমিটারে। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ৮ জানুয়ারি জিলা স্কুল মাঠের জনসভায় রংপুরকে সিটি করপোরেশন করা হবে বলে ঘোষণা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিয়নকে সংযুক্ত করে ২০৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের নগর প্রতিষ্ঠায় দাপ্তরিক কাজ শেষ করা হয়। পৌরসভার সঙ্গে নতুন সংযুক্ত ইউনিয়নগুলো হলো- রংপুর সদরের রাজেন্দ্রপুর, সাতগাড়া, হরিদেবপুর, উত্তম, দর্শনা, তামপাট, তপোধন, সদ্যপুষ্করনী, পরশুরাম ও চন্দনপাট ইউনিয়ন।
এ ছাড়া এর সঙ্গে কাউনিয়া উপজেলার সারাই ও পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নও সংযুক্ত করা হয়। গত বছর রংপুর পৌরসভা বিলুপ্ত করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। কিন্তু সিটি করপোরেশনের অনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দেওয়ায় এবং পরে ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লায় নির্বাচন হয়ে যাওয়ায় হতাশ হয় রংপুরের মানুষ। বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলও আন্দোলনে নামে। স্তব্ধ রংপুর, হরতাল, মানববন্ধন, অবরোধ ও ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি পালিত হয়।
রংপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, 'দেরিতে হলেও আমাদের এলাকার মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন হওয়ায় প্রশান্তি অনুভব করছি। রংপুরবাসীর কাছে এই দিনটা মাইলফলক হয়ে থাকবে। রংপুরকে দেশের দশম সিটি ঘোষণা করায় মহাজোট সরকারকে অভিনন্দন জানাই। এখন আশা করব ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির হাতে দায়িত্ব দিয়ে এলাকার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা হবে।'
রংপুর বিভাগ উন্নয়ন আন্দোলন পরিষদের আহ্বায়ক ওয়াদুদ আলী বলেন, 'বিভাগ ঘোষণার পর পিছিয়ে পড়া রংপুরের মানুষের স্বপ্ন পূরণ হলো। এ জন্য রংপুরবাসীর পক্ষ থেকে সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'
রংপুর সিটি করপোরেশন বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন করা সংগঠনগুলোর অন্যতম সমাজ পরিবর্তন ও উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি এস এম পিয়াল বলেন, 'অনেক আন্দোলন সংগ্রামের পর এই ন্যায্য দাবি পূরণ হওয়ায় রংপুরের প্রতিটি মানুষ দারুণ খুশি। প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আশা করব শিগগিরই নগর সংস্থার দাপ্তরিক কাজ শুরু করা হবে।'
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিউর রহমান শাফি বলেন, 'রংপুরকে সিটি ঘোষণা করায় যার পর নাই আমরা খুশি। এতেই প্রমাণিত হয় জননেত্রী শেখ হাসিনা যা বলেন তার বাস্তবায়ন ঘটান। রংপুরবাসীর পক্ষ থেকে তাঁকে ও তাঁর সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।'
No comments